মিমির উপস্থাপনায় ‘জয়জয়ন্তী’

মিমির উপস্থাপনায় ‘জয়জয়ন্তী’

অভিনয়ের পাশাপাশি উপস্থাপনায় সফল হয়েছেন- বিশ্বে এমন শিল্পীর সংখ্যা কম নয়। বাংলাদেশেও অনেকে একইসঙ্গে দুই অঙ্গনে সুনাম পেয়েছেন। শম্পা রেজা, শান্তা ইসলাম, সারা যাকের, সুবর্ণা মুস্তাফা, অপি করিম, বণ্যা মির্জাসহ আরও অনেক অভিনেত্রী উপস্থাপনায় পেয়েছেন বাহবা, প্রশংসা। এবার জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী আফসানা মিমি আসছেন উপস্থাপক হয়ে।  

অভিনেত্রী ও নির্মাতা আফসানা মিমির উপস্থাপনা ও পরিচালনায় শুরু হচ্ছে তরুণদের নানা ভাবনা নিয়ে অনুষ্ঠান ‘জয়জয়ন্তী’। নজরুল সৈয়দের গ্রন্থনায় আফসানা মিমির উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটির প্রথম পর্ব প্রচার হবে আগামী ২৭ জানুয়ারি। এরপর থেকে অনুষ্ঠানটি প্রতি মাসের শেষ শুক্রবার চ্যানেল আইতে প্রচার হবে।

চলচ্চিত্র ‘পাপপুণ্য’ ও ওয়েব ফিল্ম ‘নিখোঁজ’— এই হচ্ছে মিমির সবশেষ পর্দা-উপস্থিতি। তাঁর নতুন ছবি ‘পাতাল ঘর’ রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। সম্প্রতি এর উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়েছে। ছবিটি তৈরি হয়েছে করোনাকালীন এক পরিবারের মা ও মেয়ের গল্প নিয়ে।

আফসানা মিমি ১৯৯০ সালে বিটিভিতে প্রচারিত ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের মাধ্যমে পরিচিতি পান। মিমির অভিনয়ে অভিষেক হয়েছিল ব্যতিক্রম নাট্যগোষ্ঠীর হয়ে মঞ্চে ওঠার মাধ্যমে ১৯৮৬ সালে। তারপর ছোটপর্দায় প্রথম অভিনয় করেন ‘জিরো পয়েন্ট’ নামের নাটকে। এভাবে অভিনয় জগতে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে পথচলা তাঁর। ২০২০ সালের নভেম্বরে ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’তে নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক হিসেবে যোগ দেন মিমি।

‘জয়জয়ন্তী’র আগেও উপস্থাপনায় দেখা গেছে মিমিকে। বিশেষ ‍দিবস উপলক্ষে প্রায়ই টিভিতে উপস্থাপনা করেছেন এই শিল্পী। প্রয়োজক সূত্রে জানা গেছে, ‘জয়জয়ন্তী’ প্রথম পর্বে রয়েছে বাংলাদেশ নিয়ে তরুণদের ভাবনা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে তারা কেমন বাংলাদেশ চায়? বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে তরুণদের সম্পৃক্ততা বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের নানা প্রশ্নের জবাবও দেন আফসানা মিমি।

Leave a Reply

Your identity will not be published.