‘শেষের কবিতা’ অবলম্বনে ফটোস্টোরি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত উপন্যাস ‘শেষের কবিতা’ অবলম্বনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র। বাংলাদেশে নির্মিত হয়েছে এক পর্বের টিভি নাটক। আতিকুল হক চৌধুরী নির্মিত এ নাটকের প্রধান তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আহসান আলী সিডনী (অমিত), সুরাইয়া খানম (লাবণ্য) ও রেশমা (কেতকী)। নির্মিত হয়েছে ধারাবাহিক নাটকও। এখানে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেন অনন্ত হীরা (অমিত) ও নূনা আফরোজ (লাবণ্য)। অন্যদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ‘শেষের কবিতা’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে শ্রুতিনাটক। এখানে অমিত ও লাবণ্যর ভূমিকায় রয়েছেন যথাক্রমে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও লিলি চক্রবর্তী।

এবার ‘শেষের কবিতা’ অবলম্বনে বাংলাদেশে নির্মিত হয়েছে একটি ফটোস্টোরি। গবেষণাধর্মী এই নির্মাণশৈলীর মূল চরিত্রে আছেন টালিউডের প্রথিতযশা অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, তার বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে রয়েছেন ডা. শ্রেয়া সেন।

বাংলাদেশে এমন নান্দনিক কাজের প্রশংসা করেন পরমব্রত। সম্প্রতি একটি চিত্রপ্রদর্শনী ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের মাধ্যমে নির্মাণশৈলীটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গবেষণাধর্মী এই নির্মাণশৈলীর মূল চরিত্রে অভিনয়শিল্পী পরমব্রত। এমন কাজ নিয়ে উচ্ছ্বসিত এই তারকা বলেন, ‘আজ পর্যন্ত অনেক ধরনের আর্ট ফর্ম নিয়েই কাজ করা হয়েছে, তবে স্থিরচিত্র নিয়ে এমন নান্দনিক কাজ এই প্রথম। আশা করি, সবার কাছে এটা ভালো লাগবে।’

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুদানে এবং সিটি ব্যাংকের সহযোগিতায় নির্মিত এই ফটোস্টোরি প্রকল্পে প্রধান ও আলোকচিত্রী হিসেবে আছেন স্থপতি ফওজিয়া জাহান এবং এতে ডিরেক্টর হিসেবে রয়েছেন সি এফ জামান।

বর্তমান প্রজন্মকে সাহিত্যমুখী করে তুলতে এই ফটোস্টোরিতে বেশ কিছু স্থিরচিত্রের মাধ্যমে সমগ্র উপন্যাসটি তুলে ধরা হয়েছে। জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অভিনেতা এবং ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রাজীব কুমার সরকার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ড. অণিমা রায় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও গরবিনী মা সম্মাননার প্রধান উদ্যোক্তা ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী।

দীপু মনি এই নতুন চিন্তার সৃজনশীল প্রকাশের সাধুবাদ জানান ও আশা ব্যক্ত করেন এর মাধ্যমে আরও নতুন নতুন কাজের সূচনা হবে। এ সময় বক্তারা বলেন, তরুণদের শুধু স্যোশাল মিডিয়ায় মনোনিবেশ না করে পাশাপাশি এ রকম সাংস্কৃতিক রুচিশীল কাজেও যুক্ত হওয়া উচিত।

ডা. শ্রেয়া বলেন, ‘পেশাগতভাবে আমি ডাক্তার। বর্তমানে ফরেনসিক মেডিসিনে এমডি করছি। ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, বিশেষত রবি ঠাকুর আর নজরুলের অনেক কাজ আবৃত্তি আর অনুবাদ করেছি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে এর আগেও কিছু কাজ করেছি। তাই এই ফটোস্টোরির অফার আসতেই আমি রাজি হয়ে যাই। আশা করি, দর্শকের এই কাজ ভালো লাগবে।’

এই আয়োজনে সংগীত পরিচালনায় ছিলেন বিশিষ্ট সংগীত ব্যক্তিত্ব ফোয়াদ নাসের বাবু এবং সঞ্চালনায় ছিলেন উপস্থাপক ও নির্মাতা দেবাশীষ বিশ্বাস এবং মিডিয়া পার্টনার ছিল চ্যানেল আই।