আফজাল হোসেন সব্যসাচী শিল্পী। নানা গুণে গুণান্বিত। তিনি একাধারে অভিনেতা, পরিচালক, কথাসাহিত্যিক, কবি, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, অলংকরণশিল্পী, কার্টুনিস্ট, শিল্প-নির্দেশক, উপস্থাপক, বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাতা...।
১৯ জুলাই একুশে পদকপ্রাপ্ত বহুমুখী প্রতিভার এই মানুষটির সত্তর বছর পূর্ণ হচ্ছে। এই উপলক্ষে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ স্বরূপ এই বিশেষ রচনাটি তুলে ধরা হলো।
অভিনয়ের ভুবনে
আফজাল হোসেনকে এ দেশের মানুষ প্রথম চেনে অভিনেতা হিসেবে। তিনি প্রথম অভিনয় করেন ছোটবেলায়, নিজ গ্রামে, সাতক্ষীরার জেলার পারুলিয়ায়। নাটকের নাম ‘সিরাজউদ্দৌলা’। এর প্রথম প্রদর্শনী হয়েছিল গ্রামের মা-খালা-ফুফু-চাচিদের আর্থিক সহযোগিতায়। পরে বিষয়টি নিয়ে গ্রামে সাড়া পড়ে গেলে আবারও মঞ্চস্থ হয় নাটকটি।
আফজাল সত্যিকার অর্থে মঞ্চে প্রথম অভিনয় করেন আল মনসুর রচিত ‘বিদায় মোনালিসা’ নাটকে। পরিচালক ছিলেন মারুফ আহমেদ। তৎকালীন সময়ের টিভি সংবাদ পাঠক। ঢাকা আর্ট কলেজের ছাত্র সংসদের উদ্যোগে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছিল। আর সেই সংসদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন আফজাল হোসেন।
‘বিদায় মোনালিসা’ নাটকে আফজালের অভিনয় দেখার পর ঢাকা থিয়েটারের প্রাণপুরুষ নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বলেছিলেন, ‘তুমি কি সিরিয়াসলি অভিনয় করতে চাও? নাকি এমনি অভিনয় করলে? যদি সিরিয়াসলি অভিনয় করতে চাও তাহলে গ্রুপ থিয়েটারে জয়েন করতে পার।’ এভাবেই ঢাকা থিয়েটারে যোগ দেন আফজাল হোসেন। অভিনয় করেন মুনতাসির ফ্যান্টাসি, শকুন্তলা, কেরামত মঙ্গল, হাত হদাই ইত্যাদি নাটকে।
ঢাকা থিয়েটারের হয়ে মঞ্চে বিচিত্র সব চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন। যেমন ‘কেরামত মঙ্গল’ নাটকটিতে তার অভিনীত চরিত্রটি ছিল রাজাকার কমান্ডারের।
একটানা নয় বছর মঞ্চে অভিনয় করেছেন আফজাল। তারপর যখন বিজ্ঞাপনী সংস্থা মাত্রা শুরু করলেন, তখন এই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে দাঁড় করানোর জন্যেই এতে পূর্ণ মনোযোগ দিলেন। থিয়েটার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেন। কেননা মঞ্চনাটকে অভিনয় ও মাত্রার কাজ—এই দুটো বিষয়ে সমান আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করা সম্ভব হচ্ছিল না।
আফজাল টিভিতে প্রথম অভিনয় করেন ১৯৭৫ সালে, আবদুল্লাহ আল মামুনের ‘রাইফেল’-এ। এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন। বিশেষ কিছু নাটকের মধ্যে রয়েছে— চেহারা, রক্তের আঙুরলতা, হাজার বছর ধরে, দেবদূত, বাবার কলম কোথায়, অলৌকিক, এখন জোয়ার, কূল নাই কিনারা নাই, জোহরা ইত্যাদি।
একসময় বিটিভিতে আফজাল হোসেন একটির পর একটি নাটকে আদর্শবাদী অথবা রোমান্টিক সব চরিত্রে অভিনয় করে গেছেন। বিষয়টিকে তিনি প্রাপ্তি হিসেবেই দেখেন। কেননা এইসব চরিত্রে মানুষ তাকে গ্রহণ করেছিল, ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছিলেন আফজাল।
