চির বসন্তের শহরে দুর্দান্ত ড্রাগন।। শান্তা মারিয়া

চির বসন্তের শহরে দুর্দান্ত ড্রাগন।। শান্তা মারিয়া

চীন দেশের নাম শুনলে অনেকেই শুধু মহাপ্রাচীর বা গ্রেট ওয়ালের কথা ভাবেন। চীনের মহাপ্রাচীর অবশ্যই ভুবন বিখ্যাত। তবে মহাপ্রাচীর ছাড়াও বিশাল এই দেশটিতে আছে এমন অসংখ্য স্থান যা ইতিহাস, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সব মিলিয়ে যাকে বলে দুর্দান্ত।

চীনের পাঁচ হাজার বছরের সভ্যতা। অনেক শহরেই তিন হাজার বা চার হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতার নির্দশন আছে। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমের প্রদেশ ইউননান। এই প্রদেশের রাজধানী কুনমিং। কুনমিং শহরকে বলা হয় চির বসন্তের শহর। কারণ এই শহরে কখনো ফুলের অভাব হয় না। এশিয়ার সবচেয়ে বড় ফুলের মার্কেটও কুনমিং শহরেই। কুনমিংয়ের আবহাওয়াও খুব সুন্দর। খুব শীতও নয়, গরমও নয়। বসন্তের আবহাওয়া এখানে।

২০১৯ সালের কথা। আমি তখন কুনমিংয়ের ইউননান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে শিক্ষকতা করছি। আমার জীবনসঙ্গী কবি শাহিন রিজভি কুনমিংয়ে বেড়াতে আসে চার মাসের জন্য। সে সময়টায় আমি ও শাহিন কুনমিং শহর চষে বেড়াই। উইক-এন্ড তো বটেই, হালকা ছুটি বা আমার ডে অফ হলে আর কথা নেই। আমরা বেরিয়ে পড়ি কোনো না কোনো পার্ক বা মন্দির দেখতে। নেট ঘেঁটে খুঁজে বের করি কোথায় যাওয়া যায়। এটা আসলে আমার পুরোনো অভ্যাস। আমার পায়ে সর্ষে। তাই এক জায়গায় স্থির হয়ে থাকা পোষায় না। নেট ঘেঁটেই একদিন খোঁজ পেলাম হেই লং থান পার্কের। এর পিছনে রয়েছে এক প্রাচীন গল্প।

দশটি দুর্দান্ত ড্রাগন। তাদের তাণ্ডবে জনগণ আতঙ্কিত। মানুষের প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে আটজন অমর মানুষের একজন এগিয়ে এলেন ড্রাগন দমনে। নয়টিকে তিনি বন্দি করলেন পাহাড়ের ভিতর। একটি কাকুতি মিনতি করে বলল, এরপর থেকে সে শুধু ভালো কাজ করবে। এই শর্তে তাকে ছেড়ে দেওয়া হলো। সেই ড্রাগনটি পরিণত হলো মঙ্গলময় প্রাণীতে। সে বাস করে এক পুকুরের নিচে। পুকুরটির নাম তাই ব্ল্যাক ড্রাগন পুল বা হেই লং থান। এখনো সে বাস করছে এখানে। এ রকম গল্প চীনের অনেক পার্ক, মন্দির বা প্রাসাদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।

ড্রাগন বললে আমাদের চোখে এক ধরনের ডায়নোসর মার্কা প্রাণীর ছবি ভেসে ওঠে। তার অবশ্যই ডানা থাকবে এবং মুখ দিয়ে নিঃশ্বাসের সঙ্গে বের হয় আগুন। এরা জনপদ ও মানুষের ক্ষতি করে। পাশ্চাত্যের বিভিন্ন রূপকথা আর হলিউডের সিনেমা দেখে ড্রাগন সম্পর্কে এ ধরনের ছবিই আমাদের মনে আঁকা হয়ে গেছে। পাশ্চাত্যের ড্রাগন হলো অনিষ্টকারী দানব। কিন্তু প্রাচ্যের ড্রাগন বিশেষ করে ফারইস্ট বা চীন, জাপান, কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া প্রভৃতি দেশে ড্রাগন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কল্যাণকর পৌরাণিক প্রাণী বা মঙ্গলময় দেবতা। অনেক রাজবংশ, সম্ভ্রান্ত বংশের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ড্রাগনের নাম। পাশ্চাত্যে রোমানিয়ার জাতীয় বীর ভলাড ড্রাকুলকেও (যাকে কেন্দ্র করে ব্রাম স্টোকার তার কাউন্ট ড্রাকুলার চরিত্রটি গড়েছিলেন) বলা হতো ড্রাগনের বংশ। ড্রাকুল শব্দটি ড্রাগন থেকেই এসেছে।

