আনন্দিতা খান : প্রোজ্জ্বল প্রতিশ্রুতি

আনন্দিতা খান : প্রোজ্জ্বল প্রতিশ্রুতি

বাংলাদেশের নৃত্য জগতে একটি পরিচিত নাম-আনন্দিতা খান। তরুণ প্রজন্মের এই প্রতিশ্রুতিশীল নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ‘নীল আকাশ’ নামের একটি সৃজনশীল প্রকল্পে কাজ করছেন, যা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকটকে কেন্দ্র করে নির্মিত। এটি তার ৬ষ্ঠ রেসিডেন্সি। এই প্রকল্পটি সামপাদ সাউথ এশিয়ান আর্টস অ্যান্ড হেরিটেজ-এর সহযোগিতায় এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের Connections Through Culture অনুদানে বাস্তবায়িত হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে যাওয়ার আগে আনন্দিতা সুনামগঞ্জে মাঠপর্যায়ে গবেষণা করেন, যেখানে তিনি বন্যা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রত্যক্ষ করেন। বার্মিংহামে গিয়ে তিনি সেখানকার স্থানীয় শিল্পীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন। তাঁর মতে, “নৃত্য এমন এক শক্তিশালী ভাষা, যার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবর্তনের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।” গত ৭ জুলাই মিডল্যান্ডস আর্টস সেন্টারে আনন্দিতা খানের প্রথম উপস্থাপনা অনুষ্ঠিত হয়।

আনন্দিতা খান এর আগে নৃত্য বিষয়ে পাঁচটি রেসিডেন্সি সম্পন্ন করেছেন। এগুলো হলো : ১. করোনার মধ্যে অনলাইনে গ্যাটে ইনস্টিটিউট থেকে টমাস বুঙ্গারের নেওয়া ‘আড্ডা’; ২. আহমেদাবাদে ‘ইনভিজিবল ডান্স’। আয়োজনে গ্যাটে ইনস্টিটিউট নিউ দিল্লি এবং গ্যাটে ইনস্টিটিউট ইন্দোনেশিয়া; ৩. গাজীপুরে অনুষ্ঠিত সাধনার ‘মুনসুন রেসিডেন্সি’; ৪. তাইওয়ানে অনুষ্ঠিত রেসিডেন্সি; ৫. জার্মানিতে অনুষ্ঠিত রেসিডেন্সি।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে তাইওয়ানে অনুষ্ঠিত রেসিডেন্সিতে ছয়টি দেশের আটজন তরুণ কোরিওগ্রাফার মাসব্যাপী কর্মশালা শেষে তাদের কোরিওগ্রাফি মঞ্চস্থ করে। এতে স্বাগতিক তাইওয়ানের তিনজন ছাড়া নাকি পাঁচজন কোরিওগ্রাফার ছিল মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং, অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশের। আনন্দিতা খানের বিষয় ছিল, গাজার উদ্বাস্তু শিশু।

Leave a Reply

Your identity will not be published.