ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বর্ষের শিক্ষার্থীদের গানে গানে স্বাগত জানাবেন জেমস। তাঁর সাথে একই মঞ্চে অংশ নিবেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় দুই ব্যান্ড ‘চন্দ্রবিন্দু’ ও ‘ফসিল্স’। আগামী ২ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে হবে এই আয়োজন।
এ অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে নগরবাউল, চন্দ্রবিন্দু ও ফসিল্স। এ তিন ব্যান্ডের পরিবেশনা। ২ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে এ কনসার্ট শুরু হওয়ার কথা। জানা গেছে, অনুষ্ঠান সফল করতে চলছে জোর প্রস্তুতি।
ভিন্ন ধরনের গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া চন্দ্রবিন্দু কয়েকবার বাংলাদেশে গাইতে এসেছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে দেশ টিভির আমন্ত্রণে ঢাকা সফরে এসেছিল তারা। সে হিসাবে প্রায় এক দশক পর ঢাকায় পা রাখছে চন্দ্রবিন্দু। চন্দ্রবিন্দুর গান মানেই হই-হুল্লোড়, সহজ কথায় গভীর বিষয়ের স্বাদ। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, তিন দশকের বেশি সময় ধরে এ ব্যান্ডের গান সমান জনপ্রিয় বাংলাদেশের শ্রোতাদের কাছেও। ‘বন্ধু তোমায় এ গান শোনাব’, ‘যদি বলো হ্যাঁ’, ‘ত্বকের যত্ন নিন’, ‘আদরের নৌকা’, ‘ভিনদেশি তারা’, ‘অঙ্ক কী কঠিন’, ‘এভাবেও ফিরে আসা যায়’, ‘জুজু’, ‘এইটা তোমার গান’সহ চন্দ্রবিন্দুর অনেক গান শ্রোতাদের মুখে মুখে ফেরে।
অন্যদিকে গায়ক রূপম ইসলামের প্রতিষ্ঠিত রক ব্যান্ড ফসিল্স। ১৯৯৮ সালে এ ব্যান্ডের আত্মপ্রকাশের পর পশ্চিমবঙ্গে রক মিউজিক নতুনভাবে প্রাণ ফিরে পায়। ‘নীল রং ছিল ভীষণ প্রিয়’, ‘তোমার চোখের কালো চাই’, ‘কমল মেঘের ওজন’, ‘আরও একবার’, ‘হাসনুহানা’, ‘বিষাক্ত মানুষ’, ‘খোঁড়ো আমার ফসিলস’সহ এ ব্যান্ডের জনপ্রিয় গানের সংখ্যা অনেক। ২০১১ সালে দেশ টিভির এক অনুষ্ঠানে গাইতে এসে রূপম বলেছিলেন, ‘আমার অ্যালবাম প্রথম হিট হয়েছিল বাংলাদেশে। ‘‘তোর ভরসাতে’ নামের অ্যালবামটি ১৯৯৮ সালে প্রকাশ পায়। তখন কলকাতার লোকদের আগে বাংলাদেশিরা আমাকে কাছে টেনে নিয়েছিল। বাংলাদেশের ফিডব্যাক, মাইলস, জেমস ভাই, আইয়ুব বাচ্চু ভাইয়ের গান শুনে শুনে বড় হয়েছি, অনেক কিছু শিখেছি তাঁদের কাছে।’
Leave a Reply
Your identity will not be published.