চীনের প্রথম সম্রাটের বংশও ড্রাগন বংশ। মিং সম্রাটদের বংশও ড্রাগন বংশ। ড্রাগনের চীনা প্রতিশব্দ হলো লোং। এই ‘লোং’ শব্দটি রাজা বা সম্রাট, রাজকীয়, রাজবংশ এবং রাজসম্পর্কিত প্রায় সকল কিছুর সঙ্গেই রয়েছে। ইমপেরিয়াল বা রয়েল যে-কোনো কিছুর সঙ্গেই আছে লোং বা ড্রাগন। চীনের ড্রাগনের গঠন পশ্চিমা ড্রাগন থেকে কিছুটা আলাদা। শরীরটা অনেক সরু, কিছুটা অজগর সাপের মতো। চীনের ড্রাগনকে আসলে নাগ বলাটা বেশি যুক্তিযুক্ত।

যা’ হোক কুনমিং শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে এই পার্ক ১৭ কিলোমিটার উত্তরে। আমাদের বাসস্থান থেকে প্রথমে সাবওয়েতে চড়ে যেতে হয় উত্তর দিকের শেষ প্রান্তে তারপর বাস। এখানে রয়েছে লোংছুয়ান পাহাড়। এই পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে মন্দির লোং ছুয়ানকুয়ান, যাকে বলা হয় ড্রাগন ফাউন্টেন টেম্পল বা ড্রাগন ঝরনা মন্দির।

পার্কে মূল ফটক দিয়ে ঢোকার পর দেখা যায়, পাহাড়ের নিচে রয়েছে দুটি পুকুর। দুটি পুকুরের মধ্যে সংযোগ রয়েছে নালার মাধ্যমে, উপরে ব্রিজ। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, এক পুকুরের পানি কখনো অন্য পুকুরে যায় না। এক পুকুরের মাছও অন্য পুকুরে যায় না। দুটি পুকুরের পানির রংও আলাদা। শত শত বছর ধরেও এই পুকুরের পানি কখনো শুকায় না। প্রাচীন পুকুর দুটি দেখে আমার ভাবতে খুব ভালো লাগছিল যে কালো ড্রাগন এখনো ঘুমিয়ে আছে এই পুকুরের নিচে।

স্থানীয় জনগণও তাই বিশ্বাস করে। এই পুকুরের কাছেই রয়েছে ব্ল্যাক ড্রাগন প্রাসাদ। এই প্রাসাদটি তৈরি হয়েছিল মিং রাজবংশের (১৩৬৮-১৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ) এক সম্রাট হোংউর শাসনামলে, ১৩৯৪ সালে। সম্রাট জিংথাই-এর আমলে ১৪৫৪ সালে প্রাসাদটি পুনর্নিমিত হয়। প্রাসাদের ভিতরে আছে তিনটা বিশাল কক্ষ বা হলরুম এবং দুটি দরবার প্রাঙ্গণ। এই প্রাসাদকে বলা হয় নিচের মন্দির। কারণ পাহাড় বেয়ে উঠলে ঠিক এর উপরেই রয়েছে আরেকটি প্রাসাদ বা মন্দির যাকে বলা হয় ড্রাগন ফাউন্টেন টেম্পল। প্রাচীন সব গাছের আড়ালে এই মন্দিরটি লুকানো রয়েছে। নিচের প্রাসাদটির ভিতর দিয়েই উপরের প্রাসাদটিতে পৌঁছতে হয়। উপরের মন্দিরটি ৫৭০ বছরের পুরোনো।

এখানে রয়েছে বজ্র দেবতার হল, সানছিং হল, জেড এম্পেরর হল এবং আরও কয়েকটি দেবতার হলরুম। এসব জায়গায় এই দেবতাদের পূজা হয়। এই মন্দির হলো দক্ষিণ চায়নায় সবচেয়ে বড় তাও মন্দির। তাও ধর্ম চীনের অত্যন্ত প্রাচীন ধর্ম। এর উৎপত্তি খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে। গুরু লাওৎসেকে সাধারণভাবে এর প্রতিষ্ঠাতা মনে করা হয়। এর আরও অনেক গুরু আছেন। এর আগেও চীনে লোকজ ধর্ম ছিল। তাও ধর্ম মনে করে প্রকৃতির নিয়ম মেনে চলার মধ্যে মানুষের জীবন বিকশিত হয়। এবং সব জাগতিক বস্তুর পিছনে একটি শক্তির অস্তিত্ব রয়েছে। তাও মতবাদের আগে আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর বা তার চেয়েও বেশি সময় ধরে প্রচলিত ছিল এবং এখনো আছে লোকজ ধর্ম। এগুলো হলো বেশ কয়েকজন দার্শনিক, লোকজ প্রথা, কিংবদন্তি, লোকজ উপকথার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা কিছু আচার-আচরণের সমষ্টি। চীনের মন্দিরগুলো সাধারণত লোকজ ধর্মের ও তাও ধর্মের (একত্রে), কনফুসিয়ান, বৌদ্ধ ধর্মের। মন্দিরগুলো বেশিরভাগই প্রাচীন যুগের।