জনসাধারণের রায় জানার সুযোগ আফজালের ভালোভাবেই হয়েছিল। তিনি টিভি অভিনেতা হিসেবে নিজেকে ভাঙার বাসনায় ‘কুসুম ও কীট’ লিখেছেন এবং টিভির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অভিনয় করেছেন মাদকাসক্ত এক যুবকের ভূমিকায়। নাটকটি প্রচারিত হওয়ার পর ভীষণ প্রশংসিত হয়। অসংখ্য মানুষ চিঠি লিখে তখন এই অনুরোধ করেছিলেন আফজালের কাছে—তিনি যেন এমন খারাপ চরিত্রে আর অভিনয় না করেন। আফজাল মানুষের এ রায়কে মেনে নেন। এভাবেই আমরা ওই অভিনেতা আফজালকে হারালাম, যিনি বিচিত্র সব চরিত্রে টিভিতে অভিনয়ের সামর্থ্য রাখেন, যার প্রমাণ তিনি রেখেছিলেন মঞ্চনাটকে।
চলচ্চিত্র জগতে আফজাল হোসেন পা রাখেন ১৯৮৩ সালে। ‘নতুন বউ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। এটি ছিল তখনকার চলচ্চিত্র মুগল কাজী জহির প্রযোজিত চলচ্চিত্র। এখানে আফজালের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন ববিতা ও সুবর্ণা মুস্তাফা। ছবিটি ব্যবসা সফল হয় নি। অতঃপর উদয়ন চৌধুরীর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ডাক দিয়ে যাই’-তে অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রটির কাজ ৬০ ভাগ হওয়ার পরেই বন্ধ হয়ে যায়। এ ছবিটি আর শেষ হয় নি। তারপর চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে অভিনয় করেন আবদুল্লাহ আল মামুনের ‘দুই জীবন’ (১৯৮৮)-এ। এখানে তিনি সফল হন। ছবিটি দর্শক-আনুকূল্য লাভ করে। তারপর আর কোনো চলচ্চিত্রের প্রধান ভূমিকায় আফজাল অভিনয় করেন নি। ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘পালাবে কোথায়’-এ; অভিনয় করেছেন ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এ।
ক্যামেরার পেছনে
টিভি নাটকের পরিচালক হিসেবেও আফজাল সফল। এক পর্বের বহু নাটক তাঁর কাছ থেকে পাওয়া গেছে। এইসব নাটকে প্রেম, ভালোবাসা, বাস্তবতা, আর্থ-সামাজিক অবস্থা—নানা কিছুই মূর্ত হয়ে উঠেছে। নিজের লেখা ‘কুসুম ও কীট’ নাটকটি তিনি নতুন করে টিভি পর্দায় উপস্থাপন এবং পরিচালনাও করেছেন। তবে তিনি প্রশংসিত হয়েছে সবচেয়ে বেশি ফরিদুর রেজা সাগরের গোয়েন্দা সিরিজ ছোটকাকু সিরিয়াল পরিচালনা করে। এখানে ছোটকাকুর ভূমিকায় তিনি অভিনয়ও করেছেন।
আফজাল হোসেন একটি চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেছেন—‘মানিকের লাল কাঁকড়া’। এটি নির্মিত হয়েছে মানিক বন্দ্যোপাধ্যয়ের জীবনীভিত্তিক আনজীর লিটনের কিশোর উপন্যাস অবলম্বনে। সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে।
উপস্থাপনা
একদা বিটিভিতে আফজালের উপস্থাপনায় ‘আপন প্রিয়’ নামে একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছিল। উপস্থাপনায় নতুন একটি ধারাও প্রবর্তন করেছিলেন তিনি। পরে ‘লাক্স চ্যানেল আই পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ডস’, ‘সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস’সহ বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেছেন আফজাল।
লেখালেখি
