সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অনুপম রায়ের দাম্পত্যজীবনের অবসান ঘটেছে। ভেঙে গেছে পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে তার ছয় বছরের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। এ ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষ তথা টালিউডের প্রথিতযশা অভিনেতা-পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় দায়ী বলে গুঞ্জন উঠেছে।
পরমব্রতের কারণেই অনুপম-পিয়ার সংসার ভেঙেছে, কেন এ কথা বলা হচ্ছে? বিষয়টির গভীরে প্রবেশ করা যাক।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সময় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তন্ময় ঘোষের নেতৃত্বে ‘বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ’ দুর্যোগ কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ায়। এতে তখন যোগ দিয়েছিলেন অনুপম রায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক সেনসহ টালিউডের একঝাঁক তারকা। তারা সবাই মিলে গঠন করেছিলেন ‘সিটিজেন্স রেসপন্স’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এতে যোগ দিয়েছিলেন পিয়া চক্রবর্তীও।
এরপর ২৭ জুন ছিল পরমব্রতের জন্মদিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পিয়া তখন পরমব্রতকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছিলেন, ‘শুভ জন্মদিন। আমরা আরও অনেক স্মৃতি তৈরি করব।’
আবার ১৬ আগস্ট ছিল পিয়ার জন্মদিন। সেদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরমব্রত পিয়ার সঙ্গে নিজের ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘শুভ জন্মদিন বন্ধু, কমরেড, ভরসার মানুষ। চলো, অনেক সুন্দর সুন্দর স্মৃতি তৈরি করি। ঠিক যেমনটা তুমি চেয়েছিলে।’
এখানেই পিয়া-পরমব্রতের গল্পের শেষ নয়। ডেউচা পাচামি খনি প্রকল্পে আদিবাসীদের স্বার্থরক্ষার জন্য তৈরি হয়েছে ৯ সদস্যের একটি কমিটি। এ কমিটির প্রধান কে বলুন তো? হ্যাঁ, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি সেখানেও যোগ দিয়েছেন পিয়া চক্রবর্তী। তাই প্রশ্ন উঠেছে, এগুলো কি অনুপমের সংসার ভাঙার অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে?
আসলে আমি তুমি সে’র গল্প টালিউড-বলিউড-ঢালিউড— সব ইন্ডাস্ট্রিজুড়েই ছড়িয়ে আছে। বলিউডের কথাই ধরা যাক। ঋত্বিক রোশন ও সুজানা খানের ডিভোর্সের পেছনে নাকি ছিল অর্জুন রামপাল! যদিও বিষয়টি সুজানা ও অর্জুন, দুজনই অস্বীকার করেছিলেন। ঋত্বিকেরও অ্যাফেয়ার ছিল কঙ্গনার সঙ্গে। তবে মালাইকা অরোরা ও আরবাজ খানের সংসার ভাঙার ক্ষেত্রে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে অর্জুন কাপুর যে দায়ী, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
এমনিভাবে বাংলাদেশের জহির রায়হান-সুমিতা, রোজী-আবদুস সামাদ, সুচরিতা-জসিম, আলমগীর-খোশনুর, শাকিব খান-অপু বিশ্বাস, তাহসান-মিথিলা— এইসব দম্পতির ডিভোর্স বা বিচ্ছেদের পেছনে তৃতীয় পক্ষের অস্তিত্ব ছিল বলে গুঞ্জন ওঠে।
সত্যি কথা বলতে কী, আমি-তুমি-সে’র মধ্যে খুব একটা ফারাক নেই। আজ যিনি ‘সে’, একদিন তিনি ‘তুমি’ হয়ে যেতে পারেন। আবার আজ যিনি ‘তুমি’, তিনি হয়ে যেতে পারেন ‘সে’। এ হলো মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো, কখন কার ভূমিকার পরিবর্তন ঘটে কেউ তা বলতে পারে না।
Leave a Reply
Your identity will not be published.