সবাক হওয়ার সময় থেকে সংলাপের পাশাপাশি গানও যুক্ত হতে শুরু করে দেশি চলচ্চিত্রে। বলা যায়, দর্শক চাহিদার কথা ভেবে চলচ্চিত্রে গান রাখার রেওয়াজ সেই সময় থেকেই।
সিনেমার এই গানকে ঘিরে সম্প্রতি বাংলাদেশ শিল্পকলার জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে হয়ে গেল একটি অনুষ্ঠান। এখানে একক সংগীত পরিবেশনার পাশাপাশি ছিল নৃত্যও। শিল্পীদের মধ্যে প্রায় সবাই এই প্রজন্মের। প্রবীণদের মধ্যে ছিলেন শুধু খুরশীদ আলম। তিনি গান পরিবেশনের আগে দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন। তিনি ‘মিন্টু আমার নাম’ চলচ্চিত্রের ‘ওই প্রেমের দরজা খোলো না’ গানের পর দর্শকদের অনুরোধে ‘চুরি করেছো আমার মনটা’ও (চলচ্চিত্র: মিস লঙ্কা) পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে একক সংগীত পরিবেশন করেন জিনিয়া হাসান (গান: শত জনমের স্বপ্ন, তুমি আমার জীবনে এলে। চলচ্চিত্র: শুভদা), আরিফুল ইসলাম (গান: যেও না সাথি, চলেছো একেলা কোথায়। চলচ্চিত্র: দূরদেশ।), অনন্যা আচার্য (গান: আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো। চলচ্চিত্র: রজনীগন্ধা।), শামামা তাহমিদ (গান: ভুলে গেছি সুর। চলচ্চিত্র: পীচ ঢালা পথ।), রন্টি দাস (গান: মনেরও রঙে রাঙাবো। চলচ্চিত্র: মাসুদ রানা।), তারিক মৃধা (গান: একটা ছিল সোনার কন্যা। চলচ্চিত্র: শ্রাবণ মেঘের দিন।), রাশেদ উদ্দীন (গান: আমার বাবার মুখে যেদিন শুনেছিলাম গান। চলচ্চিত্র: নয়নের আলো।)।
অন্যদিকে দ্বৈত কণ্ঠে গান পরিবেশন করেন এ. পি. শুভ ও অনিন্দিতা অথৈ (গান: যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে। চলচ্চিত্র: প্রাণের চেয়ে প্রিয়।) এবং ইউসুফ খান ও ইয়াসমিন লাবণ্য (গান: তুমি মনের মানুষ। চলচ্চিত্র: স্বপ্নের পৃথিবী।)।
একক নৃত্য পরিবেশন করেন হেনা হোসেন, শাওন শান, মোহনা মীম এবং তাসফিয়া মুমতারিন কাঙ্খিতা। বলাই বাহুল্য, তাদের পরিবেশনার নেপথ্যে ছিল চলচ্চিত্রের গান। নজর কাড়ে ‘মনপুরা’ চলচ্চিত্রের ‘যাও পাখি বলো তারে’ গানের সঙ্গে মোহনা মীমের পরিবেশনা।
এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গানের সঙ্গে যারা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়েছেন, তারা হলেন কী-বোর্ডে রাজীব আহমেদ, গিটারে সাইদ, অক্টোপ্যাডে উজ্জ্বল ভট্টাচার্য, তবলায় অভিজিৎ চক্রবর্তী, বাঁশিতে দিপংকর দিপু এবং বেইজ গিটারে মোঃ মনিরুজ্জামান।
শিল্পকলা একাডেমির এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তবে পরিকল্পনায় কমতি চোখে পড়েছে। যেমন গত দশক ও এই সময়ের কোনো চলচ্চিত্রের গান ঠাঁই পায় নি আয়োজনে। যে কারণে সিনেমার গানের সামগ্রিক চিত্রটি পূর্ণাঙ্গভাবে ফুটে ওঠেনি।
Leave a Reply
Your identity will not be published.