খড়ম একপ্রকার কাঠের পাদুকা। হিন্দি ‘খড়ৌঙ’ শব্দটি থেকে বাংলায় ‘খড়ম’ শব্দটির উৎপত্তি। সংস্কৃতে খড়ম ‘পাদুকা’ নামে পরিচিত।
একখণ্ড কাঠ পায়ের মাপে কেটে খড়ম তৈরি করা হয়। সম্মুখভাগে একটি বর্তুলাকার কাঠের গুটি বসিয়ে দেওয়া হয়, যা পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও পাশের আঙুলটি দিয়ে আঁকড়ে ধরা হয়। বর্তমানে পা আটকে রাখার জন্য কাঠের গুটির পরিবর্তে রাবার খণ্ড ব্যবহার করা হয়।
আবার বর্তমানে কাঠের ও রাবারের খণ্ড বাদ দিয়ে খড়মের সামনের অংশে রাবার ও চামড়ার ঢাকনার মতো করে দেওয়া হয়।
প্রাচীনকালে খড়মের উদ্ভব। খড়ম পায়ে হাঁটা সহজ নয়। এছাড়াও খড়ম পায়ে হাঁটার সময় চটাশ্ চটশ্ বেশ শব্দ হয়। কিছুকাল আগেও খড়মের শব্দে গৃহস্থরা বুঝতে পারতের তাদের বাড়িতে কেউ আসছেন।
বাংলাদেশে খড়মের ব্যবহার অনেক প্রাচীন। ১৩০৩ সালে বিখ্যাত সুফি দরবেশ ও পীর হজরত শাহজালাল (রহঃ) সুদূর তুরস্ক থেকে সিলেটে এসেছিলেন, খড়ম পায়ে দিয়ে। তাঁর ব্যবহৃত খড়ম এখনো তাঁর মাজারের খাদেমদের নিকটে সংরক্ষিত আছে। বিখ্যাত বাউল সাধক লালন ফকির খড়ম পায়ে চলাচল করতেন। কুষ্টিয়া শহরের অদূরে অবস্থিত ফকির লালন শাহের সমাধিস্থল প্রাঙ্গণে নির্মিত লালন শাহ জাদুঘরে তাঁর ব্যবহৃত খড়ম সংরক্ষিত আছে।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর গৃহে খড়ম পায়ে চলাফেরা করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করতেন। বাইরে কোথাও বেড়াতে গেলে তাঁর ব্যবহৃত তিনি পায়ে দামি পাদুকা, চামড়ার ককসেন্ডেল ব্যবহার করতেন। তাঁর ব্যবহৃত খড়ম ও জুতা সিরাজগঞ্জ জেলায় অবস্থিত শাহজাদপুর কুঠিবাড়ি জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। তা ছাড়া ঢাকার অদূরে সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘরে প্রাচীন আমলের কয়েক জোড়া কাঠের খড়ম সংরক্ষিত আছে
আমার নানা মৃত্যুবরণ করেন ১৯৯৩ সালে। আমৃত্যু তিনি বাড়িতে খড়ম পায়ে চলাফেরা করে গেছেন। আমার নানা ব্রিটিশ আমলের একজন ধনাঢ্য সুতা ব্যাবসায়ী ছিলেন। বাড়িতে তাঁকে আমরা সব সময় খড়ম পায়ে চলাচল করতে দেখতাম। খড়ম পায়ে খটখট শব্দে পুরোনো দিনের তিনতলা চুনসুরকির তৈরি দালানের সিঁড়ি বেয়ে তিনি যখন উঠানামা করতেন আমরা নানার উপস্থিতি বুঝতে পারতাম। বাড়ির বাইরে তার ব্যবসায়িক কর্মস্থল কিংবা অন্য কোথাও বেড়াতে গেলে তিনি চামড়ার তৈরি দামি জুতা অথবা সেন্ডেল-সুু পায়ে পরে যেতেন। নানার খড়ম পায়ে হাঁটা দেখে আমার সেই ছোটবেলা থেকেই খুব কৌতুহল হতো। বড় হয়ে আমি নানার সেই খড়ম পায়ে পড়ে বহুবার হাঁটতে চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারি নাই। আমার পায়ের বুড়ো আঙুল ও পার্শ্বের আঙুলে শক্ত করে খড়মের বর্তুলাকার গুটিটি ধরে রাখার যত চেষ্টাই করি না কেন কখনোই তা পারি নি। এটা পুরোপুরি অভ্যাসের ওপর নির্ভর করত তাতে কোনো সন্দেহ নাই।
