হাসি! মানুষের এক সহজাত প্রবৃত্তি। কলিকালে অবশ্য নির্মল হাসি দুর্লভই বটে। বিশেষত আজকাল পারিপার্শ্বিকতাসহ নানা কারণে মানুষ প্রাণ খুলে হাসতে ভুলে যাচ্ছে। অথচ শরীর-মনের জন্য হাসি প্রয়োজন। অকৃত্রিম হাসি ফুসফুস ও দেহকে সক্রিয় রাখে।
হাসি বা হাস্যরস নানা ধরনের। এর মধ্যে ‘হিউমার’ সেরা। এ হলো করুণ হাস্যরস। অন্যদিকে ‘উইট’ হলো বৈদগ্ধপূর্ণ হাস্যরস, যার আবেদন বুদ্ধিদীপ্ত মস্তিষ্কে। আবার ‘স্যাটায়ার’ বা ‘ব্যঙ্গরস’ হলো সেটি যা আমাদের মনকে আমোদে উজ্জ্বল না করে আঘাতে দীর্ণ করে তোলে, আমরা হেসে উঠি ব্যঙ্গের হাসি। আবার অনাবিল হাস্যরসও রয়েছে, যাকে বলে কৌতুক রস বা ফান। যেখানে মানুষের স্বাভাবিক স্ফূর্তি প্রবণতা মুক্তি পায়; মানুষ প্রাণ খুলে হেসে ওঠে।
এখানে আমরা তুলে ধরব, কীভাবে শিল্প-সাহিত্যে হাস্যরস মূর্ত হয়ে উঠেছে। শুরুতেই সাহিত্য প্রসঙ্গ।
উল্লাস মল্লিক বলছেন : “বাংলা সাহিত্যে হাস্যরসের শুরুটা অবশ্য হয়েছিল বঙ্কিমচন্দ্রের হাত ধরে। সাহিত্যে হাস্যরসকে স্থূল ভাঁড়ামি আর গ্যাদগেদে আদিরসের চৌহদ্দি থেকে বের করে প্রথম জাতে তুললেন তিনি। তাঁর ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ এক অনন্য সৃষ্টি। সেখানে মুহুর্মুহু আছড়ে পড়েছে ব্যঙ্গের চাবুক।—‘যখন তাঁহার (নসীবাবুর) বাড়িতে নাচ, গান, যাত্রা, পালা—উপস্থিত হয়, তখন দলে দলে মানুষ-কোকিল আসিয়া তাঁহার ঘর-বাড়ি আঁধার করিয়া তুলে—কেহ খায়, কেহ গায়, কেহ হাসে, কেহ কাশে, কেহ তামাক পোড়ায়, কেহ হাসিয়া বেড়ায়, কেহ মাত্রা চড়ায়, কেহ টেবিলের নীচে গড়ায়। যখন নসীবাবু বাগানে যান মানুষ-কোকিল তাহার সঙ্গে পিপীড়ার সাড়ি দেয়। আর যে রাত্রে অবিশ্রান্ত বৃষ্টি হইতেছিল, আর নসীবাবুর পুত্রটির অকালে মৃত্যু হইল, তখন তিনি একটিও লোক পাইলেন না। কাহারও ‘অসুখ’, এজন্য আসিতে পারিলেন না; কাহারও বড় সুখ—একটি নাতি হইয়াছে, এজন্য আসিতে পারিলেন না; কাহারও সমস্ত রাত্রি নিদ্রা হয় নাই, এজন্যে আসিতে পারিলেন না; কেহ সমস্ত রাত্রি নিদ্রায় অভিভূত, এজন্য আসিতে পারিলেন না; আসল কথা সেদিন বর্ষা, বসন্ত নহে, বসন্তের কোকিল সেদিন আসিবে কেন ?’
