স্বপ্নজালে আচ্ছন্ন এক চলচ্চিত্রকার

স্বপ্নজালে আচ্ছন্ন এক চলচ্চিত্রকার

বয়ঃসন্ধিকালে কবিতা লিখলেও তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন নাট্যকার হিসেবে। প্রথম নাটক ‘পৌনঃপুনিক প্রচারিত হয়েছিল বিটিভিতে। কাউসার চৌধুরীর পরিচালনায়। পরে অসংখ্য জনপ্রিয় নাটক রচনা ও নির্মাণ করেন। পথনাটক থেকে। বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার দাপিয়ে বেড়িয়েছেন একসময়। ১৯৯৩ সালে মাসুম রেজা এবং সালাউদ্দিন লাভলুর সঙ্গে মিলে। প্রতিষ্ঠা করেন বিজ্ঞাপনী সংস্থা স্ট্রিগ প্লাস। নাটকের গিয়াসউদ্দিন সেলিম ক্রমশ ঝুঁকে পড়েন চলচ্চিত্রে এবং ২০০৯ সালে নির্মাণ করেন সাড়া জাগানো চলচ্চিত্র ‘মনপুরা। সাত বছর বছর পর নির্মাণ করছেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘স্বপ্নজাল’, এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে নানা কথা বলেন। মোমিন রহমান। সেই কথোপকথনেরই চুম্বক অংশ এখানে তুলে ধরা হলো।

মনপুরার আঙিনা পেরিয়ে স্বপ্নজালে

মনপুরার পরে গিয়াসউদ্দিন সেলিমের নির্মাণ করার কথা ছিল কাজলরেখা। কেন হয়ে ওঠে নি সেই গল্পে পরে আসছি। এখন বলব স্বপ্নজালের কথা। সাত বছর পর গিয়াসউদ্দিন সেলিম ফিরছেন তার নতুন চলচ্চিত্র স্বপ্নজাল নিয়ে।

স্বপ্নজালের পরিকল্পনা শুরু হয় ২০১৪ সালের শেষের দিকে। এটা সেলিমের বৈশিষ্ট্য। নির্মাণ প্রস্তুতিতে সময় নেওয়া। তার দেখার চোখ এবং নির্মাণ কৌশলও অন্যরকম। ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই ছবির থিম জানতে আগ্রহী হই। কেমন ছবি স্বপ্নজাল ? অবশ্যই প্রেমের ছবি কিন্তু গৎবাঁধা প্রেমজ ধারার নয়। ছবির গল্পে। সিরিয়াস এবং স্ট্রং বক্তব্য আছে। আমাদের জাতি বৈচিত্র্য। আমাদের জাতি বৈচিত্র্য, ধর্মীয় বৈচিত্র্য এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য হারানোর ভয় এই চলচ্চিত্রের কাহিনি বিন্যাসে আছে। সেটা কি রকম? বুঝিয়ে বলতে বলি। হেসে ফেলেন সেলিম, বলেন, জাতি বৈচিত্র্য এবং সংস্কৃতি বৈচিত্র্যকে আমরা ক্রমান্বয়ে হারিয়ে ফেলছি। সমসাময়িক চলচ্চিত্রকার হিসাবে আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। আমরা কী রকম ছিলাম, কী রকম আছি, কী রকম হতে চাই? স্বপ্নের জাল বুনে বুনে চলার এই কিসসা ছবির নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে।” গল্পটা নয়, সূত্র চিহ্নের মতন একটু আভাস দেন তিনি। জেলা শহর চাঁদপুর এবং কলকাতা-আগরতলা কেন্দ্রিক গল্প এটা কিংবা দুই শহরের কিসসা। ছবির গল্প চলা থেকে পরিণতি পর্যন্ত যেতে যেতে দেখা যাবে যেটা হয়েছে সেটা এর আগে এদেশে হয় নি। কিন্তু হলে কেমন হতো?

কেমন তারা? অপু ও শুভ্রা?

ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছেন পরীমনি এবং নবাগত ইয়াশ রোহান। পরীমনি ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত। ইয়াশ আগে টুকটাক অভিনয় করলেও বড় পরিসরে এই প্রথম। ছবি মুক্তির আগে রোহানকে দর্শকদের কাছে পরিচিত করে তোলার উদ্যোগ নিতে চান কি না জানতে চাইলে গিয়াসউদ্দিন সেলিম সরাসরি নিষেধ করে দেন। তিনি বিশ্বাস করেন, অভিনয় গুণেই পরিচিত হয়ে উঠবে রোহান। খ্যাতিমানদের নিয়ে এর আগেও চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন নি সেলিম, ভবিষ্যতেও করতে চান না। তার প্রত্যাশা দর্শক সিনেমাহলে আসবে, সিনেমাটা দেখে গল্প জানবে, নির্মাণশৈলী দেখবে, নায়ক-নায়িকার অভিনয় দেখে তাদের চিনে নেবে।

এ প্রসঙ্গে পরীমনির কথা বলছিলাম আমরা। চলচ্চিত্র অঙ্গনে তিনি বেশ পরিচিত মুখ বর্তমানে। তাহলে কি পরীমনির মার্কেট ভ্যালু বিবেচনা করে তাকে কাস্ট করেছেন পরিচালক ? নাহ, তা মোটেই নয়। চরিত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে যায় পরীমনির প্রতিচ্ছবি। নায়ক ইয়াশ, শিল্পী বিশ্বাস অপু ও নরেশ ভূঁইয়া  তনয়। ছবিতে দুজন অপু এবং শুভ্রা। বেশি বয়স না তাদের। ১৮ থেকে ২০এর মধ্যে। পরস্পর গভীর প্রণয়াসক্ত। গল্পটা শুরু হয়েছে চাঁদপুর শহর থেকে। শহরের ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপ্তি, রমরমা ইলিশ ব্যবসা, বরফকল, তেল-রাইস মিল এই ধরনের ব্যবসায়ীদের ছেলেমেয়েদের গল্প। আর এগোতে চান না গিয়াসউদ্দিন সেলিম। তিনি চান দর্শকেরা হলে এসে দেখুক। তবে এটুকু বলেন, স্বপ্নজাল চলচ্চিত্রের ভেতর শক্তিশালী একটা মর‍্যাল আছে। যেমন যে বা যারা অন্যায় করে প্রকৃতি তাকে শাস্তি দেয়, যা দর্শককে ছুঁয়ে যাবে। আর প্রেম তো সর্বজনীন। ছবিতে প্রতিবাদ আছে, সুস্থ ধারার বাণিজ্যিক অ্যাকশন আছে, আছে সংগীত।

কেমন তারা? শুভ্রা ও অপু? কোমল হৃদয়ের দুই প্রেমিক-প্রেমিকা ওরা। ওদের প্রেম-বিরহ নিয়েই এই চলচ্চিত্রের গতিপ্রকৃতি নির্ধারিত হবে। বলতে বলতে আবারও হাসেন সেলিম। স্বপ্নজালের কাহিনি কুয়াশা চিরে প্রকাশিত হয়। না। অনেক খুঁজে ইয়াশ এবং পরীমনিকে সিলেক্ট করা হয়েছে স্বপ্নজালে। গল্পের রসায়ন কিংবা অপু-শুভ্রা চরিত্রের সঙ্গে ইয়াশ এবং পরীমনি সম্পূর্ণভাবে মিলে যায়। অভিনয় করতে করতে দেখা গেছে ইয়াশ এবং পরীমনি অপু ও শুভ্রার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে লীন হয়ে গেছে।

গানের ছবি, ছবির গান

মনপুরা ছবিটি অনেকে কয়েকবার দেখেছেন গানের জন্য। কেননা, মনপুরার গানগুলো এই সাত বছর পরে এসেও হৃদয় জাগানিয়া। এমন কথা উড়িয়ে দেন সেলিম। কেবল গানের জন্য কেউ ছবি দেখতে আসবে বারবার ? চলচ্চিত্রের প্রয়োজনে গান তৈরি হয়, গানের জন্য চলচ্চিত্র না। একটা গল্পহীন সিনেমায় অনেক সুন্দর গান থাকতে পারে, দর্শক সেটা বারবার দেখতে যাবে কি ? দর্শক স্টোরিবিহীন বা সস্তা গল্পের ছবি নেবে না। আর সে রকম ছবি কখনো চিরায়ত হয় না। ইতিহাসে স্থান পায় না। হতে পারে কোনো কোনো দর্শক গানটি দেখার জন্যই সিনেমাহলে গেল কিন্তু কেবল গানটি নয়, সম্পূর্ণ ছবিটি দেখেই ফেরে তারা।

স্বপ্নজালের জন্য গান তৈরি করা হয়েছে কিংবা বলা যায় এখনো তৈরি হচ্ছে। নির্মাণে অসংখ্য ভাঙচুর থাকে। পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যায় না। প্রাথমিকভাবে এই ছবিতে রবীন্দ্রসংগীত আছে একটা। | তিন-চারটে মৌলিক গান লেখা হয়েছে। কারা গাইবেন তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। গীতিকার ও সুরকারের তালিকায় আছেন প্রথমেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।  কৃষ্ণকলি একটা গান লিখেছেন ও সুর করেছেন। সানি নামের একজন টগবগে তরুণ দুটি গান লিখেছে ও সুর করেছে। মিউজিক কম্পোজ করার কথা অর্ণবের।

