আনিসুর রহমান মিলন। তার পরিচয় মূলত অভিনেতা হিসেবে। অবশ্য মাঝেমধ্যে তিনি টিভি নাটক পরিচালনা করে থাকেন। এবার তিনি আবির্ভূত হতে যাচ্ছেন চলচ্চিত্রকার হিসেবে।
মিলন বারো বছর বয়সে অভিনয় জগতে পা রাখেন, আর্তনাদ থিয়েটারের মাধ্যমে। তবে তিনি পাদপ্রদীপের আলোর সামনে আসেন সালাউদ্দিন লাভলুর ‘রঙের মানুষ’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের সূত্রে। টিভিতে তার সেরা কাজ ‘জয়িতা’, ‘প্রজাপতিকাল’, ‘মধুময়রা’ ইত্যাদি। শেষোক্ত টেলিফিল্মের সূত্রে মিলন সেরা অভিনেতা হিসেবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারও লাভ করেন।
২০০৫ সালে মিলনের অভিষেক ঘটে চলচ্চিত্রে। ছবির নাম ‘হাজার বছর ধরে’। পরিচালক সুচন্দা। জহির রায়হানের বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এ ছবিতে মিলন অভিনয় করেন করিম শেখ চরিত্রে। ২০০৮ সালে মুক্তি পায় মিলনের দ্বিতীয় ছবি ‘দ্য লাস্ট ঠাকুর’। তারপর কয়েক বছরের বিরতি। এরপর ২০১৩ সালে বড়পর্দায় আবার মিলনকে দেখা যায় ইফতেখার চৌধুরীর ‘দেহরক্ষী’ ছবিতে। এখানে মিলনের অভিনয় সবার দৃষ্টি কাড়েন। এরপর থেকে মিলনকে নিয়মিতই দেখা যাচ্ছে চলচ্চিত্রে।মিলনের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে, ‘অনেক সাধের ময়না আমার’, ‘ব্ল্যাকমেইল’, ‘লাল চর’, ‘রাজনীতি’, ‘টার্গেট’ প্রভৃতি।
চলচ্চিত্রে বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে দেখা গেছে মিলনকে। এমনকি খল চরিত্রেও। ‘অনেক সাধের ময়না আমার’-এ তিনি তথাকথিত নায়ক নন ঠিকই কিন্তু পুরো ছবিটির গল্প আবর্তিত হয়েছে তাকে ঘিরেই।
এবার মিলন চলচ্চিত্র পরিচালনায় হাত দিচ্ছেন, যা শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে। ছবির নাম ‘লাল বাকসো’।
চলচ্চিত্র পরিচালনার বিষয়টি মিলন দীর্ঘদিন ধরে মনের মাঝে লালন করছেন। তার এই স্বপ্ন অবশেষে সত্যি হতে চলেছে। ছবিটির কাহিনিকার স্বয়ং আনিসুর রহমান মিলন। তবে এটির চিত্রনাট্য লিখেছেন স্বনামধন্য নাট্যকার মাসুম রেজা।
ছবিটি সম্পর্কে বিস্তারিত না জানিয়ে এক সাক্ষাৎকারে মিলন বলেছেন, ‘এই উপমহাদেশে যে ধরনের ছবি হয়, অনেকটা সেরকম একটা ছবি। ছবিটি দেখে মানুষ নড়েচড়ে বসবেন। তাদের মনে হবে, সিনেমায় এটাও হতে পারে!’ উল্লেখ্য, ‘লাল বাকসো’র গল্প ইতিমধ্যে লেখা হয়ে গেছে। তবে ছবিতে কারা অভিনয় করবেন, কবে শুটিং শুরু হবে- এইসব বিষয়ে আনিসুর রহমান মিলন এখনো কিছু জানান নি।
Leave a Reply
Your identity will not be published.