ধারাবাহিক রচনা নায়করাজ রাজ্জাক (পর্ব-১১)

ধারাবাহিক রচনা  নায়করাজ রাজ্জাক  (পর্ব-১১)

[এই ধারাবাহিক রচনাটিতে প্রয়াত চিত্রনায়ক রাজ্জাকের জীবন ও কেরিয়ারের নানা দিকের ওপর আলো ফেলা হবে। এখানে নায়করাজ রাজ্জাক সম্পর্কে পাঠকদের নানা কৌতূহল মিটবে, নানা প্রশ্নের উত্তর মিলবে।

এখানে মূর্ত হয়ে উঠবে রাজ্জাকের শৈশব-কৈশোর-তারুণ্যের দিনগুলি, জীবন সংগ্রাম, নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ এবং পর্যায়ক্রমে নায়করাজ হয়ে ওঠা...। থাকবে সেরা চলচ্চিত্র, সেরা গানের কথা। তাঁর নায়িকা ও পরিচালকদের প্রসঙ্গও উঠে আসবে। চলচ্চিত্রে যেসব কণ্ঠশিল্পীর গানের সঙ্গে তাঁর ঠোঁটের মেলবন্ধন ঘটেছিল, থাকবে তাঁদের কথাও। পরিচালক রাজ্জাক সম্পর্কেও পাঠকেরা জানতে পারবেন; জানতে পারবেন টালিউডে তাঁর দ্বিতীয় ইনিংসের কথা। পরিশেষে অন্য এক রাজ্জাকের অবয়বও ফুটে উঠবে এখানে।

এবার তুলে ধরা হলো রাজ্জাক যে সমস্ত পরিচালকের ছবিতে কাজ করেছেন, তাঁদের কথা।]

চলচ্চিত্র হচ্ছে যৌথ শিল্প মাধ্যম। চিত্রগ্রাহক, শব্দগ্রাহক, শিল্পনির্দেশক, আলোক নিয়ন্ত্রণকারী বা অন্যান্য বিভাগের কর্মীদের সম্মিলিত প্রয়াসে ও অক্লান্ত পরিশ্রমে নির্মিত হয় একটি চলচ্চিত্র। কিন্তু চলচ্চিত্র যেখানে শিল্প হয়ে ওঠে, সেখানে কাজ করে একজন স্রষ্টার সার্বিক সম্পৃক্ততা। যার সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘এক কথায় তিনি জাহাজের ক্যাপ্টেন যাকে ইঞ্জিনঘর থেকে আরম্ভ করে মাস্তুল অবধি সবকিছুর ওপরই অভিজ্ঞানসম্পন্ন দৃষ্টি রাখতে হয়’ (আলমগীর কবির, ভূমিকা, চিত্রনাট্য, ঢাকা, ১৯৭৯, পৃ.ঙ)। যার শিল্পবোধ, মেধা, মনন, অভিজ্ঞতা, চর্চা, রাজনৈতিক ভাবনা এবং সর্বোপরি গভীর চলচ্চিত্রবোধের ওপর নির্ভরশীল একটি চলচ্চিত্রের চরিত্র। চলচ্চিত্র যখন থেকে শিল্পের মর্যাদা পেয়েছে তখন থেইে এটি সারা বিশ্বে ‘পরিচালকের মাধ্যম’ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র পরিচালক প্রসঙ্গে বলা যায়, এখানে চলচ্চিত্রশিল্পের সূচনালগ্নে নবীন কয়েকজন চলচ্চিত্রকারকে দেখা গিয়েছিল, যারা তারুণ্যের শক্তিমত্তা ও আন্তরিকতা দিয়ে এ মাধ্যমটির ব্যাকরণ আয়ত্ব করতে চেয়েছিলেন। রাজ্জাক সৌভাগ্যবান যে তিনি সেইসব পরিচালকের মধ্যে অধিকাংশের সঙ্গেই কাজ করেছিলেন। স্বাধীনতার পরে আরও বহু পরিচালকের নির্দেশনায় রাজ্জাক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

এখানে কয়েকজন উল্লেখযোগ্য পরিচালকের কথা উল্লেখ করা হলো-

জহির রায়হান

স্বাধীনতা পূর্বকালের বাংলাদেশের সবচেয়ে মেধাসম্পন্ন চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান। কিন্তু বাস্তবতার কারণেই মূলধারার একেবারে বাইরে গিয়ে তার পক্ষে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা সম্ভব হয় নি। অবশ্য এটাও সত্যি যে, তার নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো নান্দনিক দ্যুতিতে উদ্ভাসিত, কোনো কোনো চলচ্চিত্র অপেক্ষাকৃত উন্নত কারিগরি মানসম্পন্ন।

