‘স্কুইড গেম’-এর রেকর্ড

পুরনো সব রেকর্ড ভাঙতে চলেছে সাউথ কোরিয়ান সিরিজ ‘স্কুইড গেম’। সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে এটি রিলিজ হওয়ার পর প্রথম সপ্তাহেই সিরিজটি আয় করেছে প্রায় সাড়ে তিন মিলিয়ন ডলার।

কোরিয়ার একদল হতাশাগ্রস্ত বেকার মানুষের স্বপ্ন দেখানোর, অর্থের তাগিদটা বোঝানোর, অঢেল অর্থের জুয়ায় নিজেকে লোভী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার এক অমানবিক, টানটান থ্রিলারে সাজানো হয়েছে এই সিরিজটি। সামাজিকভাবে হতাশাগ্রস্ত কিছু মানুষ অর্থের প্রয়োজনে এবং অতঃপর লোভে কতটা দানবে পরিণত হয় সেটিই মূর্ত হয়ে উঠেছে এই সিরিজটিতে।

সিরিজটি সম্পর্কে নির্মাতা হং ডং হাইয়ুক-এর ভাষ্য, ‘সিরিজটি তৈরি করেছি আমার জীবনের আশপাশে দেখা পরাজিত মানুষদের কথা কল্পনা করে। যারা অর্থের অভাবে, নিজের জীবনের স্বপ্ন দেখা ভুলে গেছে। এসব বাস্তবতা আমি নিজের চোখে দেখেছি। তাদের নিয়েই একটা ফ্যান্টাসি দেওয়ার চেষ্টা করেছি। একইসঙ্গে হেরে যাওয়া মানুষগুলো টাকা পাওয়ার আশায় কতটা হিংস্র হতে পারে সেটিও দেখানোর চেষ্টা করেছি। মজার ব্যাপার হলো, আমার এই সিরিজের চিত্রনাট্যে যে চরিত্রের নামগুলো ব্যবহার করেছি, তা আমার জীবনে দেখা আসল চরিত্র। ওই নামগুলোই আমি ব্যবহার করেছি। এটা আমাদের সহজাত ফ্যান্টাসি। পুরো সিরিজে কেউ একক নায়ক নয়। আপনার কাছে মনে হবে আপনি নিজেও গেমের একজন প্লেয়ার।’

সিরিজটির ঈর্ষণীয় সফলতা প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, ‘আমার সিরিজটি সফল হবে এটা প্রত্যাশায় ছিল। কিন্তু এভাবে সকল রেকর্ড ভেঙে দেবে তা কল্পনায় ছিল না। তবে ছবিতে হয়তো বিলিয়ন ডলারের গেম দেখিয়েছি। আদতে আমার সিরিজের প্রত্যেক চরিত্রকে সেই অর্থ দিতে পারলে ভালো লাগত। কারণ ওরা রাত-দিন পরিশ্রম করে সিরিজটিকে সফল করে তুলেছে।”

তবে চিত্রনাট্যকার ও পরিচালকের এই ভাবনাটি অমূলক নয়। কারণ নেটফ্লিক্সের সঙ্গে এককালীন চুক্তির পাশাপাশি এটি রয়্যালিটিতে বিক্রি করেছে নির্মাতা ও সাইরেন পিকচার্স। তাতে নির্মাতাসহ সকল কলাকুশলী আজীবন রয়্যালিটি পাবেন। সেটি মোটা অঙ্কের নিঃসন্দেহে এবং সিরিজটির যে সাফল্যের সূচক তাতে সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে সকলে ধারণা করছেন।

৩০ থেকে ৩২ মিনিটে সাজানো মোট ৯টি পর্বে রয়েছে এই সিরিজের প্রথম সিজন। এই সিজনের কোনো সিক্যুয়েল আপাতত করার কোনো প্ল্যান ছিল না। কিন্তু সিরিজটির অভাবনীয় সাফল্যের কারণে এরই মধ্যে নেটফ্লিক্সসহ সকল বিপণন প্রতিষ্ঠান নির্মাতাকে ডেকে অগ্রীম চুক্তি করেছেন।