বঙ্কিমের পর এলেন ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়। তিনি হাস্যরসের সঙ্গে ফ্যান্টাসির মেলবন্ধন ঘটিয়ে নতুন এক ধারার সূচনা করলেন। তাঁর লুল্লু, ডমরুচরিত—এইসব রচনা বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে আছে।
আর একজন লেখক শরৎচন্দ্র। দু-একটি ব্যতিক্রম বাদ দিলে নিছক হাসির লেখা তিনি লেখেন নি ঠিকই বরং নিজেই কবুল করেছেন, দুনিয়ার বঞ্চিত অবহেলিতদের জন্যেই তাঁর কলম ধরা; কিন্তু তাঁর লেখার ছত্রে ছত্রে হাস্যরস। হিউমার। ইন দি ট্রু সেন্স অফ দি টার্ম। পড়তে পড়তে দমকা হাসি আসে, কিন্তু হাসি থামার আগেই যেন ব্যথা ব্যথা করে গলার কাছটা।
একটিও উপন্যাস না লিখে, শুধু গল্প লিখেই বাঙালি পাঠকের মনে চিরস্থায়ী আসন পেয়েছেন পরশুরাম। উইট এবং স্যাটায়ারের অনন্য মেলবন্ধন ঘটিয়েছিলেন তিনি।
এরপর একে একে এলেন বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়, সৈয়দ মুজতবা আলী, প্রমথনাথ বিশী, শিবরাম চক্রবর্তী, প্রেমেন্দ্র মিত্র, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়। আর পরবর্তীকালে এঁদের লেখার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এলেন হিমানীশ গোস্বামী, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, তারাপদ রায়, নবনীতা দেবসেন, ইন্দ্র মিত্র প্রমুখ। এলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। তাঁর ছোটদের জন্যে অদ্ভুতুড়ে সিরিজের লেখাগুলির তুল্য লেখা বিশ্বসাহিত্যে বিরল। ভূত ওঝা কাপালিক চোর দারোগা ভবঘুরেদের নিয়ে তৈরি অলৌকিক মায়াময় এবং মজার জগতে, আট থেকে আশি, মজে গেল সবাই। তিনি ইংরেজি ভাষায় লিখলে, কিংবা তাঁর লেখাগুলির ঠিকঠাক অনুবাদ হলে, হ্যারি পটারের নামই হয়তো জানত না এই গ্রহের মানুষ।
কিন্তু তারপর থেকেই যেন ভাটার টান। এখনকার সচল সাহিত্যিকদের মধ্যে স্বপ্নময় চক্রবর্তী, ভগীরথ মিশ্র, প্রচেত গুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য, তপন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ হাসি এবং ব্যঙ্গাত্মক লেখা লিখলেও তা যেন মরা গাঙে জোয়ার আনার পক্ষে যথেষ্ট নয়। বাণিজ্যিক পত্র-পত্রিকায় মাঝেমধ্যে হাসির গল্প ছাপা হয় বটে, সে-ও বড় দৈবাৎ।”
বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের কথা বলা যাক। ছোটগল্পের ক্ষেত্রে বন্দে আলী মিয়ার ‘শঠেশাঠাৎ’, শওকত ওসমানের ‘মৎস্য’, আবুল মনসুর আহমদের ‘হুজুর কেবল’, আবুল খায়ের মুসলেহ উদ্দিনের ‘আমাদের ঠাণ্ডু মিয়া’, মাহবুব তালকুদারের ‘সদাচার সমাচার’, নিয়ামত হোসেনের ‘ফেলুমামার কবলে ছেলেধরা’, শওকত আলীর ‘শানুর মামা খোঁজা’, হাসান আজিজুল হকের ‘ফুটবল থেকে সাবধান’, সাজেদুল করিমের ‘উল্টো শার্লক হোমস’, বেলাল চৌধুরীর ‘নাকের বদলে নরুন’, এখলাস উদ্দিন আহমেদের ‘লোকটা’, মঈনুল আহসান সাবেরের ‘একদিন এক রোবট কারখানায়’, খান মোহাম্মদ ফারাবীর ‘কেমন জব্দ’, ইমদাদুল হক মিলনের ‘কমলা রঙের ভূত’, মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ‘বিজ্ঞানী সফদর আলি ও কাচ্চি বিরিয়ানি’ ইত্যাদি গল্প হাস্যরসে সমৃদ্ধ।