গান কী রকম হবে স্বপ্নজালের? জানতে চাই। স্বাভাবিক নিয়মে, চলচ্চিত্রের প্রয়োজনে, সেলিম বলেন। হঠাৎ নায়ক-নায়িকা নাচতে নাচতে  গাওয়া শুরু করবে এমন নয়। গান ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকবে, লিপেও থাকবে। সিকোয়েন্স অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সম্পূর্ণ গানটাই কি বাজবে নাকি প্রয়োজনীয় অংশ এইসব এখনো স্থির করা হয় নি।

স্বপ্নজাল একটি ট্রাভেল মুভি। এর কাহিনি ভ্রমণ করে। স্বপ্নজালের যাত্রা শুরু হয় জেলাশহর চাঁদপুর থেকে। গন্তব্য কলকাতা। আগরতলায়ও কিছু শুটিং হয়েছে। এভাবে এগোতে এগোতে কাহিনি পরিণতি লাভ করে চাঁদপুরে এসে। প্রতিটা স্থানের গল্পাংশে সেই জায়গার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা অভিনয় করেছেন। যেমন কলকাতার অংশের শিল্পীরা সবাই কলকাতার। আগরতলার অংশে আগরতলার একঝাঁক থিয়েটারকর্মী। কেননা ওখানে ফিল্ম ইনস্টিটিউট নেই। বাংলাদেশের অংশে বাংলাদেশি শিল্পীরা। এতে করে প্রত্যেক স্থানের উচ্চারণরীতি ঠিক থেকেছে।

স্বপ্নজালে বাংলাদেশি অভিনয়শিল্পীরা হলেন পরীমনি (শুভ্রা), ইয়াশ রোহান (অপু), ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুল আলম সাচ্চু, শিল্পী সরকার অপু, ফারহানা মিঠু, মিশা সওদাগর, ইরেশ যাকের, মুনিয়া।

স্বপ্নজালের গানগুলো এখনো চূড়ান্ত করা হয় নি। চলচ্চিত্রের একটা নির্মাণরীতি থাকে। প্রথমে স্ক্রিপ্ট, ধাপে ধাপে শুটিং, এডিটিং, মিউজিক। এই প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে নিরন্তর কিছু সংযোজন-বিয়োজন চলতে থাকে। এসব অতিক্রম করার পর সিনেমার নির্মাণ কাজ এবং গানের চিত্রায়ন শেষ হয়। অতঃপর সেন্সরপত্র নিয়ে দর্শকদের জন্য বাজারে আসে ছবিটি। এই মুহূর্তে স্বপ্নজালের সংযোজন-বিয়োজনের কাজ চলছে। এই সূত্র ধরে চিত্রনাট্য, কাহিনি, সংলাপের পরিবর্তন ঘটতে পারে নাও পারে।

অনেক কিছু এখনো চূড়ান্ত করা হয় নি। যেমন শব্দগ্রহণ, আবহসংগীত, সাউন্ড ইফেক্ট ইত্যাদি কারা করবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয় নি। ডাবিং শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কয়েক জায়গায় কথা হয়েছে কিন্তু কিছু চূড়ান্ত করা হয় নি।

 সোনাই আর পরী এবং মনপুরার স্মৃতি

পরীমনি ও ইরাশ রোহানের অভিনয়ে খুশি গিয়াসউদ্দিন সেলিম। তিনি বলেন, ওরা অত্যন্ত ভালো অভিনয় করেছে। শুভ্রা ও অপু চরিত্রের সঙ্গে সম্পূর্ণ মিশে গেছে। একদিনেই কেউ চরিত্রটিকে আত্মস্থ করে তুলতে পারে না। | আস্তে আস্তে করে চরিত্রের সঙ্গে মিশে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। দীর্ঘদিন এই | চরিত্রে অভিনয় করতে করতে ওরাও হয়ে উঠেছে অপু আর শুভ্রা।

