ব্ল্যাক-এর রিইউনিয়ন: কনসার্ট

ব্ল্যাক-এর রিইউনিয়ন: কনসার্ট

বাংলা রক গানে জোয়ার এনেছিল ব্যান্ড ‘ব্ল্যাক’। ১৯৯৮ সালে তিন বন্ধু জন কবির, জাহান ও টনির হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় এ ব্যান্ডের। পরে যোগ দেন তাহসান ও মিরাজ। ২০০২ সালে বাজারে আসে ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম ‘আমার পৃথিবী’। অ্যালবামের গানগুলো ব্যাপক সাড়া ফেলে দেশের তরুণ শ্রোতাদের মাঝে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় পরের বছর প্রকাশিত হয় ‘উৎসবের পর’। এ অ্যালবাম ব্ল্যাককে নিয়ে আসে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। পেরিয়ে যায় বেশ কয়েক বছর।

এবার ভক্তদের জন্য সুখবর, আগামী ১০ মে ঢাকায় ‘রক অ্যান্ড রিদম ৪.০’ কনসার্ট আয়োজন করেছে অ্যাডভেন্টর কমিউনিকেশন। এ কনসার্টেই দেখা যাবে ব্ল্যাকের পুরোনো লাইনআপ। কনসার্টটির জন্যই মূলত এক হচ্ছেন ব্ল্যাকের সাবেক ও বর্তমান সদস্যরা। একে তাই বলা হচ্ছে ব্ল্যাকের রি-ইউনিয়ন।

জানা যায়, ওই দিনেই প্রকাশ করা হবে ব্যান্ডের নতুন গান। ব্ল্যাক ছাড়াও এ কনসার্টে পারফর্ম করবেন অনি হাসান, ব্যান্ড রিকল, পপাই বাংলাদেশ, ফারুক ভাই প্রজেক্ট, ক্রিপটিক ফেইট প্রমুখ।

ব্ল্যাক ব্যান্ডের ফেসবুক পেজে ২৪ এপ্রিল একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। মূলত সে ভিডিও থেকেই অনুমান করা যাচ্ছে, আবারও এক হচ্ছেন ব্ল্যাকের সদস্যরা। ব্ল্যাকের বর্তমান লাইনআপে রয়েছেন—ফারহান তানভীর (ড্রামস), চার্লস ফ্রান্সিস (বেস গিটার), ইশান হোসেন (ভোকাল) ও খাদেমুল জাহান (লিড গিটার)।

২০০৪ সালের ২০ এপ্রিল চট্টগ্রামে কনসার্ট শেষ করে ঢাকায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ব্ল্যাকের সদস্যরা। মারা যান ব্যান্ডের সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার ইমরান আহমেদ চৌধুরী মবিন। এ দুর্ঘটনা ব্যাপক প্রভাব ফেলে ব্ল্যাকে। ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে পড়ে ব্যান্ডের কার্যক্রম। সে দুর্ঘটনায় সদস্যরা বেঁচে ফিরলেও, এরপর আর একসঙ্গে তাঁদের গান করা হয়ে উঠেনি।  

ওই বছরই ব্যান্ড ছাড়েন তাহসান। আর জন কবির ব্ল্যাক থেকে বেরিয়ে আসেন ২০১১ সালে। পরে জন কবিরও ‘ব্ল্যাক’ ছেড়ে ২০১২ সালে আরেক ব্যান্ড ‘ইন্দালো’ গঠন করেন।

Leave a Reply

Your identity will not be published.