হাসির উপন্যাসও লিখেছেন কেউ কেউ। যেমন, হুমায়ূন আহমেদের ‘মজার ভূত’, ‘আমরা কেউ বাসায় নেই’; আনিসুল হকের ‘আবার তোরা কিপ্টে হ’, ‘ফাজিল’, ‘জামাই সেজে চোর ঢুকেছিল’, ‘বারোটা বাজার আগে’, ইমদাদুল হক মিলনের ‘বুমার যত হাসির কাণ্ড’, ‘তোমাকে বলি’, ‘নায়কের আড়ালে নায়ক’, ‘আমাদের বাড়িতে একজন দেবী এসেছিল’, ‘আজকের দেবদাস’, ‘কয়েকটি দুষ্টু মেয়ে’।
হাসির গল্প-উপন্যাসের পাশাপাশি একদা অবিভক্ত বাংলার পাঠকদের হাসির খোরাক জুগিয়েছে প্যারডি। প্যারডি হলো পরাশ্রয়ী রচনা। পরের রচনার রূপটিকে অক্ষুণ্ন রেখে ভাবটিকে হাসির স্রোতে ভাসিয়ে দেওয়াটি হলো প্যারডির কাজ। এ প্রসঙ্গে কয়েকটি প্যারডির উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। যেমন—
রবীন্দ্রনাথের ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ কবিতার অনুকরণে প্রবুদ্ধ লিখেছেন ‘নাগরিকের আশাভঙ্গ’—
‘প্রভাতে দেখিনু কে তস্কর
খোলা রেখে গেছে ভাঁড়ার ঘর
কেমনে পশিল রাতের আঁধারে ভেঙে তালা, ভেঙে খিল্।
ভাবিতেই ভয়ে গায়ে কাঁটা দেয়, ধড়ফড় করে দিল্।’
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা’—গানটির অনুকরণে যতীন্দ্র প্রসাদ ভট্টাচার্য লিখেছেন ‘আমার চশমা’—
‘সোনা রূপায় কেমন গড়া, আমাদের এই চশমা জোড়া,
তাহার মাঝে আছে পেবল্ সকল চোখের সেরা;
ও সে পাথর দিয়ে তৈরি সেটা, ধাতু দিয়ে ঘেরা।
এমন চশমা কোথাও খুঁজে পাবে নাকো জানি,
সকল দেশের পূজ্য সে যে আমার চশমাখানি।’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ কবিতার অনুকরণে সতীশচন্দ্র ঘটক লিখেছেন ‘বাংলার ঢেঁকি’—
‘বাংলার ঢেঁকি বাংলার কুলো
বাংলার হাঁড়ি বাংলার চুলো
পূজ্য হউক পূজ্য হউক’
বাংলা কবিতায়ও হাস্যরস প্রবাহিত। যেমন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়। তাঁর ‘নন্দলাল’ কবিতাটি তো বাংলা সাহিত্যে বিখ্যাত হয়ে আছে। হাস্যরস সমৃদ্ধ ব্যঙ্গাত্মক এই কবিতায় ফুঠে উঠেছে নন্দলাল নামে এমন এক মানুষের প্রতিচ্ছবি যে নাকি সব সময় নিজের কথা ভাবে, ভাইয়ের কলেরা রোগ হলেও দেখতে যায় নাÑপাছে সেও রোগাক্রান্ত হয়ে মরে যায়। নিজের বিদ্যা জাহির করার জন্য পত্রিকা বের করে। যত লিখে তার চেয়ে বেশি ঘুমায়। আর দশ গুণ খায়। সেই কাগজে ব্রিটিশ শাসিত ভারতে এক ব্রিটিশকে গালি দেওয়ায় সাহেব এসে নন্দলালের গলা টিপে ধরে। মৃত্যুভয়ে নন্দলাল তখন নাকে খত দিতেও তৈরি। সে বাড়ির বের হয় না; গাড়ি, নৌকা, ট্রেনে চড়ে না; পথে হাঁটে না, দুর্ঘটনার ভয়ে। শুয়ে শুয়ে কষ্টের মাঝে বেঁচে থাকে নন্দলাল। সুন্দর পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধÑকোনো কিছু উপভোগ করে না।
