অধিকাংশ মানুষই পথিক। পথপ্রদর্শক হাতে গোনা কয়েকজন। এমনই একজন মানুষ ছিলেন ফজলুল হক। এ দেশের প্রথম সিনেমাসিক ‘সিনেমা’র (১৯৫০) সম্পাদক এবং এ দেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘প্রেসিডেন্ট’-এর পরিচালক। ফজলুল হকের অবদান চিরস্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে একটি পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়।
প্রয়াত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের ইচ্ছা অনুযায়ী ফজলুল হক স্মৃতি কমিটি এই পুরস্কার প্রবর্তন করে। ‘ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার’ নামে ২০০৪ সাল থেকে প্রতি বছর এই পুরস্কার একজন চলচ্চিত্র সাংবাদিক ও সেরা চলচ্চিত্র পরিচালক পেয়ে আসছেন। এই বছর এই পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে কাজী হায়াৎ এবং চলচ্চিত্র সাংবাদিকতায় পাক্ষিক অন্যদিন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। ২৬ অক্টোবর দুপুরে তেজগাঁওস্থ চ্যানেল আই কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে।
ফজলুল হক স্মৃতি কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমীরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২৬ অক্টোবর ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চ্যানেল আই স্টুডিওতে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার ২০২১’ প্রদান করা হবে। এ পুরস্কারের অর্থমূল্য প্রতিটি ২৫ হাজার টাকা, সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন চলচ্চিত্রের এই গুণী মানুষটিকে শ্রদ্ধা জানাতে তাদের একটি মূল মিলনায়তনের নামকরণ করেছে ‘ফজলুল হক স্মৃতি মিলনায়তন’। চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহীদের জন্য সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গড়ে তোলা হয়েছে ‘ফজলুল হক ইন্সটিটিউট অব মিডিয়া স্টাডিজ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
কথাশিল্পী রাবেয়া খাতুন তার সহধর্মিণী। জ্যেষ্ঠপুত্র ফরিদুর রেজা সাগর শিশুসাহিত্যিক ও টিভি ব্যক্তিত্ব এবং ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লি. ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ছোট ছেলে ফরহাদুর রেজা প্রবাল বাংলাদেশ টেলিভিশনের এক সময়ের জনপ্রিয় উপস্থাপক ও বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী স্থপতি। বড় মেয়ে কেকা ফেরদৌসী বিশিষ্ট রন্ধনবিদ ও ছোট মেয়ে ফারহানা মাহমুদ কাকলী গৃহিণী।
এর আগে ‘ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার’ পেয়েছেনসাইদুল আনাম টুটুল এবং ফজল শাহাবুদ্দিন (২০০৪), চাষী নজরুল ইসলাম ও আহমদ জামান চৌধুরী (২০০৫), হুমায়ূন আহমেদ ও রফিকুজ্জামান (২০০৬), সুভাষ দত্ত ও হীরেন দে (২০০৭), গোলাম রাব্বানী বিপ্লব ও আবদুর রহমান (২০০৮), আমজাদ হোসেন ও সৈয়দ শামসুল হক (২০০৯), মোরশেদুল ইসলাম ও চিন্ময় মুৎসুদ্দী (২০১০), ই আর খান ও অনুপম হায়াৎ (২০১১), নাসিরউদ্দিন ইউসুফ ও গোলাম সারোয়ার (২০১২), রাজ্জাক ও রেজানুর রহমান (২০১৩), সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী ও আরেফিন বাদল (২০১৪), মাসুদ পারভেজ ও শহীদুল হক খান (২০১৫), আজিজুর রহমান ও মোস্তফা জব্বার (২০১৬), আবদুল লতিফ বাচ্চু ও নরেশ ভুঁইয়া (২০১৭), মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও শফিউজ্জামান খান লোদী (২০১৮), কোহিনূর আখতার সুচন্দা ও রাফি হোসেন (২০১৯) এবং আলমগীর ও দীপেন (২০২০)।
Leave a Reply
Your identity will not be published.