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এগুলো এখনো টিকে আছে এবং পর্যটকদের আর্কষণ করছে। তাও ধর্ম এবং এই লোকজ ধর্ম অনেক সময় প্রকৃতিপূজক ধর্মও বটে। এরা প্রকৃতির সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাস করে। চীনে অসংখ্য তাও মন্দির, কনফুসিয়ান মন্দির, বৌদ্ধ মন্দির ও লোকজ দেবতার মন্দির রয়েছে। সরকার এদের মেইনটেনেন্সের সব দায়-দায়িত্ব নিয়েছে।

তাও মন্দিরগুলো দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। কারণ এখানে প্রকৃতির সঙ্গে মিলে মানুষের জীবন গড়ার কথা বলা হয় এবং অধিকাংশ তাও মন্দিরের পরিবেশ খুব শান্তিপূর্ণ। গাছপালায় ঘেরা, কোনো পাহাড় বা নদীর কাছে এটি নির্মিত হয়। পাহাড়ের ভিতরে ভিতরে মন্দিরগুলো যেন প্রকৃতির সেবক হিসেবে রয়ে গেছে। সকালে ও সন্ধ্যায় ধূপ ও আগরবাতির মৃদু গন্ধ মিশে যায় আরণ্যক পাহাড়ের বনজ গন্ধের সঙ্গে।

মন্দিরগুলোর ভিতরের কারুকার্যও অসাধারণ সুন্দর। অনেক সময় বৌদ্ধ মন্দির আর তাও ধর্মের মন্দির একই সঙ্গে সহাবস্থান করে। হয়তো কোনো কক্ষে গৌতম বুদ্ধের আরাধনা হচ্ছে, পাশের কক্ষে হয়তো প্রকৃতির কোনো দেবতার আরাধনা চলছে।

ব্ল্যাক ড্রাগনের মন্দিরের সামনে রয়েছে প্রাচীন কিছু গাছ। এগুলো দুই তিন হাজার বছরের প্রাচীন গাছেরই বংশধর। থাং রাজবংশের আমলের পাম, সং রাজবংশের আমলের সাইপ্রাস এবং মিং রাজবংশের আমলের ক্যামেলিয়াগাছ এখানে বিখ্যাত। নতুন বংশধর বলা হলেও এখন যেগুলো দেখলাম সেগুলোও কয়েক  শ’ বছরের পুরোনো তো বটেই।

এর সামনেই রয়েছে পাথরে খোদাই করা একজন তাও সন্ন্যাসীর অমর বাণী। এই তাও সন্ন্যাসীর নাম লিউ ইয়ুয়ানরান। তিনি মিং সাম্রাজ্যের আমলে একজন বিখ্যাত তাও সন্ন্যাসী ছিলেন। ওয়ান, উ চি শাং কথাটি তিনি পাথরের ওপর লিখেছিলেন। এর অর্থ হলো পৃথিবীর সকল বস্তু প্রচারিত, উন্নত, প্রস্ফুটিত, চিত্রিত হয়।

এখানে আরও রয়েছে স্থানীয় দেশপ্রেমিক শহীদদের স্মৃতিসৌধ। আর আছে একটি প্রাচীন পাম গার্ডেন। এই বাগানে ছয় হাজারের বেশি প্রাচীন পাম-গাছ রয়েছে।

আমরা নিচের মন্দিরটি দেখে পাহাড় ভেঙে উঠলাম উপরের মন্দিরটি দেখার জন্য। তারপর পাহাড় বেয়ে ধীরে ধীরে উঠতে লাগলাম।