হিন্দু ধর্মে খড়মের ব্যবহার সুপ্রচলিত। হিন্দুরা খড়মকে দেবতা ও শ্রদ্ধেয় সাধুসন্তদের পদচিহ্নের প্রতীকও মনে করেন। হিন্দুধর্মের পাশাপাশি জৈনধর্মেও ভিক্ষাজীবী সন্ন্যাসী ও সাধুসন্তেরা খড়ম ব্যবহার করে থাকেন। ‘খড়ম বাবা’ নামে সাম্প্রতিক বছরে একটি বাংলা নাটক আমাদের দেশের একটি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে। পুরোনো দিনের অনেক বাংলা ছায়াছবির দৃশ্যে খড়মের ব্যবহার দেখা যায়। অমর কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র রচিত ‘দত্তা’ ছায়াছবিতে খড়মের ব্যবহার চোখে পড়ে। নন্দিত কথা সাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদ ‘পায়ের তলায় খড়ম’ নামে একটি ভ্রমণকাহিনি লিখে গেছেন।
আমাদের দেশে ৮০’র দশক পর্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা পায়ে খড়ম পরত। বর্তমান আধুনিকতার ছোঁয়ায় কাঠ নির্মিত পাদুকা খড়ম এখন শুধুই স্মৃতি। এককালে সমগ্র দেশের মানুষই ছিল খড়ম নির্ভর। কিন্তু বর্তমানে এ শিল্পটি হারিয়ে গেছে কালের গর্ভে।
কিছুকাল আগেও খড়মের শব্দে গৃহস্থরা বুঝতে পারতেন তাদের বাড়িতে কেউ আসছেন। আধুনিকতার ছোঁয়ায় কাঠের তৈরি পাদুকা খড়ম এখন শুধুই স্মৃতি। কালের আবর্তে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কাঠের পাদুকা খড়ম। এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না।
তবে আমাদের দেশে খড়ম ব্যবহারের বিকল্প শুরু হয় ষাটের দশকের শেষের দিক থেকে। আমি ছোটবেলা থেকে বাসায় স্পঞ্জ সেন্ডেল ব্যবহার করে আসছি যা এখনো অব্যাহত আছে। স্কুল কিংবা বাইরে কোথাও বেড়াতে গেলে পায়ে লেদারের জুতা অথবা সেন্ডেল ব্যবহার করতাম। আমার বাবা-মা আমাদের মতোই বহু আগে থেকেই জুতা সেন্ডেল পায়ে দিয়ে চলাফেরা করতে অভ্যস্ত ছিলেন। শহরের আধুনিকতার ঢেউ ধীরে ধীরে গ্রামাঞ্চলের অবস্থাপন্ন পরিবারগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সত্তরের দশকের দিকে কাপড়ের তৈরি ক্যানভাস জুতার প্রচলন শুরু হয়। শহরাঞ্চলের স্কুলগুলোতে ছাত্রদের স্কুল ড্রেস গায়ে দিয়ে ও পায়ে ক্যানভাস সু পড়ে স্কুলে যাওয়ার নিয়ম চালু হতে শুরু করে। গ্রামের মহিলারা রাবারের ঢাকুনি দেওয়া খড়ম ব্যাবহারে বরাবরই অভ্যস্ত ছিলেন। অনেকে স্পঞ্জ সেন্ডেল ব্যাবহার শুরু করেন। বর্ষাকালে গ্রামের স্বচ্ছল মানুষরা রাবারের তৈরি পাম্প সু পায়ে দিয়ে চলাচল করা শুরু করেন। এই জুতাগুলো খড়মের বিকল্প হিসেবে সেই সময় থেকেই ব্যাপকভাবে বাজারে আসতে শুরু করে। আস্তে আস্তে আমাদের পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্য খড়মের ব্যবহার কমতে থাকে।
বর্তমানে চামড়া, রেকসিন, প্লাস্টিক, রাবার ইত্যাদি দিয়ে তৈরি জুতা (পাদুকা) পায়ে দিয়ে মানুষ চলাফেরা করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। কাঠ দিয়ে তৈরি খড়ম ব্যবহার পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত। কিন্তু যুগের বাস্তবতায় মানুষ এটিকে পরিহার করেছে। অপরদিকে বিদেশি সিনথেটিক রাবার জুতা মানুষের মাথা গরম করে, পায়ের নিচের স্তর চামড়া মোটা করে বয়রা নামক রোগের সৃষ্টি করে।
