ধারাবাহিক রচনা বাংলা সাহিত্যে স্মরণীয় নারী (২০তম পর্ব)

ধারাবাহিক রচনা  বাংলা সাহিত্যে স্মরণীয় নারী (২০তম পর্ব)

[বাংলা সাহিত্যের স্মরণীয় স্রষ্টাদের মধ্যে শুধু পুরুষ নয়, নারীও রয়েছেন। তাঁদের তাৎপর্যপূর্ণ অবদানে সমৃদ্ধ হয়েছে আমাদের সাহিত্য ভুবন। ছড়া, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধÑসব ধরনের রচনাতেই নারীরা সৃজনশীলতার উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছেন। এমনকি সংস্কৃতিতেও। বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির সেইসব স্মরণীয় নারী এবং তাঁদের কীর্তির কথাই এই ধারাবাহিক রচনায় তুলে ধরা হয়েছে।]

১৮৫২ : হানা ক্যাথরিন মুলেনস তাঁর ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত প্রকাশ করে বাংলা ভাষার প্রথম নারী ঔপন্যাসিকের মর্যাদা লাভ করেছিলেন।

১৮৫৬ : প্রথম নারী কবি ও কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা নারীÑ কৃষ্ণকামিনী দাসী; ‘চিত্তবিলাসিনী’ কাব্যগ্রন্থ। এটিই বাঙালি নারীর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ।

১৮৬১ : বামাসুন্দরী দেবী প্রথম মহিলা প্রবন্ধকার রূপে খ্যাতি লাভ করেন। তাঁর প্রবন্ধের নাম ছিল, ‘কি কি কুসংস্কার তিরোহিত হইলে এদেশের শ্রীবৃদ্ধি হইতে পারে’।

১৮৬৩ : (মতান্তরে ১৮৭২) শিবসুন্দরী দেবী প্রথম বাংলায় উপন্যাস ‘তারাবতী’ রচনা করেন।

১৮৬৩ : কৈলাসবাসিনী দেবী (গুপ্ত) ভারত উপমহাদেশে প্রথম নারী যিনি প্রবন্ধের বই প্রকাশ করেন। নাম ‘হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা’।

১৮৬৩-১৮৬৫ : কৈলাসবাসিনী দেবী (গুপ্ত)-ই প্রথম চিন্তাবিদ নারী যিনি যুক্তি ও বিশ্লেষণের সঙ্গে তঁর প্রবন্ধের বই ‘হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা’ এবং ‘হিন্দু মহিলাকুলের বিদ্যাভাস ও তাহার সমুন্নতি’ লিখে নারীকল্যাণে তাঁর প্রাজ্ঞ চিন্তাধারার ছাপ রাখেন।

১৮৬৫ : তাহেরুন্নেসা প্রথম বাঙালি মুসলিম নারী গদ্য লেখক। বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী থাকা অবস্থায় তাঁর লেখা ‘বামাগণের রচনা’ প্রকাশিত হয়, ১৮৬৫ সালে বামাবোধিনী পত্রিকায়।

১৮৬৬ : বাংলার প্রথম পেশাজীবী নারীরূপে রাধাসুন্দরী (মতান্তরে রাধামণি দেবী) ৩০ টাকা (মতান্তরে ৪০ টাকা) বেতনে শেরপুর স্ত্রীশিক্ষা বিধায়নী সভায় চাকুরিলাভ করেন।

১৮৬৬ : বাংলার প্রথম নারী নাট্যকার কামিনী সুন্দরী দেবী। ১৮৬৬ সালে ‘ঊর্বসী’ নামক একটি নাটক লেখেন।

১৮৬৭ : নারীর আধুনিক, মার্জিত, কুচি দিয়ে পরা শাড়ি ও ব্লাউজসহ পোশাক প্রবর্তন করেন ঠাকুর পরিবারের জ্ঞানদানন্দিনী দেবী।

১৮৬৯ : প্রথম নারী রচিত আত্মজীবনী, রাসসুন্দরী দেবীর আত্মকথা ‘আমার জীবন’ ছাপা হয় ১৮৬৯ সালে।

১৮৬৯ অরু দত্ত (১৮৫৪-৭৮) ও তরু দত্ত (১৮৫৬-১৮৭৭) দুই বোন। পিতা গোবিন্দচন্দ্র খ্রিষ্টান ধর্মগ্রহণ করেছিলেন। সুশিক্ষা, উন্নত রুচি ও মানস গঠনের জন্যে তিনি দুই কন্যাকে খুব ছোটবেলায় (১৮৬৯ সালে) ফ্রান্স, ইতালি ও ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করতে পাঠিয়ে দেন। তাঁরাই সম্ভবত প্রথম বাঙালি নারী, উচ্চ শিক্ষার্থে যাঁরা ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সে যান। তাঁরাই বাঙালি নারীদের ভেতর প্রথম যাঁরা ইংরেজি ও ফরাসিতে কবিতা রচনা করেন। তাঁদের মৌলিক ও অনূদিত গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন তাদের পিতা, ১৮৭৬ সালে।

