ঘটনাটি বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। কেউ কল্পনা করে নি। করবেই বা কীভাবে- কোনো টানাপড়েনের খবর তো ছিল না। হঠাৎ করেই বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণাটি এল। অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান ও সায়রা বানুর মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকেই। বিস্মিত হওয়ার মতোই ব্যাপারটি। ছাড়াছাড়িকে কেন্দ্র করে কেউ কাউকে অভিযুক্ত করেন নি, কেউ কাউকে অসম্মান না করেই ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছেন তারা।
বিচ্ছেদের খবর জানিয়ে এ আর রাহমান ও সায়রা বানু যে বিবৃতি দিয়েছেন, মোটাদাগে সেখানে কারণ হিসেবে ‘মানসিক দূরত্ব’কে উল্লেখ করেছেন তারা। এ রহমানের ভাষ্য, ‘মনে হয় সবকিছুরই এমন শেষ আছে, যা আগে থেকে বোঝা যায় না। ভাঙা হৃদয়ের ভার স্রষ্টার সিংহাসনও কাঁপিয়ে দিতে পারে। ভঙ্গুর পরিস্থিতিতে সবকিছুর অর্থ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছি। যদিও ভেঙে যাওয়া সম্পর্কের টুকরাগুলো আর আগের জায়গা ফিরে পেতে না–ও পারে।’
১৯৯৫ সালে সায়রা বানুর সঙ্গে সংসারজীবন শুরু করেন এ আর রাহমান। একাধিক সাক্ষাৎকারে শিল্পী জানিয়েছিলেন, সায়রা বানুর সঙ্গে বিয়েটা হয়েছিল পারিবারিক পছন্দে। তবে সায়রার সঙ্গে রহমানের কিছু সাংস্কৃতিক মতপার্থক্য রয়েছে এবং সেটি তাঁরা সামলে নিয়েছেন।
প্রভাবশালী সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গায়ক এ আর রহমান ২৩ বছর বয়সে ধর্মান্তরিত হয়ে সপরিবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তাঁর নাম ছিল দিলীপ কুমার। ১৯৯২ সালে তামিল ছবি ‘রোজা’ দিয়ে সুরকার হিসেবে তার যাত্রা। পরে ১৯৯৫ সালে রাম গোপাল ভার্মার ‘রঙ্গীলা’র মধ্য দিয়ে সংগীত বলিউড-যাত্রা শুরু করেন রহমান।
ড্যানি বয়েলের ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’-এর জন্য অস্কার, গ্র্যামি, বাফটা ও গোল্ডেন গ্লোব জিতেছিলেন এ আর রাহমান। এ ছাড়া তাঁর ঝুলিতে আছে ভারতের ছয়টি জাতীয় পুরস্কার। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে আছে এ আর রহমানের অগণিত ছাত্র, শিষ্য ও ভক্ত।
Leave a Reply
Your identity will not be published.