হাসির রাজা হলেন সুকুমার রায়। তিনি হাসির ছড়া, কবিতা, নাটক, কী না লিখেছেন! তাঁর ‘সৎপাত্র’, ‘বাবুরাম সাপুড়ে’সহ বিভিন্ন ছড়া-কবিতার কথা বলা যায়। তিনি ননসেন্স ধরনের ব্যঙ্গাত্মক কবিতার প্রবর্তক। এছাড়া যোগীন্দ্রনাথ সরকার, হোসনে আরা, রোকনুজ্জামান খান, পূর্ণেন্দ্র পাত্রী, অসীম সাহা, আবিদ আনোয়ারসহ আরও কয়েকজন কবি ও ছড়াকারের রচনায় হাস্যরস খুঁজে পাওয়া যায়।
বাংলা গানেও রয়েছে হাস্যরস। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের হাসির গান তো বিখ্যাত। যেমন, ‘প্রথম যখন বিয়ে হল/ ভাবলাম বাহা বাহা রে!/কি রকম যে হয়ে গেলাম/ বলবো তাহা কাহারে!’ চা নিয়েও লিখেছেন গান—‘বিভব, সম্পদ, ধন নাহি চাই/ যশ, মান চাহি না;/ শুধু বিধি, যেন প্রাতে উঠে/ পাই ভালো এক পেয়ালা চা।’
হাসির গানে রজনীকান্ত সেনও কম ছিলেন না। যেমন, ‘আমরা রাঁধিয়া বাড়িয়া আনিয়া দেই গো, আর তোমরা বসিয়া খাও’; ‘সে কি তোমার মতো, আমার মতো, রমার মতো, শ্যামার মতো, ডালা কুলো ধামার মতো—যে পথে ঘাটে দেখতে পাবে’, ‘কবে হবে তোমাতে আমাতে সন্ধি;/ খাবে বিরহের ভোগ, হবে শুভ-যোগ,/ দ্বন্দ্ব সমাসে হইব বন্দী।’
হাসির গানে কাজী নজরুল ইসলামও অনন্য। আর শুধু নিছক হাসির গান নয়Ñহাসির লেঠো গান, রাজনৈতিক প্রসঙ্গ, সম্পর্ক, রাধাকৃষ্ণ চরিত, বিদেশি/শিক্ষা সংস্কৃতি নিয়েও নজরুল গান লিখেছেন। যেমন, ‘অ-মা’, তোমার বাবার নাকে কে মেরেছে ল্যাং’, ‘রব না কৈলাশপুরে আই এ্যাম ক্যালকাটা গোয়িং’, ‘টিকি আর টুপীতে লেগেছে দ্বন্দ্ব ঘোর’, ‘গিন্নির চেয়ে শালী ভালো মেসোর চেয়ে মামা’, ‘কলির রাই কিশোরী কলিকাত্যাইয়া গোরী’, ‘ওই হুলোরে তুই রাত বিরেতে/ ঢুকিস্নে হেঁসেল’ ইত্যাদি।
বাংলা চলচ্চিত্রের গানেও রয়েছে হাস্যরস। যেমন, টালিউডের চলচ্চিত্রের গান—‘শিং নেই তবু নাম তার সিংহ’ (লুকোচুরি); ‘লেগেছে লেগেছে আগুন’ (বসন্তবিলাপ); ‘তুমি আকাশ এখন যদি হতে’ (৮০ তে আসিও না); ‘তাক ধিন ধিন তা’ (সাবরমতি); ‘হ্যারে গো পদ্মরাণী’ (ফুলেশ্বরী); ‘ছ্যা ছ্যা ছ্যা ক্যা শরম কি বাত’ (ছদ্মবেশী), ‘ওরে মন তল্পিতল্পা’ (শ্রীমান পৃথ্বীরাজ) ইত্যাদি।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রেও হাসির গান দুর্লভ নয়। যেমন, ‘গান নয় গান নয় যেন সাইরেন’ (১৩ নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন)।