জহির রায়হানের প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ‘কখনো আসে নি’ (১৯৬১)। এ ছিল সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে। পরে তিনি আরও ৭টি কাহিনিচিত্র ও ২টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। প্রযোজনা করেছেন বহু চলচ্চিত্র। তিনিই এদেশের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র ‘সঙ্গম’ এবং প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র ‘বাহানা’ নির্মাণ করেন।  সবচেয়ে কম সময়ে চলচ্চিত্রও প্রযোজনা করেছেন তিনি—মাত্র ২৫দিনে শুটিং থেকে শুরু করে ডাবিং, সম্পাদনাসহ, সবশেষে মুক্তি। ছবিটির নাম ‘দুই ভাই’।

রাজ্জাককে নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে সুযোগ দেন জহির রায়হানই। ছবির নাম ‘বেহুলা’। পৌরাণিক গাথা থেকে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটিও স্বাতন্ত্র্যে সমুজ্জ্বল।

জহির রায়হানের ‘আনোয়ারা’ চলচ্চিত্রের নায়কও রাজ্জাক। ছবিটি শুধু সাহিত্যের চলচ্চিত্ররূপ হিসেবেই নয়, চলচ্চিত্র ভাষার সংযত ও পরিশীলিত ব্যবহারেও এর কয়েকটি সিকোয়েন্স উজ্জ্বল।...কাহিনিচিত্রের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল কীর্তি ‘জীবন থেকে নেওয়া’-তেও ছিলেন রাজ্জাক। তবে এ ছবি যেহেতু ফর্মুলাভিত্তিক চলচ্চিত্র নয়, সেহেতু কেউই তথাকথিত নায়ক কিংবা নায়িকা নয়। এই ছবিতেই প্রথম রাজনৈতিক জীবন স্থান পেয়েছে।

এছাড়া জহির রায়হান প্রযোজিত বিভিন্ন চলচ্চিত্রের নায়ক ছিলেন রাজ্জাক। যেমন—আগুন নিয়ে খেলা, জুলেখা, দুই ভাই, সংসার, সুয়োরানী দুয়োরানী, কুচবরণ কন্যা, মনের মত বউ, শেষ পর্যন্ত, টাকা না পাই ইত্যাদি।

জহির রায়হান সম্পর্কে রাজ্জাকের ভাষ্য হলো: ‘চলচ্চিত্রে আমার এই প্রতিষ্ঠা, সাফল্যের পিছনে যে মানুষটার অবদান অনস্বীকার্য, সেই জহির রায়হানকে আজ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি আমি। চলচ্চিত্রের সেই শুরুর সময়টায় তিনি আমাকে যেভাবে সাহায্য এবং সুযোগ দিয়েছেন তা সাধারণত কোনো মানুষ করে না। যে-কোনো উপদেশের প্রয়োজন হলেই তার কাছে চলে যেতাম আমি। তার কাছ থেকে কোনো ভুল সাজেশন পাই নি আমি কখনো।’

কাজী জহির

কাজী জহির এদেশের আরেক স্বনামধন্য চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিচালক। শুরুতে তিনি উর্দু ছবি পরিচালনা করেছেন। পরে তিনি বাংলা ছবি নির্মাণে ঝুঁকে পড়েন। জহির রায়হান নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘কখনো আসে নি’-র প্রযোজক তিনিই। কাজী জহির হলেন সেই গোত্রের পরিচালক যিনি সারাটা জীবন কোয়ান্টিটির চেয়ে কোয়ালিটির প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। অত্যন্ত খুঁতখুঁতে পরিচালক ছিলেন তিনি। অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীদের কাছ থেকে সেরা কাজটি চাইতেন তিনি। তাদের উত্তরোত্তর উন্নতির জন্য চাপ প্রয়োগ করতেন তিনি। ‘নয়নতারা’ থেকে ‘ফুলের মালা’ পর্যন্ত যে ছয়টি চলচ্চিত্র তিনি পরিচালনা করেছেন সব কটিই সুপার-ডুপার হিট। কোনো কোনো চলচ্চিত্র ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। সামাজিক ছবির এ পরিচালকের ছবিতে প্রেমের পাশাপাশি নির্মল হাস্যরস খুঁজে পাওয়া যায়। কাজী জহির পরিচালিত এবং রাজ্জাক অভিনীত চলচ্চিত্র হচ্ছে : ময়নামতি, মধুমিলন, অবুঝ মন। এই তিনটি চলচ্চিত্র নায়ক রাজ্জাকের ভিতকে শক্ত করেছিল।

