রত্নগর্ভা জননী নূরজাহান সরকারের ইন্তেকাল

রত্নগর্ভা জননী নূরজাহান সরকারের ইন্তেকাল

রত্নগর্ভা জননী নূরজাহান সরকারের ইন্তেকাল

রত্নগর্ভা জননী এবং লেখক নূরজাহান সরকার আজ শনিবার ভোর ৪.৫৮ মিনিটে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন)। বাদ জোহর ধানমণ্ডি তাকওয়া মসজিদে তাঁর জানাজার অনুষ্ঠিত হবে। অতঃপর তাঁকে কবরস্থ করা হবে আজিমপুর কবরস্থানে। 
নূরজাহান সরকারের জন্ম ১৯৩৪ সালের ১৪ জুন, সিরাজগঞ্জ জেলার চড়িয়া উজির গ্রামে। বাবা প্রয়াত মাহতাব উদ্দীন তালুকদার। মা প্রয়াত শামসুন্নাহার।
সাংস্কৃতিক আবহের মধ্যে বড় হয়েছেন তিনি। শৈশব-কৈশোর কেটেছে পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবার ও কলকাতায়। বেগম রোকেয়া প্রতিষ্ঠিত সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুলের ছাত্রী ছিলেন একসময়। সাম্প্রতিক দাঙ্গার ভয়াবহতা আর দেশভাগের মর্মান্তিক ঘটনার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। এই দুর্যোগের কিছুকাল আগে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রিয়াজউদ্দিন সরকারের সঙ্গে। তাঁদের প্রায় ৫০ বছরের দাম্পত্যজীবনের ছেদ ঘটে ১৯৯৬ সালের ৪ এপ্রিল স্বামীর প্রয়াণে। তাঁর পাঁচ পুত্র ও তিন কন্যা। কনিষ্ঠ পুত্র মাজহারুল ইসলাম পাক্ষিক ‘অন্যদিন’-এর সম্পাদক এবং প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘অন্যমেলা’র প্রধান নির্বাহী। অন্য সন্তানরাও নিজ নিজ ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। এরই স্বীকৃতি হিসেব ২০০৮ সালে আজাদ প্রোডাক্টস-এর ‘রত্নগর্ভা মা’ নির্বাচিত হন তিনি। 
নূরজাহান সরকারের গ্রন্থ ‘স্মৃতির জানালা’। এই স্মৃতিকথায় মূর্ত হয়ে ওঠেছে নূরজাহান সরকারের শৈশব-কৈশোর, কলকাতায় বসবাস, ১৯৪৭-এর ভারত বিভাগ, সারদা পুলিশ একাডেমিতে জীবন যাপন, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ছেলেমেয়েদের কথা, সিঙ্গাপুর-ভারত-কানাডা এবং ইস্তাম্বুল ভ্রমণের স্মৃতি। এছাড়া ২০০০ সালের জুনে নিজের গড়া নন্দনকানন নুহাশপল্লীতে কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ সদ্য বিবাহিত মাজহারুল ইসলামকে যে সংবর্ধনা দিয়েছিলেন, সেই মধুর স্মৃতিও রয়েছে নূরজাহান সরকারের এই গ্রন্থে।

Leave a Reply

Your identity will not be published.