‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে মাসব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন হয়। এবারও ব্যতিক্রম নয়। ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার উদ্বোধন করার কথা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা। সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন।
বইমেলার আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, প্রথমেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘কালেক্টেড ওয়ার্কস অব শেখ মুজিবুর রহমান: ভলিউম-২’ সহ কয়েকটি গ্রন্থ-উন্মোচন করবেন। বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারও প্রদান করা হবে।
অধিবর্ষ হওয়ায় এই বছর বইমেলা চলবে ২৯ দিন। অমর একুশে বইমেলায় ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মিলে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গাজুড়ে এবার আয়োজন করা হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। থাকছে ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠান ও ৩৭টি প্যাভিলিয়ন। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিটসহ মোট ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যেখানে থাকছে ৬৩৫টি স্টল ও ৩৭টি প্যাভিলিয়ন। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিটসহ মোট ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেলাকেন্দ্রিক নিরাপত্তার পাশাপাশি শহীদ মিনার ও শাহবাগ-নীলক্ষেতকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে তল্লাশী দল থাকবে, সন্দেহভাজন কিছু দেখলে তারা তল্লাশী করবেন। মূল মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশের আগে প্রতিটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর থাকবে।
এ ছাড়া, কাউকে সন্দেহ হলে তাকে পৃথক কক্ষে নিয়ে তল্লাশি করা হবে। মেলা প্রাঙ্গনসহ আশপাশের এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক পোশাকধারী সদস্য মোতায়েন থাকবে। মেলার আশপাশে মোটরসাইকেল ও গাড়ি টহল থাকবে। এ ছাড়া, সিটিটিসি, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন ভ্যান, সিটি এসবি ও ডগ স্কোয়াড সদস্যরা দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।
এবারের মেলায় প্রবেশদ্বার মোট চারটি। মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে গতবারের মূল প্রবেশপথ এবার একটু সরিয়ে বাংলা একাডেমির মূল প্রবেশপথের উলটো দিকে অর্থাৎ মন্দির গেটটি মূল প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহার হবে। এ ছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের (আইইবি) দিকসহ মোট ৩টি প্রবেশপথ থাকবে।
Leave a Reply
Your identity will not be published.