বন্ধুবৃত্তান্ত

বন্ধুবৃত্তান্ত

১. বইবন্ধু
এই বন্ধুরা পরীক্ষার সময় হঠাৎ জেগে উঠে বলে, ‘পড়ছিস না ? তোকে দেখে ভয় লাগে!’ কিন্তু পরদিন পরীক্ষার হলে দেখা যায়, ওরাই মুখ হাঁ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। নিজেরা না পড়লেও আমার মনোযোগ নষ্ট করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায়। বই দেখে ভয় পায়, কিন্তু ‘ভাই, একটা গাইড দে না’ বলার সাহস কমে না। ‘থ্রি ইডিয়টস’ মুভিতে ক্লাসের ফার্স্ট বয়কে পরীক্ষার আগের রাতে অন্য ছাত্রদের পড়া নষ্ট করার জন্য দরজার নিচ দিয়ে পর্ন ম্যাগাজিন দিতে দেখেছি আমরা। আমার বন্ধু জিকেন আমার সাথে ক্লাস টেনের ফাইনাল পরীক্ষার আগে একই চাল চেলেছিল। অঙ্কভীতি আমার বহুদিনের। তাই অঙ্কে একটু কম নম্বর পেতাম। জিকেন বরাবরই অঙ্কে টপার। আবার ইংরেজিতে আমি তার তুলনায় অনেক বেশি পাই। অঙ্কের কম তেমন গায়ে লাগে না। সেবার জিকেন আমাকে আরও ধরা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। রবিবার সকালে পরীক্ষা। শুক্রবার মহানন্দায় একসাথে আমরা গোসল করতে যাচ্ছি।
‘শোন তমাল! বেবিকে কখনো খেয়াল করেছিস ?’
‘সাইদুরের বোন বেবি তো ?’
‘হ, সে তো তোর প্রেমে পাগল! কদিন থেকেই সে ঘুরছে আমার পিছে। এই নে, তোকে প্রেমপত্র দিয়েছে।’
লুঙ্গির কোচর থেকে জিকেন একদলা কাগজ বের করে দেয়।
আমার মনে একটু ধাক্কা লাগলেও হাতের লেখা চোখে পড়লে আমার কাছে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যায়। জিকেন তার চাচাতো বোন রুপাকে দিয়ে বেবির নামে চিঠি লিখে আমাকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু রুপা আমার ছোট বোনের সাথেই পড়ে। তারা আমার কাছে মাঝে মাঝে পড়া বুঝিয়ে নেয়। রুপার লেখা চিনতে আমার অসুবিধা হয় নি।