খড়ম ভারতীয় উপমহাদেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। বাংলাদেশে একসময় জমিদার ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের লোকজন খড়ম ব্যবহার করতেন। তখন পাদুকা বলতেই ছিল কাঠের তৈরি খড়ম। রাতে শোবার আগে পুকুর থেকে তারা পা ধুয়ে আসত, অজু করে ঘাট থেকে মসজিদে যেতে খড়ম ব্যবহার করত। হিন্দুদের মহাকাব্য রামায়ণে খড়ম ব্যবহারের কথা উল্লেখ আছে। রামচন্দ্র তাঁর স্ত্রী সীতা ও ছোট ভাই লক্ষ্মণকে নিয়ে বনবাসে গেলে তার আরেক ভাই ভরত রামের খড়ম সিংহাসনে বসিয়ে রাজ্য পরিচালনা করেছিলেন। হিন্দুরা খড়মকে দেবতা ও শ্রদ্ধেয় সাধু-সন্ন্যাসীদের পদচিহ্নের প্রতীকও মনে করে। হিন্দুদের পাশাপাশি জৈন ধর্মের ভিক্ষাজীবী সাধু-সন্ন্যাসীরা খড়ম ব্যবহার করতেন। বর্তমানে আধুনিক জুতা/ ছেন্ডেলের ব্যাপক প্রচলনের কারণে সেই দৃশ্য ও সামাজিক সাংস্কৃতি বহু আগেই হারিয়ে গেছে। তবে মজার বিযয় হচ্ছে, রংপুরের ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজের কেন্দ্রীয় মসজিদে এখনো খড়মের ব্যবহার লক্ষ করা যায়। মসজিদের অজুখানার পাশে কয়েক জোড়া খড়ম রেখে দেওয়া আছে। নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা অজুখানায় এ খড়ম ব্যবহার করে থাকেন।
রংপুর নগরীর আমাশু বাজারের এক রকমারী দোকানে এখনো খড়ম বিক্রি করা হয়। দোকানদার কাজল রায়ের পরিবারে খড়ম ব্যবহারের অভ্যাস রয়েছে। আমাশু কুকরুল এলাকায় অনেকেই এই খড়ম ব্যবহার করেন। ২০ থেকে ৩০ জোড়া খড়ম বিক্রি হয় মাসে। প্রতি জোড়া খড়ম ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। দোকানদার খড়ম সংগ্রহ করেন রংপুরের মিঠাপুকুর শঠিবাড়ি এলাকা থেকে। রংপুর জেলায় শুধু শঠিবাড়ির একটি ছোট কারখানায় খড়ম তৈরি হয়। রংপুরের আমাশু বাজারের এই দোকানে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ খড়ম কিনতে আসেন। রকমারি দোকান হলেও দোকানটি খড়মের জন্যই বেশি পরিচিত। অনেকেই ফোন দিয়ে আসেন। কেননা রংপুর শহরের অন্য কোথাও আর এই খড়ম পাওয়া যায় না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েরের হাবিবুর রহমান হলের জনৈক ছাত্র ১৯৯৭ সালে ঠাকুরগাঁও জেলার একটি গ্রামীণ বাজারের দোকান থেকে শখ করে একজোড়া খড়ম কিনে এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে পায়ে দিয়ে চলাফেরা শুরু করেন। খড়মের খটখট শব্দে হলে বসবাসকারী অন্য সকল ছাত্রদের সমস্যা হওয়ায় তীব্র আপত্তির কারণে সেই ছাত্রটিকে অবশেষে হলের ভেতর খড়ম পায়ে চলাচল বন্ধ করতে হয়েছিল। অথচ একসময় এদেশের ছিল ঘরে ঘরে খড়ম ব্যবহারের প্রচলন।
বর্তমান সভ্যতায় মানুষের ব্যবহার্য উপাদানের মধ্যে জুতা অন্যতম একটি ব্যবহৃত সাজসজ্জা। শহরাঞ্চলে জুতা/ সেন্ডেল ছাড়া এক মুহূর্তও কল্পনা করা যায় না। বয়স-লিঙ্গ-দেশ-কাল ভেদে জুতার রয়েছে এখন বাহারি ডিজাইন। মানুষের পা’কে ক্ষতবিক্ষত এবং নোংরা থেকে দূরে রাখার জন্যই ব্যবহার করা হয় জুতার। মহাদেশগুলোর মধ্যে এশিয়া এবং আফ্রিকাতেই স্যান্ডেলের ব্যবহার বেশি হলেও অন্যান্য মহাদেশগুলোতে স্যান্ডেলের ব্যবহার তুলনামূলক কম। বেশির ভাগ অঞ্চলেই চামড়ায় মোড়া জুতাই বেশি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ঠিক