একটা বিষয় নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করছিলেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম। তার নির্মিত মনপুরায় নায়ক-নায়িকার নাম ছিল সোনাই আর পরী। ইয়াশের ডাক নাম সোনাই। আর স্বপ্নজালে অভিনয় করতে করতে ওরাও যেন হয়ে উঠেছে বাস্তবের সোনাই ও পরী। যদিও এটা মনপুরা নয়। এই অদ্ভুত সংযোগ আড্ডায় রস আনে। সোনাই আর পরী নয় বরং নায়ক-নায়িকা পরিপূর্ণভাবে শুভ্রা-অপু হয়ে উঠতে থাকে। ফ্রেমবন্দি স্বপ্নজালের সাত বছর আগে নির্মিত মনপুরার

স্মৃতিচারণ করতে বলা হয় গিয়াসউদ্দিন সেলিমকে। মনপুরার নির্মাণে অবশ্যই  তিনি তরুণ ছিলেন, এখন অভিজ্ঞ যুবক। উপমাটার ব্যবহার অন্য অর্থে। মনপুরা নির্মাণের পর তার জ্ঞান, উপলব্ধি, পরিধি বেড়েছে। তিনি আগের চেয়ে এখন আরও

বেশি পরিণত। 

নির্মাণে তিনি স্বকীয়, রয়েছে নিজস্ব প্যাটার্ন। সংযত, স্বাভাবিক অভিনয় তার পছন্দ। ওভার অ্যাকটিং পছন্দ করেন না। তার চলচ্চিত্রের পাত্র-পাত্রীকে দিয়ে সে রকম করানও না। তিনি স্বপ্ন দেখেন, দর্শকেরা দলবেঁধে সিনেমা হলে | আসবে, ছবি দেখবে, উপভোগ করবে এবং একটা রেশ নিয়ে বাড়ি ফিরে যাবে। | এই রেশ কিছুদিন কিংবা অনেকদিন তারা লালন করবে।

মনপুরা নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে বলা হয়েছিল তাকে। একটু থেমে ভাবেন এবং প্রফুল্ল হতে থাকে তার মুখাবয়ব। মনপুরার পুরো নির্মাণকাল ছিল এক অনবদ্য আনন্দস্মৃতি। আলাদা করে  কিছু মনে হয় না তার। তবে প্রিমিয়ার শোয়ের দিনটা মনে পড়ে সেলিমের। মোটেই পোশাক সচেতন নন তিনি। কিন্তু মনপুরার প্রিমিয়ার শোয়ের দিন কী পরে যাবেন, কী করবেন কী কী বলবেন এইসব নিয়ে অত্যন্ত উত্তেজিত ছিলেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম। 

আগামী ছবি এবং কাজলরেখার গল্প

মনপুরার পরে সেলিম নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন চলচ্চিত্র কাজলরেখা। মৈমনসিংহ গীতিকার দুখিনী কাজলরেখা; ফ্যাক্ট এবং ফ্যান্টাসির সমন্বয়ে তৈরি করেছিলেন স্ক্রিপ্ট। কিন্তু আমাদের সিনেমার বাজার যত বড় তার চাইতেও বেশি বাজেট কাজলরেখা নির্মাণে। কোন প্রযোজক ঢালবেন কাজলরেখা নির্মাণের টাকা ? কাজলরেখার নির্মাণ আপাতত সম্ভব নয়, ব্যথিত মনে হয় তাকে। পরক্ষণেই উজ্জ্বল হয়ে ওঠেন তিনি। এই বিশাল বাজেটের ছবিটি তৈরি করতে প্রস্তুত তিনি। ঢাকা শহরে যেদিন পাঁচটি মালটিপ্লেক্স এবং বিভাগীয় শহরগুলোতে একটি করে মাল্টিপ্লেক্স হবে সেদিন নির্মাণ করবেন কাজলরেখা। এই ছবি দেখার জন্য লাগবে প্রচার এবং দর্শক। তিনি পাঁচ কোটি টাকা খরচ করে এই ছবি নির্মাণ করবেন। সেটা উঠে আসতে হলে সর্বস্তরের দর্শক এবং সব ক্লাসের প্রেক্ষাগৃহ জরুরি। আগামী ছবির জন্য স্ক্রিপ্ট তৈরি করেছেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম। সংযোজন-বিয়োজন শেষে ফাইনাল করবেন। সিনেমার নাম ‘ডাকাতিয়া'। এ ছাড়াও একটি বড় প্রজেক্ট নিয়ে গবেষণা ও লেখার কাজ করছেন তিনি। এখনই এ বিষয়ে কিছু বলতে চান নি সেলিম, কেবল জানিয়েছেন এটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসকেন্দ্রিক গবেষণার কাজ। এটি নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হবে। কর্তৃপক্ষ তাকে লেখার মতাে বিশাল কাজটির দায়িত্ব দিয়েছে।

Leave a Reply

Your identity will not be published.