ভাগ্যিস এই পার্কে ঢুকেই লাঞ্চ করে নিয়েছিলাম, মসলা মাখানো আলুভাজা আর তৌফু ভাজা খেয়ে। নইলে এই পাহাড়ে উঠতে সত্যিই খবর ছিল। বিশাল উঁচু পাহাড়। তবে কিছুদূর পর পর পাথরের টুলের মতো বসার ব্যবস্থা রয়েছে। আমি একটু হাঁপিয়ে গিয়ে ভাবছিলাম এত উঁচু পাহাড়ে ওঠার কোনো দরকার আছে কি না? কিন্তু দেখলাম আমার কাছাকাছি কয়েকটি টুলে বসে আছেন কয়েকজন প্রবীণ নারী-পুরুষ। শাহিন আর আমি বলাবলি করলাম যে, ওরা যদি এত খাড়া পাহাড় বেয়ে উঠতে পারে তাহলে আমরা কেন পারব না? আমরা তো বীর বাঙালি এবং বুড়োও হই নি। অতএব আবার শুরু হলো পাহাড়ে চড়া।

চূড়ায় পৌঁছানোর পর সে যে কী অসাধারণ অনুভূতি! চারিদিকে জনমানব নেই। শুধু গাছের ভিতর দিয়ে বাতাস বওয়ার শব্দ আর দু’ একটি পাহাড়ি ঝরনার কুলকুল ধ্বনি। মন্দির পর্যন্তই সাধারণত সবাই ওঠে। শুধু শুধু চূড়ায় ওঠার কষ্টটা করে না অনেকেই। তবে জায়গাটির সৌন্দর্য এত অসাধারণ যে আমাদের সব কষ্ট সার্থক।

এবার নামার পালা। পাহাড়ের যে দিকটি দিয়ে উঠেছিলাম নামছিলাম তার বিপরীত দিক দিয়ে। এদিকে পাহাড়ের গায়ে গায়ে কয়েকটি নির্জন কাঠের কুটির চোখে পড়ল। কুটির থাকলেও চারদিকে কোনো মানুষের সমাগম আছে বলে মনে হয় না। কাঠের কুটিরগুলোও খুব প্রাচীন, হয়তো এখানে এখন আর কেউ বাস করে না।

পাহাড়ের নিচের দিকের একটি স্থানে দেখলাম একটি জলাশয়। সেখানে কয়েকজন ছিপ নিয়ে বসে আছে মাছের আশায়। এটা চীনের অনেক পার্কেরই পরিচিত দৃশ্য। অনেক শৌখিন মাছশিকারি বড়শি ফেলে বসে থাকেন। যদিও মাছ ধরা পড়তে দেখি নি কখনো।

এই পাহাড়ের অন্যদিকে রয়েছে একটি চিল্ডরেনস পার্ক। সেখানে পাহাড়ের ধাপে ধাপে শিশুদের জন্য নানা রকম রূপকথার মূর্তি যেমন ব্যাঙের ছাতা, মৌমাছি, পরি ইত্যাদি বানিয়ে রাখা হয়েছে। পাহাড়ের নিচের দিকে রয়েছে আরেকটি বাগান। সেই বিশাল বাগানের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে ক্ষীণধারা পাহাড়ি নদী।

সকালে বেরিয়ে ছিলাম বাড়ি থেকে। এখন বিকেল গড়িয়ে গেছে। অদ্ভুত একটা সুগন্ধ ভেসে আসছে বন পাহাড় থেকে। মিশে যাচ্ছে শেষ বিকেলের আলোর সঙ্গে।

পাহাড়ের একদম নিচে দেখা হলো একদল নারী-পুরুষের সঙ্গে। এখানে দেখলাম বেশ একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে। দলের অধিকাংশ নারী-পুরুষের বয়সই ষাট বা সত্তর বছর হবে। সম্ভবত প্রবীণদের কোনো সংগঠন। নারীরা লোকজ ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেছেন। মুখে রংচং মাখা। হয়তো নাচ বা অপেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শৌখিন এই শিল্পীদের সঙ্গে আলাপ জমলো কিছুক্ষণ। চীনে প্রবীণদের জীবন খুব সুন্দর। তারা নিঃসঙ্গ নন মোটেই। পরিবারের সদস্যরা যেমন ভালোবাসেন তাদের তেমনি কমিউনিটিতে তাদের বেশ ভালো অবস্থান। অনেকেই বিভিন্ন ক্লাব বা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। প্রায়ই দলবেঁধে বেড়াতে যান। নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করেন। সব পরিবহনে তারা ফ্রি চলাফেরা করতে পারেন।

এদিকে সন্ধ্যা নেমে আসছে। ঘরে ফিরতে হবে।

সব মিলিয়ে কালো ড্রাগনের আস্তানা, পাহাড়, মন্দির এত সুন্দর যে এখানে আরেকদিন আসবই আসব এমন প্রতিজ্ঞা করে ফিরে চললাম শহরের অন্য প্রান্তে আমার ক্যাম্পাসের দিকে।

Leave a Reply

Your identity will not be published.