চঞ্চল চৌধুরী অভিনয় করতে যাচ্ছেন মৃণাল সেনের চরিত্রে। ‘পদাতিক’ ছবিটি নিয়ে আলোচনা দুই বাংলা ছাড়িয়ে বলিউডেও। ছবির সংশ্লিষ্টদের শুভকামনা জানিয়েছেন বিগ বি অমিতাভ বচ্চন। এদিকে 'গোলন্দাজ'-এর পর আবার বায়োপিক নিয়ে আসছেন কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় তারকা দেব। ভারতে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বায়োপিকে দেখা যাবে দেবকে। সিনেমার নাম 'বাঘা যতীন'।
ব্রিটিশ শাসনে অতীষ্ঠ ভারতবর্ষকে যারা মুক্ত করেছিলেন তাদের মধ্যে বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় অন্যতম। খালি হাতে বাঘ মারায় তার নাম বাঘা যতীন হয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। বাঘা যতীনের দৃঢ়তা আর সাহসিকতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই বায়োপিক নির্মাণ করা হয়েছে। ছবিতে বাঘা যতীনের স্ত্রী ইন্দুবালার চরিত্রে দেখা যাবে নবাগত অভিনেত্রী সৃজা দত্তকে। তবে তাকে খুঁজে পেতেও ধকল পোহাতে হয়েছে দেবকে। প্রায় ৯ হাজার আবেদনকারীর মধ্যে সৃজাকেই চরিত্রের জন্য উপযুক্ত মনে হয়েছে- এমনটাই এক জানিয়েছেন দেব।
ভারতের এক অপ্রতিরোধ্য স্বাধীনতা সংগ্রামীর চরিত্রে একেবারেই অন্যরকম লুকে দেখা দেবেন দেব। কারণ সেইসময় দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে বিপ্লবীরা বেশভূষা বদল করেছিলেন। ফলে যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় মানে বাঘা যতীনও ব্যতিক্রম ছিলেন না। তাই সিনেমায় ধূলোমাখা মুখ, উসকো-খুসকো চুল আর কপালজুড়ে লাল তিলকে অন্যরকম লুকের একটি ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন দেব। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অজস্র কঠিন লড়াইয়ের পর দুইশত বছরের ইংরেজ শাসন ধুলিস্যাৎ করে ভারত পেয়েছিল এক স্বপ্নের স্বাধীনতা। সেইসব লড়াইয়ের ইতিহাসে আমরা পেয়েছি অনেক বীরযোদ্ধা। তাদের মধ্যে এক অন্যতম সংগ্রামী বাঘাযতীনের গল্প নিয়ে আমরা আসছি এই পূজোতে।'
সিনেমাটি দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্সের প্রযোজনায় তৈরি হবে। বায়োপিক নির্মাণ করছেন অরুণ রায়। তিনি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ছবির চিত্রনাট্যের কাজ করছেন বলে জানা যায়। চলতি বছর নভেম্বর থেকে শুরু হবে ছবির শুটিং। এর আগে দেব এই ছবির একটি টিজার প্রকাশ করেছিলেন গত বছর স্বাধীনতা দিবসে।
বাঘা যতীনকে নিয়ে এটিই প্রথম বায়োপিক নয়। এর আগে ১৯৫৮ সালে তার জীবনকাহিনী নিয়ে সিনেমা তৈরি হয়। সেই সিনেমার নামও ছিল 'বাঘা যতীন'। সেখানে অভিনয় করেন ধীরাজ ভট্টাচার্য, নিমু ভৌমিক, ছায়া দেবী প্রমুখ। এ
বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার কয়া গ্রামে জন্ম নেয়া বাঘা যতীনের শৈশব কাটে ঝিনাইদহ জেলায়। তাঁর মা শরৎশশী দেবী ছিলেন স্বভাবকবি। দেশপ্রেম, পরোপকার, সত্যের জন্য নির্ভীক হওয়া মায়ের কাছ থেকেই শিখেছিলেন। এ ছাড়া দেশের স্বাধীনতার জন্য আধ্যাত্মিক বিকাশের কথা ভাবা এমনকি শরীরচর্চার জন্য অম্বু গুহের কুস্তির আখড়ায় যোগ দেন বিবেকানন্দের সংস্পর্শে আসার পর। পরে ব্রিটিশ-বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন বাঘা যতীন। বাংলার প্রধান বিপ্লবী সংগঠন যুগান্তরের প্রধান নেতা ছিলেন তিনি। এক পর্যায়ে সম্মুখযুদ্ধে গুরুতর আহত হয়ে বালাসোর হাসপাতালে চিরবিদায় নেন বাঘা যতীন।
Leave a Reply
Your identity will not be published.