‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননা পাচ্ছেন  বন্যা

‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননা পাচ্ছেন  বন্যা

রবীন্দ্রসংগীতের বরেণ্য শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক 'পদ্মশ্রী সম্মাননা' পাচ্ছেন। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে এ সম্মাননা প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। ২০২৪ সালের পদ্ম সম্মাননা প্রাপকদের নাম ঘোষণা করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বছর ১১০ জনকে পদ্মশ্রী সম্মাননা দেওয়া হবে। ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।

দুই বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা সংগীতে অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক স্বাধীনতা পুরস্কার পান। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ‘বঙ্গভূষণ’, 'ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক'সহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এ শিল্পী। এ ছাড়া তিনি সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, আনন্দ সঙ্গীত পুরস্কারসহ বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন।

১৯৫৭ সালের ১৩ জানুয়ারি রংপুর জেলায় জন্ম নেওয়া বন্যা প্রথমে ছায়ানট ও পরে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্য শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও ব্যাপকভাবে সমাদৃত। সঙ্গীত ভুবনে তাঁর পড়াশুনা বিস্তর। তিনি রবীন্দ্র সঙ্গীত ছাড়াও ধ্রুপদী, টপ্পা ও কীর্তন গানের ওপর শিক্ষা লাভ করেছেন। প্রাথমিক অবস্থায় রেজওয়ানা বন্যা ‘ছায়ানট’ ও পরে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে শান্তিদেব ঘোষ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেন ও আশীষ বন্দ্যোপাধায়ের মত সংগীতজ্ঞদের সান্নিধ্যে আসেন তিনি।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে এ পর্যন্ত বহু অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-‘স্বপ্নের আবেশে’, ‘সকাল সাঁঝে’, ‘ভোরের আকাশে’, ‘লাগুক হাওয়া’, ‘আপন পানে চাহি’, ‘প্রাণ খোলা গান’, ‘এলাম নতুন দেশে’, ‘মাটির ডাক’, ‘গেঁথেছিনু অঞ্জলি’, ‘মোর দরদিয়া’, ‘শ্রাবণ তুমি’, ‘ছিন্নপত্র’ প্রভৃতি।

সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা'র প্রতিষ্ঠাতা বন্যা রবীন্দ্র সংগীত নিয়ে কয়েকটি বইও লিখেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপার্সন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। 

ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ভারতরত্নের পর অন্যতম সম্মান হলো পদ্ম পুরস্কার। এই পুরস্কার তিনটি বিভাগে দেওয়া হয়- পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী। ভারত সরকার ১৯৫৪ সালে পদ্ম পুরস্কার শুরু করেছিল। ১৯৫৫ সালে এর তিনটি ভাগ হয়। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এবারের তালিকায় পদ্মবিভূষণে ৫, পদ্মভূষণে ১৭ ও পদ্মশ্রীতে ১১০ জন রয়েছেন।

Leave a Reply

Your identity will not be published.