বাংলা প্যারডি গান তো হাস্যরসে ভরপুর। এই ধরার গানের প্রথম সার্থক শিল্পী আজু গোঁসাই। তাঁর গানের আক্রমণের লক্ষ্য ছিল রামপ্রসাদের গানগুলি। যেমন, রামপ্রসাদের ‘আয় মন বেড়াতে যাবি’-র প্যারডি করেছিলেন আজু গোঁসাই : ‘কেন মন বেড়াতে যাবি/ কারও কথায় কোথাও যাসনে রে মন।’ অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথের ‘এখনও তারে চোখে দেখি নি’-র প্যারডি করেছিলেন দ্বিজেন্দ্রলাল : ‘এখনও তারে চোখে দেখি নি/ শুধু কাব্য পড়েছি,/ অমনি নিজের মাথা খেয়ে বসেছি।’ এরকম অসংখ্য প্যারডি গান রয়েছে, যা শুনলে বেরসিকও হাসতে বাধ্য হবেন।
হাসির নাটক ও প্রহসনের কথাও বলা যেতে পারে। প্রহসন হলো, হাস্যরস ও ব্যঙ্গ বিদ্রƒপের মাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা তুলে ধরার এক ধরনের নাট্যরূপ, যা প্রায়শই অতিরঞ্জিত বা অবাস্তব পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। এ ধরনের হাসির নাটক ও প্রহসনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—রামনারায়ণ তর্করত্নের ‘কুলীনকুল সর্বস্ব’ (১৮৫৪), ‘যেমন কর্ম তেমনি ফল’ (১৮৬৫), ‘চক্ষুদান’ (১৮৬৯), ‘উভয় সংকট’ (১৮৭২); মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ (১৮৬০), ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ (১৮৬০), দীনবন্ধু মিত্রের ‘বিয়ে পাগলা বুড়ো’ (১৮৬৬), ‘সধবার একাদশী’ (১৮৬৬), ‘জামাইবারিক’ (১৮৭২), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চিরকুমার সভা’ (১৯২৬), ‘গোড়ায় গলদ’ (১৮৯২), ‘বৈকুণ্ঠের খাতা’ (১৮৯৭)।
এছাড়া রয়েছে বিমল করের ‘ঘুঘু’, মনোজ মিত্রের ‘কেনারাম বেচারাম’, ‘দম্পতি’, ‘চোখে আঙ্গুল দাদা’, সুদীপ্ত সরকারের ‘বৈবাহিক’, সুদীপ্ত ভৌমিকের ‘রজতজয়ন্তী’, সুমন সেনগুপ্তের ‘গৌরের কবচ’, কুন্তল মুখোপাধ্যায়ের ‘হুলস্থুল’, সেলিম আল দীনের ‘মুনতাসির’, এস এম সোলায়মানের ‘ইংসিত’ ইত্যাদি।
বাংলা চলচ্চিত্রেও হাসি বাক্সময়। বাংলাদেশের প্রথম হাসির চলচ্চিত্র ‘কার বউ’ (১৯৬৬)। এছাড়া আরও রয়েছে ‘১৩ নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’, ‘ইয়ে করে বিয়ে’, ‘গোপাল ভাঁড়’, ‘হাবা হাসমত’, ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’, ‘উৎসব’ ইত্যাদি।
অন্যদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাসির চলচ্চিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘সাড়ে চুয়াত্তর’, ‘পরশপাথর’, ‘বাক্স বদল’, ‘মৌচাক’, ‘ছদ্মবেশী’, ‘ওগো বধূ সুন্দরী’, ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’, ‘৮০তে আসিও না’, ‘চারমূর্তি’, ‘বসন্ত বিলাপ’।
Leave a Reply
Your identity will not be published.