আফজাল হোসেন একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক। তাঁর লেখালেখির সূচনা ১৯৭১ সালে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। তখন এদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলছে। প্রথম লেখাটি মৌলিক ছিল না। তাই আত্মগ্লানিতে ভুগে তিনি প্রথম লিখে ফেলেন একটি গল্প। এক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু নিয়ে। এতে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে না পারার গ্লানি থেকে তিনি কিছুটা মুক্তি লাভ করেছিলেন।
গত শতকের আশির দশকে প্রকাশিত হয় গল্পগ্রন্থ ‘যুবকদ্বয়’। অভিনব একটি গ্রন্থ। একই মলাটের ভেতর দুই লেখক ইমদাদুল হক মিলন ও আফজাল হোসেনের গল্প ঠাঁই পেয়েছে। পরে প্রকাশিত হয়েছে আফজালের চারটি উপন্যাস—বিরহকাল, পারলে না রুমকি, কানামাছি এবং কুসুম ও কীট। ‘বিরহকাল’-এ হৃদয়ঘটিত ব্যাপার-স্যাপার, যন্ত্রণা মূর্ত হয়ে উঠেছে। ‘পারলে না রুমকি’-তে ফুটে উঠেছে এক তরুণ দম্পতির সম্পর্কের টানাপোড়েন। ‘কানামাছি’-তে মূর্ত হয়ে উঠেছে আমাদের এই সমাজের মানুষের সম্পর্ক, বিচ্ছিন্নতার গল্প।
আফজাল হোসেন টিভি নাটক লিখতে শুরু করেন গত শতকের আশির দশকের প্রথম পর্যায়ে। প্রথম নাটক ‘জীবনে জীবনে’। নাটকটি প্রচারিত হওয়ার পরে সবাই খুব প্রশংসা করলে আফজাল উৎসাহ বোধ করেন এবং লিখেন একের পর এক নাটক। এই পর্যন্ত লেখা নাটকের সংখ্যা বিশের অধিক। উল্লেখযোগ্য নাটক হচ্ছে: পারলে না রুমকি, কৃষ্ণপক্ষ, কুসুম ও কীট, সুন্দর সর্বনাশ...। বন্ধু হুমায়ূন ফরীদিকে টিভি মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যেও তিন-চারটি নাটক লিখেছেন আফজাল। ফরীদির জন্যে লেখা আফজালের প্রথম নাটক হচ্ছে ‘সেতু কাহিনী’।
আফজাল হোসেন কবিতাও লিখেছেন। এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে তিনটি কবিতার বই—তিন নারীর পাঠশালা, শুধু একটাই পা, কোনো জোনাকি এ অন্ধকার চেনে না।
আঁকাআঁকি
ছোটবেলা থেকেই আফজাল ছবি আঁকতে ভালোবাসেন। ১৯৭১ সালে আর্ট কলেজে তিনি ভর্তি হন। ১৯৭৫ সালে ফাইন আর্টসে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
আফজালের আঁকা বিভিন্ন কার্টুন নিয়ে ১৯৭১ সালে, মুক্তিযুদ্ধের আগুনঝরা এক দিনে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বসির হাটে, এক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রদর্শনীর কার্টুনে মূর্ত হয়ে উঠেছিল দেশ, রাজনীতি, মানুষ।
কার্টুন আঁকার সূত্রেই আফজাল পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। গত শতকের সত্তর দশকে পূর্বদেশ, ইত্তেফাকসহ বিভিন্ন পত্রিকার জন্যে তিনি কার্টুন এঁকেছেন। গল্প-উপন্যাসের অলংকরণ করেছেন।
