‘গুলশান এভিনিউ’ আবার

‘গুলশান এভিনিউ’ আবার

বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাভিশনে প্রচারিত হয়েছিল ‘গুলশান এভিনিউ’। তখন ধারাবাহিকটি দর্শকদের মন জয় করেছিল। গুলশানের একটি বিত্তশালী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এগিয়েছিল নাটকটির কাহিনি।

গল্পের প্রয়োজনে জাঁকজমকপূর্ণ সেট, দামি পোশাক, গহনা, বিলাসী জীবনের নানা উপকরণ প্রভৃতি উপস্থাপন করা হয়েছিল। ফলে ধারাবাহিকটি জীবন্ত হয়ে উঠেছিল, বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছিল। বাস্তব জীবনের প্রতিফলনই যেন দেখা গিয়েছিল ছোটপর্দায়।

পারিবারিক টানাপোড়েন, ষড়যন্ত্র, নানা চমকও ধারাবাহিকটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল, যা পাশের দেশ ভারতের হিন্দি ধারাবাহিকগুলোকে মনে করিয়ে দিয়েছিল। এমনকি একটি পর্বে শয্যাদৃশ্যও ঠাঁই পেয়েছিল ‘গুলশান এভিনিউ’তে। শুরুতে ধারাবাহিকটি ভীষণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল; ২০০ পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছিল। পরে অবশ্য ঝুলে গিয়েছিল। দর্শকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল ধারাবাহিকটি থেকে।

সেই ‘গুলশান এভিনিউ’-এর দ্বিতীয় সিজন শুরু হচ্ছে ১ ডিসেম্বর থেকে, বাংলাভিশনে। ভারতের শিবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনায় ধারাবাহিকটি পরিচালনা করছেন নিমা রহমান। নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তারিক আনাম খান।

‘গুলশান এভিনিউ ২’-তে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন ফারজানা চুমকী। তার অভিনীত চরিত্রের নাম ফাহমিদা। এ ধারাবাহিকটি প্রসঙ্গে চুমকীর ভাষ্য হলো, ‘নাটকের গল্পে তো নতুনত্ব আছেই, প্রত্যেকটি চরিত্রই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। নিমা আপা বেশ ধৈর্য নিয়ে নাটকটি নির্মাণ করছেন, তারিক আনাম ভাইও বেশ সহযোগিতা করছেন। যে কারণে কাজটি বেশ ভালো হচ্ছে। একজন শিল্পী হিসেবে নাটকটিতে কাজ করে আমি সন্তুষ্ট। আমরা যারা এতে কাজ করেছি বা করছি প্রত্যেকেই সিজন টু নিয়ে ভীষণ আশাবাদী। আমি ব্যক্তিগতভাবে এবারের গুলশান এভিনিউ নিয়ে একটু বেশিই আশাবাদী। কারণ আমার কাছে মনে হচ্ছে, প্রচারে এলেই নাটকটি দর্শকদের মধ্যে সাড়া ফেলবে। বাকিটা দর্শকদের ওপর নির্ভর করছে।’

Leave a Reply

Your identity will not be published.