কাজী জহির সম্পর্কে রাজ্জাকের ভাষ্য হলো: “কাজী জহির সাহেব কোনো কম্প্রোমাইজ করতেন না। ছবিতে লালশাকের আঁটি লাগবে, কোথায় পাওয়া যাবে জানি না, বলতেন নিয়ে আসো, না হলে শুটিং হবে না। ‘ময়নামতি’ যখন করলাম, দরকার হলো আখের। তখন ঢাকায় তেমন পাওয়া যেত না আখ। আখের জন্য কখনো সাভারে যেতে হচ্ছে, কখনো সদরঘাটে যেতে হচ্ছে। ফ্রেমে একবার এসেছে, খাড়া করে রাখা ছিল আখ, তা-ই রাখতে হবে।” অন্যত্র রাজ্জাক বলেছেন, “আমি কাজ করে আরাম পেয়েছি জহির রায়হান এবং কাজী জহির সাহেবের সঙ্গে।”

 

কামাল আহমেদ

স্বনামধন্য চলচ্চিত্র পরিচালক, বিশেষত সামাজিক ছবির ক্ষেত্রে। তরুণ বয়সে তিনি ঢাকার মঞ্চনাটকে অভিনয় করতেন। পরে চলচ্চিত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। কাজ করেন মহীউদ্দিন ও এহতেশামের সহকারী পরিচালক হিসেবে। প্রথম পরিচালিত ছবি ‘উজালা’। এ ছবিতে কামাল আহমেদের তৃতীয় সহকারী পরিচালক হিসেবে রাজ্জাক কাজ করেন, এমনকি তার দ্বিতীয় ছবি ‘পরওয়ানা’-তেও।

রাজ্জাক অভিনীত কামাল আহমেদের উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো-অধিকার, অশ্রু দিয়ে লেখা, অনির্বাণ, উপহার, অঙ্গার, অনুরাগ, পুত্রবধূ, ভাঙ্গাগড়া, রজনীগন্ধা, গৃহলক্ষী, আওয়ারা, প্রায়শ্চিত্ত।

কামাল আহমেদের যে সমস্ত ছবিতে রাজ্জাক অভিনয় করেছেন সবই পারিবারিক গল্পের ছবি। মূলত এই ধরনের ছবিরই তিনি পরিচালক। পারিবারিক জটিলতা, দাম্পত্যজীবনে সমস্যা, প্রেম ইত্যাদি মূর্ত হয়ে ওঠে কামাল আহমেদের ছবিতে। কোনো কোনো ছবিতে সামাজিক কুসংস্কারের দিকেও তিনি অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন। যেমন—সৈয়দ শামসুল হকের কাহিনি ও চিত্রনাট্যে নির্মিত ‘অধিকার’। এই ছবিতে বিয়ের রাতেই কবরীর স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। এইজন্য তাকে ‘অপয়া’ বলে দোষারোপ করা হয়। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করে কবরীর দেবর রাজ্জাক এবং সে বিয়ে করতে চায় তাকে। বিষয়টি রাজ্জাকের পরিবারের সদস্যরা ভালোভাবে নেয় না। এমন পরিস্থিতি ও সামাজিক অবস্থা কিন্তু তখন—গত শতকের ষাট দশকে—বিরাজ করছিল এদেশে।

কামাল আহমেদ সম্পর্কে রাজ্জাকের ভাষ্য হলো : ‘কামাল আহমেদ আমার খুব প্রিয়। ...সামাজিক ছবির নির্মাতা হিসেবে তার খুব সুনাম ছিল। আমি যে কয়টি ছবি করেছি তার সবগুলোই মিষ্টি ছবি, সবগুলোই হিট হয়েছে।’