২. ভুলো বন্ধু
আমার বন্ধু বুলবুল—নাম শুনে মনে হয় অনেক স্মার্ট, কিন্তু আসলে সে এক পাকা ভুলো মিয়া। ওর সাথে জীবনটা যেন এক চলšত্ম লিফট—উঠছে না নামছে, বোঝা যায় না!
আমরা ভালো করেই জানি প্রতি পরীক্ষার মতো ফাইনাল পরীক্ষার রম্নটিন মিস করলে আর তার পরের ক্লাসে ওঠা হবে না। তাই বাংলা পরীক্ষার আগেরদিন বিকালেও তাকে পই পই করে বলে দিয়েছিলাম, ‘বুলবুল, আর যাই হোক কালকে সকাল দশটায় বাংলা পরীক্ষা—একথা যেন ভুলিস না!’
সে বলল, ‘চিন্তা করিস না ভাই, টাইমলি আসব।’
পরদিন সকাল দশটায় আমি হলে প্রশ্ন লিখছি, হঠাৎ ও ফোন করে, ‘সাগর, পরীক্ষা কী বার যেন বলেছিলি ? আমি তো এখন চুল কাটাতে এসেছি!’
আরেকদিন কলেজ গেটেই দাঁড়িয়ে ও বলল, ‘তুই আমার ব্যাগ দেখেছিস ?’
আমি অবাক, ‘তোর কাঁধেই তো ব্যাগটা!’
ও হেসে বলল, ‘ওহ! আমি ভাবতে ছিলাম এটা তোকে দিয়েছি!’
একবার তো ইতিহাসের খাতা ভুলে গণিতের খাতা জমা দিয়ে এসেছিল! স্যার বলেছিলেন, ‘তোমার অঙ্কে বাবর বাদশা, আকবর আর শাহজাহান কী করতেছে ?’
ও বলল, ‘স্যার, ইতিহাসেই তো আসল যোগ-বিয়োগ!’
আর স্মার্টফোন ? সেটা ওর জীবনে একটা খেলনা মাত্র। ওর ফোনে ১২টা অ্যালার্ম বাজে, কিন্তু ও ঘুমায় এমনভাবে, যেন মক্কা শরিফে আজান হলেও ওর ঘুম ভাঙবে না।
সবচেয়ে ভয়ংকর ঘটনা—ও একবার নিজের জন্মদিন ভুলে গিয়েছিল। আমরা সবাই শুভেচ্ছা দিলাম, কেক কাটলাম, সে অবাক হয়ে বলল, ‘আরে! আজকে নাকি আমার জন্মদিন ? আমি তো ভাবছিলাম এটা রফিকের!’
বুলবুল সব ভুলে যায়—ক্লাস, খাতা, বাথরুমে সাবান। এমনকি প্রেমিকাকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা দিতেও ভুলে গেছে একবার! কিন্তু একটা জিনিস সে কখনো ভোলে না—বন্ধুদের পাশে থাকা।
আমরা বলি, ‘ভুলোমতি বুলবুল যদি পাশে থাকে, তাহলে প্রতিদিনই সারপ্রাইজ!’

