নিকোলের কেন সুখী সংসার!

নিকোলের কেন সুখী সংসার!

আদর্শ দম্পতি বলতে পৃথিবীতে কিছু নেই। সব দাম্পত্যসম্পর্কের মাঝেই টানাপোড়েন রয়েছে। আর এই দাম্পত্য টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন যত্ন। এ ক্ষেত্রে আকবর বাদশা থেকে হরিপদ কেরানির মধ্যে কোনো ফারাক নেই। সাধারণ থেকে সেলিব্রেটি— সবাই এক। হলিউড তারকা নিকোল কিডম্যানের কথাই ধরা যাক। তিনিও দাম্পত্যের বিষয়ে যত্নশীল।

নিকোলের স্বামী কণ্ঠশিল্পী কেইথ আরবান। পনের বছরের দাম্পত্যজীবন তাঁদের। তাদের এই যৌথ জীবনকে লোকে বলে ‘পারফেক্ট’, যদিও তা মানতে নারাজ নিকোল। তিনি মনে করেন প্রতিটি সম্পর্কই আলাদা। তবে হ্যাঁ, তিনি নিজের দাম্পত্যের প্রতি যথেষ্ট যত্নশীল।

বর্তমানে নতুন ছবি ‘বিয়িং দ্য রিকার্ডোস’-এর প্রচারে ব্যস্ত নিকোল কিডম্যান। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি তিনি অংশ নেন অস্ট্রেলিয়ার ‘টুডে শো’ অনুষ্ঠানে। সেখানে উপস্থাপক নিকোল-কেইথ জুটিকে ‘পিন-আপ কাপল’ হিসেবে আখ্যায়িত করলে নিকেল বলে ওঠেন, ‘আমরা পিন-আপ কাপল হতে চাই না। আমরা এমন একটি জুটি হয়ে থাকতে চাই, যাঁরা একসঙ্গে দারুণ জীবনযাপন করছেন।’ নিজেদের আদর্শ জুটি, সংসারকে আদর্শ সংসার বলতেও নারাজ নিকোল। এ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য হলো, ‘প্রত্যেকেরই তাঁদের নিজেদের মতো করে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। আমরা শুধু বুদ্বুদের মতো ঠুনকো সম্পর্কটাকে টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা করি।’

কাজ ও দাম্পত্যসম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য রাখেন কীভাবে? এ প্রসঙ্গে নিকোল জানান, কেইথ ও তিনি কাজের সিডিউল নিয়ে বসে যান। পরিকল্পনা করেন, কাজ ও জীবনের ভারসাম্য রেখে কীভাবে সবকিছু করা যায়। আর এ ক্ষেত্রে যে কাজ দাম্পত্য সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, সেই কাজটা বাদ দেন তারা। আসলে সংসারকে সব সময় অগ্রাধিকার দেন নিকোল ও কেইথ। সংসার ও সন্তানের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নেই তাদের কাছে।

একটি ভাঙা সংসারের অভিজ্ঞতাকে বহন করছেন নিকোল। সেই অভিজ্ঞতাই তাঁকে ঋদ্ধ করেছে। ২০০৬ সালে তিনি বিয়ে করেন কেইথকে। তারও আগে, ১৯৯০ সালে, নিকোল বিয়ে করেছিলেন হলিউড সুপারস্টার টম ক্রুজকে। তখনো নিকোল ও টমের দাম্পত্যকে লোকে ‘পারফেক্ট’ বলত। কিন্তু তাঁদের সেই সংসার ভাঙে ২০০১ সালে। সেই অভিজ্ঞতা যে নিকোল ভোলেন নি, সেটি তাঁর দাম্পত্য-বিষয়ক সাম্প্রতিক কথাবার্তাই প্রমাণ করে।

একটি গাছের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য দরকার আলো, বাতাস ও পানি। গাছকে বাঁচাতে হলে এভাবেই তার যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। দাম্পত্য টিকিয়ে রাখতে হলেও এ রকম যত্ন দরকার। যা ভালোভাবেই বোঝেন নিকোল কিডম্যানের মতো তারকারাও। তবে কেউ কেউ অবশ্য বোঝেন না অথবা সামলে চলেন না।     

Leave a Reply

Your identity will not be published.