‘স্টোরি অব শাকিব খান’ নামে তৈরি হতে যাচ্ছে বায়োপিক। এতে অভিনয় করবেন শাকিব খান, পরিচালক এফ আই মানিক। পরিচালক সমিতিতে তাঁর নতুন সিনেমার নাম নিবন্ধন করেছেন।
বায়োপিক তৈরির ইতিহাস ঘুরে আসা যাক। ১৯৬৭ সালে প্রয়াত খান আতাউর রহমান ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ নির্মাণ করেছিলেন। নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন প্রয়াত আনোয়ার হোসেন। ১৯৬৮-এ বিখ্যাত ঐতিহাসিক চরিত্র তিতুমীরকে নিয়ে ছবি করেন ইবনে মিজান, ছবির নাম ‘শহীদ তিতুমীর’। এরপর ১৯৭০-এ বিখ্যাত সুরসাধক তানসেনের জীবন উঠে আসে বড়পর্দায়। পরিচালক রফিকুল বারী চৌধুরী। ১৯৭২ সালে মরমী সংগীত সাধক লালনের জীবনী অবলম্বনে ছবি করেন সৈয়দ হাসান ইমাম। ছবির নাম ‘লালন ফকির’। পরে লালনের জীবন ঘিরে ছবি বানান তানভীর মোকাম্মেল। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছবিটির নাম ‘মনের মানুষ’। পরিচালক গৌতম ঘোষ। এটি ছিল ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রয়াস। আর লালনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন টালিউডের প্রসেনজিৎ।
সত্তর দশকে আরও দুটি বায়োপিক দর্শকেরা দেখার সুযোগ পান ‘ঈসা খাঁ’ (পরিচালক মহীউদ্দিন) ও ‘গোপাল ভাঁড়’ (পরিচালক বজলুর রহমান)। তবে ছবি দুটি সুনির্মিত ছিল না।
সুনামগঞ্জের মরমী সংগীত সাধক হাসন রাজার জীবনও চলচ্চিত্রের বিষয় হয়। প্রয়াত মমতাজউদ্দীন আহমদের চিত্রনাট্য ও সংলাপে এটি চলচ্চিত্রে রূপদান করেন প্রয়াত চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম। নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন হেলাল খান।
এ সময়ে নির্মিত হচ্ছে সবচেয়ে ব্যয়বহুল যে বায়োপিকটি, সেটি হলো ‘বঙ্গবন্ধু’। পরিচালক ভারতের প্রথিতযশা পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। এটি ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রয়াস।
যা হোক, এ লেখাটির শুরু হয়েছে সুপার স্টার শাকিব খানের বায়োপিককে নিয়ে, যা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন প্রবীণ পরিচালক এফ আই মানিক। জানা গেছে, ছবিটিতে শাকিব খানের পুরো জীবন ধরা পড়বে না। এতে শুধু তার নায়ক হয়ে ওঠার গল্প ফুটে উঠবে।
শাকিব খানের প্রকৃত নাম ‘মাসুদ রানা’। তিনি কীভাবে ‘শাকিব খান’ নামটি পেলেন, সেই বিষয়টিও ছবিতে উঠে আসবে। তবে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের ভূমিকায় কারা অভিনয় করবেন, এ বিষয়ে কোনো কিছু জানাননি এফ আই মানিক।
Leave a Reply
Your identity will not be published.