৩. স্মার্ট বন্ধু
স্মার্টের আসল সংজ্ঞা আমার কাছে এখনো ক্লিয়ার না। আমার বন্ধু দীপু কোন ক্যাটাগরিতে পড়বে তা আজও সবার কাছে গবেষণার বিষয়। সে ডাহা মিথ্যা অথবা অনুমান করে কথা বলে সর্বোচ্চ কনফিডেন্স নিয়ে। তার সবকিছুতেই উত্তর থাকে, তবে সব উত্তর ঠিক না। মোবাইল হাতে নিয়ে একদিন আমাকে বলে, ‘দ্যাখ, গুগল বলছে যে হিমছড়িতে সোনার খনি পাওয়া গেছে!’ অথচ গুগলের প্রথম ফলাফল হলো একটা ভুয়া ব্লগ!
একবার পরীক্ষায় ওর খাতা দেখে লিখলাম—‘ফ্রান্সের রাজধানী হলো লন্ডন’। পরীক্ষা শেষ হলে সে কিরা কেটে বলে যে এই উত্তর সে স্মার্টফোন থেকেই মুখস্থ করেছে। বাড়িতে এসে বইয়ের সাথে মিলিয়ে দেখলাম, আসলে আমি ভুল উত্তর লিখে এসেছি। তখনই বুঝলাম, স্মার্ট আর স্মার্টফোনে পার্থক্য আছে।
দীপু চেহারায় বব ডিলান আর আত¥বিশ্বাস সালমান খানের মতো। শাকিব খানের চুল আর গুগল ম্যাপের মতো হাঁটা।
সে নিজেকে বলে, ‘স্মার্ট ৫.০’।
আমরা বলি, ‘ভাই, তুই স্মার্ট না, তুমি স্মার্টনামা!’
তার স্মার্টনেস এমন যে—আয়নায় নিজেকে দেখে বলেছিল, ‘আহা! আমি যদি মেয়ে হতাম, নিজেকেই বিয়ে করতাম!’
সে নিজেকে সুন্দর রাখার জন্য প্রতি মাসে মেয়েদের প্রসাধনী যেমন ফেয়ার এন্ড লাভলি, লিপস্টিক, মাসকারা ব্যবহার করত।
একবার কলেজে এক মেয়ে ওকে বলল, ‘তুমি একটু অতিরিক্ত স্মার্ট না ?’
সে ঠোঁট উঁচিয়ে বলল, ‘আমি আসলে স্মার্টনেসের ডেফিনিশন। তোমরা আমাকে ধারণ করতে পারবে না।’
একদিন আমরা গ্রম্নপ প্রেজেন্টেশন করছি, সবাই যার যার কাজ করছে। দীপু এসেই বলল, ‘তোমরা যা করছো করো, আমি শুধু দাঁড়িয়ে থাকলেই তোমাদের ১০ মার্ক বেড়ে যাবে।’
স্যার তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুই কী করছিস এই প্রেজেন্টেশনে ?’
সে বলল, ‘স্যার, আমি থিম মেইনটেইন করছি। লুক মেইনটেইন করছি। আর টোন মেইনটেইন করছি।’
স্যার তখন বলেছিলেন, ‘তুই বাইরে গিয়ে রোদ মেইনটেইন কর হারামজাদা!’
সে তক্ষুণি স্মার্টলি স্যারকে প্রশ্ন করে বসে, ‘স্যার কি আমাকে সামান্য অপমান করেছেন ?’
‘গাধার বাচ্চা, সামান্য নয় পুরোপুরিই তোকে অপমান করেছি। রুম থেকে বের হবি নাকি অন্য ব্যবস্থা নেব ?’
এরপরও সে হাসতে হাসতেই চুলে বিলি দিতে দিতে বের হয়।
আর প্রেম ?
দীপুর ডায়ালগ হলো ‘প্রেম করব না—আমাকে ভালো মেয়ের প্রাপ্য না, বরং আমারই প্রাপ্য ভালো মেয়ে।’
কিন্তু আসল ঘটনা হলো—সে প্রেমে বারবার প্র¯ত্মাব দিয়েছে, আর প্রত্যাখ্যাত হয়ে বলেছে, ‘ওরা আমার লেভেলের না ভাই!’
একবার ফেসবুকে ছবি দিল—সানগস্নাস, জিন্স, কফি কাপ আর ক্যাপশন:
‘Just a casual me in Milan.’
পরে দেখা গেল—ছবিটা তোলা হয়েছে ধানমন্ডি লেকের পেছনের চায়ের দোকানে। তার সিগনেচার ডায়ালগ ছিল, স্বপ্নেই যদি দই খাব, তবে চামচ দিয়ে কেন ? পকাদাল দিয়েই খাব!

