প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা হিসেবে অস্কারজয়ী সিডনি পটিয়ার আর নেই। ৬ জানুয়ারি তিনি পাড়ি জমিয়েছেন অনন্তলোকে।
প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দশকের পর দশক বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। ৯৪ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন পটিয়ার।
১৯২৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামিতে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মেছিলেন সিডনি পটিয়ার। তবে তিনি বেড়ে উঠেছিলেন ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের রাষ্ট্র বাহামায়। সেখানে টমোটো খেকে কাজ করেন তিনি। তবে ষোল বছর বয়সে আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসেন তিনি। থিতু হন নিউইয়র্কে।
শুধু অভিনেতা নয়, বর্ণাঢ্য জীবনে তিনি মানবিক সহায়তা কার্যক্রম ও কূটনৈতিক কাজের সূত্রেও ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন। তাঁর শেষ জীবন কেটেছে বাহামায়। সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।
সিডনি পটিয়ার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা হিসেবে অস্কারের জন্য মনোনীত হন ১৯৫৮ সালে। তবে সেবার পুরস্কারটি পান নি তিনি। পুরস্কার পান তিনি ১৯৬৪ সালে, ‘লিলিজ অব দি ফিল্ড’ চলচ্চিত্রের জন্য। এই সময় একই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডও লাভ করেন।
সিডনি সেনাবাহিনীতে ছিলেন। এ ছাড়া জীবনে তিনি বিচিত্র ধরনের কাজ করেছেন। বিশেষত যখন তিনি অভিনয়ের ওপর লেখাপড়া করছিলেন, তখন নিজের খরচ মেটাতে নানা ধরনের কাজ করেন সিডনি। সেই সময়ে চলচ্চিত্রে কৃষ্ণাঙ্গদের ভালো কাজের সুযোগ কম থাকলেও সিডনি পটিয়ার নিজের গুণেই হলিউডের শীর্ষ অভিনেতাদের একজন হয়ে ওঠেন। আর সিনেমায় তিনি এমন সব চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে জাতিগত বিভাজনের দিকটি ফুটে উঠেছে। তাঁর এই ধরনের দুটি উল্লেখযোগ্য ছবি হলো ‘হিট অব দি নাইট’ ও ‘প্যাচ অব ব্লু’।
কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সিডনি পটিয়ার অস্কার-গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়াড ছাড়াও পেয়েছেন গ্রামি অ্যাওয়ার্ড, ব্রিটিশ একাডেমি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডসহ বহু পুরস্কার। ২০০৯ সালে পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মাননা ‘মেডেল অব ফ্রিডম’।
Leave a Reply
Your identity will not be published.