স্মৃতি ইরানী: ফ্যাট টু ফিট

স্মৃতি ইরানী: ফ্যাট টু ফিট

স্মৃতি ইরানী এখনও লাবণ্যে ঝলমল করছেন, ফিরে পেয়েছেন আগের রূপ।

স্টার প্লাসের ‘কিউ কি শাস বি কাভি বাহু থি’ সিরিয়ালের কথা মনে পড়ে? মনে পড়ে সেই সিরিয়ালের তুলসীর কথা? হ্যাঁ, সেই মুখ্য নারী চরিত্র তুলসীর ভূমিকায় যিনি অভিনয় করেছিলেন, সেই স্মৃতি ইরানী এখন ভারতের কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়নমন্ত্রী।

সেই স্মৃতি ইরানীর সাম্প্রতিক একটি ছবি দেখে চমকে গেছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। গণমাধ্যম তাকে বলছে, ‘ফ্যাট টু ফিট’। তাদের কাছে মনে হয়েছে, এ যেন দুই দশক আগের সেই তুলসী! কৌতূহলী অনেকেই জানতে চেয়েছেন তার ডায়েট সম্পর্কে। স্মৃতির ঘনিষ্ঠ বন্ধু, স্বনামধন্য প্রযোজনা সংস্থা বালাজির কর্ণধার একতা কাপুর মন্তব্য করেছেন, ‘ডায়েট বন্ধ করো। আমার ঈর্ষা হচ্ছে।’

কী খেয়ে ওজন কমিয়ে লাবণ্যময়ীতে পরিণত হয়েছেন স্মৃতি ইরানী? জানা গেছে, তিনি গত দেড় মাস খাবারের তালিকায় গ্লুটেন বা দুগ্ধজাত কোনো আইটেম রাখেন নি।

যারা ওজন কমাতে চান, তারা স্মৃতিকে অনুসরণ করতে পারেন। এ ধরনের খাদ্যাভ্যাসে যে-কোনো খাবার যেখানে দুধ বা দুগ্ধজাত কোনো কিছু রয়েছে, তা এড়িয়ে চলতে হবে। গ্লুটেনের ক্ষেত্রেও একই কথা। ময়দার যে-কোনো পদ যাতে সহজেই একটি নির্দিষ্ট আকার পায়, তাতে সাহায্য করে গ্লুটেন। গ্লুটেনের অবশ্য কোনো পুষ্টিগুণ নেই। বরং কারও কারও গ্লুটেন থেকে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। সাধারণত যে খাবারগুলো থেকে আমাদের শরীরে নানা রকম অ্যালার্জি হয়ে হজমশক্তি কমে যায়, সেগুলো এই খাদ্যাভ্যাসে দূর করা যায়। ফলে হজম ভালো হয়।

এই খাদ্যাভ্যাস জীবনযাপনে পরিবর্তন আনে। তবে সাধারণ ঘরোয়া খাবার খাওয়া যেতেই পারে। শুধু লক্ষ রাখতে হবে, সেখানে যেন কোনো দুগ্ধজাত খাবার অথবা গ্লুটেন না থাকে। আর এই খাদ্য তালিকায় শস্য, বাদাম, বীজ জাতীয় খাবার বেশি করে রাখতে হবে।

গ্লটেন বা দুগ্ধজাত খাবার বাদ দিলেই যে ওজন অনেক কমে যাবে, তা কিন্তু নয়। তবে আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, এই খাদ্যাভ্যাসে মানুষের হজমশক্তি অনেকখানি বেড়ে যায়। তাই সহজেই হজম হয় খাবার। হরমোনের ক্ষরণ হয় সঠিক মাত্রায়। ফলে শরীরও হারানো লাবণ্য ফিরে পায়।

Leave a Reply

Your identity will not be published.