৪. স্ট্যাটাসবাজ বন্ধু
ফেসবুক ব্যবহার করার ফলে দেশে-বিদেশে বহু বন্ধু হয়েছে আমার। এখানে বিচারক, আইনজীবী, ছাত্র, শিক্ষক, ডাক্তার, ব্যবসায়ী, বেকার, স্বামী পরিত্যক্তা, টিকটকার থেকে সবজিবিক্রেতা সবাই আমার বন্ধু। তাদের পেইজ ফলো করলে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। আমার এক বন্ধু আছে, নাম সুমন। কিন্তু আমি ওকে ডাকি—‘স্ট্যাটাসবাজ সুমন’।
ছেলেটা এমন যে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি গুরম্নত্ব দেয় স্ট্যাটাসের ব্যাকগ্রাউন্ড কালার আর রিঅ্যাকশনের সংখ্যাকে।
কারও বিয়ে হোক, কারও মৃত্যু হোক, এমনকি কারও কুকুর হারিয়ে যাক—সুমনের কাজ একটাই : ‘Feeling thoughtful’ দিয়ে একটা স্ট্যাটাস দেওয়া।
আমরা যখন ঘুম থেকে উঠি মুখ ধুতে, সুমন তখন স্ট্যাটাস দেয় : ‘নতুন সকাল, নতুন আশা, পুরোনো বন্ধুদের ভুলে যাওয়ার সময়!’
(আমরা তখন চিšত্মায় পড়ে যাই—এইবার কাকে বস্নক দিল ?)
কখনো আবার দেয় : ‘আজ মনটা ভালো নেই।’
কেন মন খারাপ ?
ওর প্রিয় ব্যান্ডের গায়ক চুল কেটে ফেলেছে!
সুমনের প্রেমও চলে স্ট্যাটাস দিয়েই।
স্ট্যাটাস : ‘কেউ একজন আমাকে খুব মিস করছে। Guess who ?’
কমেন্টে কেউ বলল, ‘তুই নিজেকেই মিস করিস!’
সুমন বলল, ‘ভাই, তুমি বুঝবা না!’
আসলে সে ইনবক্সে তিনজন মেয়েকে একসাথে ‘Feeling lonely’ পাঠিয়েছে।
বৃষ্টি পড়লে : ‘বৃষ্টির ফোঁটায় ভিজে যাচ্ছে ভাঙা হৃদয়।’
ভাত না পেলে : ‘সবাই কপালে খায়, আমি খাবারেই কপাল খুলি।’
পরীক্ষায় ফেল : ‘জীবনে সবকিছু GPA না, কিছু অনুভূতিরও মানে আছে।’
(এমন লাইন দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ও তাকে ‘উপদেশ’ না দিয়ে ‘উপহাস’ দেয়।)
একদিন বলল, ‘ভাই, চার্জার দে, জরুরি স্ট্যাটাস দিতে হবে!’
আমি বললাম, ‘কী এমন জরুরি ?’
সে বলল, ‘মনটা হুট করে বিষণ্ণ হয়ে গেল, ‘Feeling blue’ দিতে হবে!’
চার্জারের থেকেও ওর কাছে স্ট্যাটাস বেশি জরম্নরি!
সুমনের জীবনে স্ট্যাটাস না থাকলে সে যেন অক্সিজেন হারিয়ে ফেলে।
ওর সবচেয়ে বড় দুঃখ ?
‘স্ট্যাটাসে কেউ কমেন্ট না করলে জীবনটাই ফেক লাগে!’
ওর জীবনের একমাত্র লক্ষ্য: ‘বা¯ত্মব না, ভার্চুয়াল ফেম!’
তবুও আমরা সুমনকে ভালোবাসি, কারণ ওর স্ট্যাটাসেই হাসি, কান্না, নাটক—সব পাওয়া যায়।
আমরা বলি, ‘সুমনের স্ট্যাটাস পড়লেই বোঝা যায়—জীবনটা সিনেমা না, বরং একেবারে স্টোরি মোড অন!’