আফজাল বইয়ের প্রচ্ছদ করেন প্রথম একটি শিশুতোষ গ্রন্থের। তখন তিনি আর্ট কলেজে পড়তেন। এক সিনিয়র স্টুডেন্ট কাজটা তাঁকে দিয়ে করিয়ে নিয়েছিলেন। তবে সেটা আফজালের নামে ছাপা হয় নি। দ্বিতীয় ঘটনাটি অবশ্য উল্লেখ করার মতো। যখন এদেশে চার রঙের প্রচ্ছদের তেমন প্রচলন ছিল না, তখন আফজাল রাবেয়া খাতুনের উপন্যাস ‘ফেরারী সূর্য’-এর প্রচ্ছদ করেন। তাঁর আঁকা উল্লেখযোগ্য প্রচ্ছদের মধ্যে রয়েছে: সিকদার আমিনুল হকের ‘পারাবত এই প্রাচীরের কবিতা’ (জলরঙ ওয়াশ টেকনিকে পারাবতের পাখার নানান ছন্দ এখানে মুখ্য হয়ে দেখা দিয়েছে); হেলাল হাফিজের ‘এখন যৌবন যার’ (বিমূর্ত রীতিতে প্রতীকী বিষয় ফুটে উঠেছে); নিজের লেখা ‘পারলে না রুমকি’ (রঙিন পেন্সিলে নারীমুখ, সেই মুখের উপর লম্বালম্বি করে কালো সরল রেখা টেনে দেওয়া হয়েছে)। আধুনিক মনোভঙ্গির এরকম আরও কয়েকটি প্রচ্ছদ হচ্ছে : শাদা পরী, মোহর আলী, যুবকেরা, বায়ান্নোর এক গলি, বারো দিনের শিশু, এ শহর, টেবিলে আপেলগুলো হেসে ওঠে...।
মঞ্চনাটকের শিল্পনির্দেশক হিসেবেও আফজাল হোসেনের কাজ তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথম তিনি ‘বিদায় মোনালিসা’ নাটকের সেট তৈরি করেছিলেন। পরে ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরে ‘মুনতাসীর ফ্যান্টাসি’ ও ‘শকুন্তলা’সহ বিভিন্ন নাটকের সেট ডিজাইন করেন।
মাত্রা এবং বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ
১৯৮৪ সালে বন্ধু সানাউল আরেফিনের সঙ্গে মিলে আফজাল হোসেন ‘মাত্রা’ প্রতিষ্ঠা করেন, তখন তা একটি ইতিহাস সৃষ্টি করে। আফজাল বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনচিত্রের চেহারাও বদলে দেন।
মাত্রা একটা কমপ্লিট অ্যাড এজেন্সি। ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো, শুরুতে মাত্রা কিন্তু ক্লায়েন্টের সঙ্গে লো প্রোফাইলে ডিল করে। ধীরে ধীরে ক্লায়েন্টের কাছে উন্মোচিত হয় মাত্রার স্বরূপ, তখনই তিনি বুঝতে পারেন মাত্রা শুধু ভালো কাজই করে না, ব্যাপক পরিসরে কাজ করে। এ পর্যন্ত মাত্রা বেশ কয়েকটি প্রোডাক্টকে শূন্য অবস্থা থেকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং সেগুলো বাজারে প্রতিষ্ঠিতও করেছে। এ প্রসঙ্গে পিয়ারসন্স, ম্যানোলা, কালার জোন্স, রোমানা পেইন্ট, বেক্সিফেব্রিক্স্, স্টারশিপ কনডেন্সড মিল্ক-এর কথা বলা যায়। বাংলাদেশে তৈরি বিভিন্ন শাড়ি, যেমন—জনি, পাকিজা, প্রাইডকে জনপ্রিয় করে তোলে মাত্রা তথা আফজাল হোসেন, বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণের মাধ্যমে।
আফজাল হোসেনই এ দেশের বিজ্ঞাপনচিত্রের চেহারা বদলে দেন। মাত্রা যাত্রা শুরু করার পর থেকে বিজ্ঞাপনচিত্রে নতুন হাওয়া লাগে; আধুনিক শৈলীতে উদ্ভাসিত হয়।
আফজালের নির্মিত প্রথম বিজ্ঞাপনচিত্র হলো ‘পিয়ারসন্স’। এই বিজ্ঞাপনচিত্রে স্লো মোশনে দেখা গিয়েছিল একটি সাদা কেশরের ঘোড়া, তৎসঙ্গে দেখানো হয়েছিল পিয়ারসন্সের পোশাক। আর পর্দায় ভেসে উঠেছিল একটি বাক্য, ‘আজ এবং আগামীকালের পোশাক’।
আফজাল হোসেন গত চল্লিশ বছরে অসংখ্য বিজ্ঞাপনচিত্র তৈরি করেছেন। শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এই মাধ্যমটিকে। বহুজনকে মডেল হিসেবে সুপরিচিত করেছেন।
শুক্রবার ১৯ জুলাই আফজাল হোসেনের সত্তর বছর পূর্তি হবে। আমাদের প্রত্যাশা, আফজাল হোসেন শতায়ু হবেন। এই প্রিয় সব্যসাচী শিল্পীর প্রতি অন্যদিন-পরিবারের শ্রদ্ধা।
Leave a Reply
Your identity will not be published.