সুভাষ দত্ত

বাংলাদেশ চলচ্চিত্রশিল্পের প্রথিতযশা চলচ্চিত্রকার সুভাষ দত্ত। গত শতকের পঞ্চাশ দশকে ‘সুতরাং’-এর মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। গতানুগতিক ধারার বাইরে কিছু সংযোজন করেন। সুভাষ দত্তের চলচ্চিত্রকে তিনটি পর্বে ভাগ করা যায়। প্রথম পর্বের চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তুÑব্যক্তি প্রেমের জটিলতা, দাম্পত্যজীবনের সংকট ও রোমান্টিসিজম, পারিবারিক জীবনের মধুরতা, দুঃখ ও যন্ত্রণা। এবং তৃতীয় পর্বে চড়া সুরের জীবন নাটক প্রাধান্য পেয়েছে।

রাজ্জাক অভিনীত সুভাষ দত্তের ছবিগুলো হচ্ছে—আবির্ভাব, আকাক্সক্ষা, নাজমা, ফুলসজ্জা, স্বামী-স্ত্রী, আগমন, সহধর্মিণী। এইসব ছবি ব্যবসাসফল হয়েছিল। তবে স্বাতন্ত্র্যে সমুজ্জ্বল ‘আবির্ভাব’ ও ‘আকাক্সক্ষা’ ছবি দুটি।

আমজাদ হোসেন

আমজাদ হোসেন এদেশের একজন স্বনামধন্য পরিচালক। ১৯৬৭ সালে নুরুল হক বাচ্চুর সঙ্গে তিনি যুগ্মভাবে পরিচালনা করেন ‘আগুন নিয়ে খেলা’। একক পরিচালনায় প্রথম ছবি হলো ‘জুলেখা’। দ্বিতীয় ছবি ‘বাল্যবন্ধু’। তৃতীয় ছবি ‘পুত্রবধূ’। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্বকালে নির্মিত এইসব ছবিতে আমজাদ হোসেনের কোনো স্বাতন্ত্র্য লক্ষ করা যায় না। নির্মাণ শৈলীর দিক থেকেও ওই সময়ে নির্মিত আমজাদ  হোসেনের ছবিগুলো ছিল নিম্নমানের। ১৯৭৬ সালে নির্মিত ‘নয়নমণি’ থেকে শুরু হয় আমজাদ হোসেনের ছবির নতুন ধারা, যেখানে তার স্বাতন্ত্র্য চোখে পড়ার মতো।

রাজ্জাক অভিনয় করেছেন আমজাদ হোসেনের ‘জুলেখা’, ‘পিতাপুত্র’ এবং ‘দুই পয়সার আলতা’ ছবিতে। এই তিনটি ছবি নায়ক রাজ্জাকের ক্যারিয়ারে নতুন কোনো কিছু যোগ করে নি। আর শেষোক্ত ছবিটা তো একেবারেই নায়িকা প্রধান চলচ্চিত্র। শাবানাই ওই ছবির প্রাণ।

আমজাদ হোসেন সম্পর্কে রাজ্জাকের ভাষ্য হলো: ‘হি ইজ এ গুড ডিরেক্টর। কিন্তু ভীষণ কনফিউজড। না কমার্শিয়াল না আর্ট ফিল্মÑকোনটা করবে সে বুঝে উঠতে পারে না অ্যাজ এ ডিরেক্টর। কিন্তু অ্যাজ এ রাইটার, অ্যাজ এ অ্যাক্টর হি ইজ আনপ্যারালাল।’ বলাই বাহুল্য, রাজ্জাক এমন উক্তি করেছেন নিজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। কিন্তু এ কথা তো স্বীকার করতেই হবে যে, স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে যে দুয়েকজন চলচ্চিত্র পরিচালক কমিটেড ফিল্ম মেকার হিসেবে সমধিক পরিচিতি অর্জন করেছিলেন, তাদের মধ্যে আমজাদ হোসেনেই গড়পড়তা সিনেমা দর্শকদের কাছে বেশি প্রিয় ছিলেন।

এছাড়া রাজ্জাক নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন মোহসিন, আব্দুল জব্বার খান, নারায়ণ ঘোষ মিতা, মহিউদ্দিন, আলমগীর কুমকুম, আজিম, মুস্তাফিজ, এহতেশাম, নজরুল ইসলাম, ইবনে মিজান, বাবুল চৌধুরী, চাষী নজরুল ইসলাম, জহিরুল হক, আজিজুর রহমান, দিলীপ বিশ্বাস, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সাইফুল আজম কাসেম, আবদুল্লাহ আল মামুন, আজহারুল ইসলাম খান, রহিম নেওয়াজ, মোস্তফা আনোয়ার, শিবলী সাদিক, শেখ নজরুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন পরিচালকের সঙ্গে।

 

Leave a Reply

Your identity will not be published.