কবে থেকে এই জুতার ব্যবহার শুরু হয়েছে তা জানতে গেলে আমাদের অনেকটা পেছনে তাকাতে হবে। সবচেয়ে প্রাচীন স্পেনের গুহায় আমরা ১৫০০০ বছর আগের কিছু গুহাচিত্র দেখতে পাই। সেই গুহাচিত্রে দেখা যায় আদিম মানুষদের পায়ে পশুর চামড়া জড়ানো ছিল। তা ছাড়াও ৫০০০ বছর আগে বরফ যুগের সময়ে তৎকালীন মানুষেরা খড়যুক্ত চামড়ায় মোড়া জুতা পরিধান করত বলে জানা যায়। এছাড়াও এশিয়াতে এযাবৎ যত চিত্রকর্ম দেখা যায় তাতে এশিয়ায় যে কাঠের জুতা অর্থাৎ খড়মের প্রচলন ছিল তা জানা যায়।
এমনকি জাপানের প্রাচীন মিথ সাহিত্যেও কাঠের জুতার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। বর্তমান জুতাকে এই অবস্থায় আসতে দীর্ঘ বিবর্তনের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে এটা অনস্বীকার্য। এমনো ইতিহাস আছে যে ইউরোপের কিছু অঞ্চলে জুতা ছিল স্রেফ রাজাদের পরিধানযোগ্য। কোনো প্রজা যদি জুতা পরিধান করতো তাহলে তাকে রাজার আদেশে হত্যা পর্যন্ত করা হতো। এশিয়াতেও একই ঘটনা আমরা দেখতে পাই। আমাদের দেশে রাজা-বাদশা ও পরবর্তী সময়ে জমিদারদের আমল পর্যন্ত রাজ্যের সাধারণ মানুষরা জুতা পায়ে দিয়ে কিংবা রোদ-বৃষ্টিতে ছাতা মাথায় দিয়ে রাজা বাদশা কিংবা জমিদার বাড়ির সামনে দিয়ে চলাফেরা করতে পারত না। সেই প্রাচীন আমল থেকেই আমাদের দেশে ধনী-গরিবদের মাঝে মারাত্মক শ্রেণি বৈষম্য ছিল চোখে পড়ার মতো।
বরিশালের আগৈলঝড়ার জনৈক বাউল আব্দুল মান্নান আজ দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে খড়ম পায়ে চলাচল করছেন। খড়ম পায়ে হাঁটতে তিনি এতটাই অভ্যস্ত যে, দূর-দূরান্তে হেঁটে যেতে ওনার মোটেই কোনো ধরনের সমস্যা হয় না। বাউল আব্দুল মান্নান জানান, পূর্ব-পুরুষদের স্মৃতি রক্ষা করতেই তার এই খড়ম পায়ে দিয়ে চলা। ১৯৮৫ সাল থেকে বউলযুক্ত খড়ম ব্যবহার করছেন তিনি। এমনকি খড়ম পায়ে তিনি দৌড়াতেও পারেন।
আমাদের লোকজ সাহিত্যেও খড়ম শব্দটি স্থান পেয়েছে। যেমন— ‘হরম বিবি খড়ম পায়/খটটাইয়া হাঁইটা যায়/হাঁটতে গিয়া হরম বিবি/ধুম্মুড় কইরা আছাড় খায়/আছাড় খাইয়া হরম বিবি/ফিরা ফিরা পিছন চায়...।’ ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজ বাহিনীর সাথে দুঃখজনক পরাজয়ের পরে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজুদ্দৌলা ছদ্মবেশে নৌকায় করে পালিয়ে যাওয়ার সময় শত্রুপক্ষ নবাবের অলংকৃত পাদুকা দেখে শত্রুরা তাকে চিনতে পেরেছিল। সেইদিন নবাব পাদুকার পরিবর্তে পায়ে সাধারণ খড়ম পায়ে পরে থাকলে আমাদের এই দেশের ইতিহাস অন্যরকম হতে পারতো।
আমাদের দেশে জমিদারের যুগ শেষ হয়েছে ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর থেকে। সেই অত্যাচারী জমিদাররা কালের স্রোতে হারিয়ে গেছে বিট্রিশরা এই দেশ থেকে চলে যাওয়ার পর থেকে। পাদুকা পায়ে দিয়ে রাস্তায় চলাচল করলে বাধা দেওয়ার জন্য সেই পাইক পেয়াদারা আর নেই। বাংলাদেশের ঘরে ঘরে পায়ে খড়ম ব্যাবহারের মাধ্যমে সমাজে শ্রেণি বৈযম্যের দিন অনেক আগেই আমরা পার করে এসেছি।
Leave a Reply
Your identity will not be published.