৫. সবজান্তা বন্ধু
ছোটবেলায় স্কুল বইতে সবজান্তা শমসের গল্প পড়েছিলাম। ভাবি নি এরকম লোক বাস্তবেও হয়!
আমরা জুলফিকারকে ডাকি ‘সবজান্তা জুলু’ নামে।
সে এমন এক বিস্ময়কর প্রাণী, যে পৃথিবীর যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে—জানি বা না-জানি, তাতে কী আসে যায়!
সে নিজেকে ভাবে : ‘হাফ ম্যান, হাফ এনসাইক্লোপিডিয়া!’
বিষয় যা-ই হোক, জুলু কিছু বলবেই!
আমরা একদিন বলছিলাম, ‘ভাই, ইউক্রেন যুদ্ধের খবর জানিস ?’
জুলু গম্ভীর মুখে বলল, ‘এই যুদ্ধে রাশিয়া আসলে নিজেদের পুরোনো সাম্রাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে।’
আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুই তো ভূগোলেও ফেল করেছিলি!’
সে হেসে বলল, ‘আসলে সেটা ফেল নয়, বোর্ড ভুল বুঝছে!’
আর যদি কেউ সর্দি-জ্বর নিয়ে বলেও, সে বলে : ‘এইটা ভাই কোভিড না, কফ-রিলেটেড ভাইরাল ইনফ্লেমেশন। আমি নিজে তিনবার অবস্থার সম্মুখীন হয়েছি!’
আমি বলি, ‘তুই কি ডাক্তার ?’
সে উত্তর দেয়, ‘ডিগ্রি লাগে না ভাই, অভিজ্ঞতাই বড় জিনিস।’
পরীক্ষার আগে ওর ‘বিশ্বজ্ঞান’ ভয়ংকর!
আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘জুলু, কীভাবে নিউটনের তৃতীয় সূত্র মনে রাখি ?’
সে বলল, ‘তোর চোখে একটা থাপ্পড় মারলেই তুই বুঝবি : Equal & Opposite Reaction!’
সত্যি বলতে কী, আমি Newton ভুলে গেছি, কিন্তু ওর থাপ্পড়-উপাত্ত এখনো ভুলি নি!
পৃথিবীর যে-কোনো কিছু মেরামতে ওর মতামত আছে!
ফ্রিজ নষ্ট ? সে বলবে, ‘গ্যাস লাইন লিক দিতেছে।’
মোবাইল স্লো ?
‘তোর RAM গেছে রে।’
বাল্ব জ্বলে না ?
‘ওরে একটু ধমক দে, মানসিকভাবে ভয় পেয়ে জ্বলে উঠবে।’
একবার কৌতূহলবশত এক মেঘের দিনে আমি তাকে আমার ছাতা মেরামত করতে দিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি ওটাকে ছাতার বদলে ড্রোন বানিয়ে দিয়েছে—তা উড়েও না, বৃষ্টিও ঠেকায় না!
ওর কথা কেউ বিশ্বাস না করলেও, ও নিজেই নিজের সবচেয়ে বড় ফ্যান!
একদিন আমি বললাম, ‘জুলু, একদিন যদি তুই সব ভুল বলিস ?’
সে বলল, ‘ভুলের মধ্যেও তো জ্ঞান থাকে ভাই, মানুষ বুঝে না।’
সবজাšত্মা জুলফিকার আমাদের জীবনের সেই বন্ধু—যে ভুল হলেও এমন ভরসার সাথে বলে যে তুমি নিজেই নিজের নাম ভুল ভাবতে শুরম্ন করো!
তবুও ওকে আমরা পাশে রাখি, কারণ ওর কথা শুনলেই হাসি পায়, মাথা ঘোরে, আর জীবন কিছুটা বেশি সিনেমাটিক মনে হয়।
আমরা বলি: ‘জুলুর মুখে কথা যত, প্রমাণ ততটাই কম—কিন্তু কনফিডেন্স লিমিটলেস!’

স্কুলের ঘণ্টা বাজে, কিন্তু এইসব বন্ধুরা বাজিয়ে দেয় আমাদের স্মৃতির বক্স।
ওদের কা-, দুষ্টুমি, হাসি-কান্না—সবকিছুই একদিন হয়ে দাঁড়ায় গল্প।
তাদের ছাড়া স্কুলজীবন শুধুই পাঠ্যপু¯ত্মকের পৃষ্ঠা—প্রাণহীন, আনন্দহীন।
বন্ধুদের এসব বৈচিত্র্যই আমাদের জীবনের রং। কেউ হাসায়, কেউ চিšত্মায় ফেলে, কেউ টাকা ধার নেয়, আর কেউ সময় ধার নেয়।
তবু এদের ছাড়া জীবন ?
আসলে তা একেবারে ‘বন্ধুহীন’ নিষ্প্রাণ এক অধ্যায়। ০

Leave a Reply

Your identity will not be published.