১৮৭০ : মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বাংলা কাগজ ‘বঙ্গমহিলা’ প্রকাশিত হয়। এটাই বাংলায় প্রথম নারী সম্পাদিত নারীদের জন্যে পত্রিকা।

১৮৭৩ : নবাব ফয়েজুন্নেসা প্রথম ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করেন মেয়েদের জন্যে (কুমিল্লায়)।

১৮৭৩ : কলকাতার বেঙ্গল থিয়েটার নারীদের মঞ্চে ঢোকার অনুমতি দিলে প্রথমবারের মতো গোলাপসুন্দরী, এলোকেশী, শ্যামা, ভবত্তারিনীরা গণিকালয় থেকে এসে মঞ্চ-থিয়েটারে যোগ দেন।

১৮৭৫ : নারী-লিখিত নাটকের মধ্যে সুকুমারী দত্ত (গোলাপসুন্দরী) রচিত ‘অপূর্ব সতী’ প্রথম মঞ্চায়িত হয় ১৮৭৫ সালে, গ্রেট ন্যাশনাল থিয়েটারে, বাংলার প্রথম অভিনেত্রী-নাট্যকার গোলাপের [সুকুমারী দত্ত] সাহায্যার্থে। এটিই বাংলার প্রথম ফিল্মি-সহায়তা অভিনয় রজনী।

১৮৭৬ : স্বর্ণকুমারী দেবীর উপন্যাস ‘দীপনির্বাণ’ প্রকাশিত হয়্। বাংলায় কোনো বাঙালি নারীর লিখিত প্রথম মানসম্পন্ন উপন্যাস হিসেবে অনেকেই ‘দীপনির্বাণ’-এর উল্লেখ করেন।

১৮৭৬ : নবাব ফয়েজুন্নেসা রচিত ‘রূপজালাল’ প্রকাশিত হয়। কিছু গদ্যে, কিছু পদ্যে, কিছু আত্মকথার মতো উপন্যাসের ঢং-এ লেখা, কিছুটা রূপকথার মতো করে লেখা, সব মিলিয়ে রূপজালাল এক অভিনব সাহিত্যকর্ম। এটা উপন্যাস বলা চলে না, কাব্যগ্রন্থ-ও নয়। রূপজালাল-এর মাধ্যমে ফয়েজুন্নেসা প্রথম মুসলমান নারী লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।

১৮৭৬ : মনোমোহিনী হুইলার প্রথম শিক্ষিত নারী যিনি বড় সরকারি চাকুরি পান।

১৮৭৮ : কাদম্বিনী বসু প্রথম নারী যিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই বছর এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাশ করেন। দ্বিতীয় নারী সরলা দাশ একই বছর এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্যে মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্সী কলেজের প্রথম বাঙালি অধ্যক্ষ প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের সঙ্গে পরীক্ষার আগেই বিয়ে হয়ে যাওয়ায় সরলার আর পড়াশোনা করা হয় নি।

১৮৭৯ : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এন্ট্রান্স পাস করা প্রথম নারী কাদম্বিনী বসুর কলেজে পড়বার একান্ত আগ্রহে মাত্র একজন ছাত্রী (কাদম্বিনী বসু) নিয়ে ১৮৭৯ সালে বেথুন স্কুলকে বেথুন কলেজে রূপান্তরিত করা হয়।

১৮৭৯ : তরু দত্তের (১৮৫৬-১৮৭৭) লেখা বই ঔড়ঁৎহধষ ফব গধফবসড়রংবষষব ফদঅৎাবৎং, (১৮৭৯; মৃত্যুর পর প্রকাশিত) ফরাসি ভাষায় কোন বাঙালির লেখা প্রথম উপন্যাস এবং ইরধহপধ, ড়ৎ ঃযব ণড়ঁহম ঝঢ়ধহরংয গধরফবহ, (১৮৭৯; মৃত্যুর পর প্রকাশিত) ইংরেজিতে লেখা কোনো বাঙালি নারীর প্রথম উপন্যাস।

১৮৮০ : ঢাকার তিন বাইজি ভগ্নী আন্নু, গান্নু, নওয়াবীন ‘পূর্ববঙ্গ রঙ্গভূমি’ ভাড়া করে ১৮৮০ সালে নভেম্বর মাসে প্রথমবারের মতো টিকিটের বিনিময়ে ‘ইন্দ্রসভা’ নাটকটি মঞ্চস্থ করেছিলেন ঢাকায়।  ঢাকায় নারীদের নিয়ে সেটাই প্রথম নাটক।

১৮৮২ : অবলা বসু প্রথম ডাক্তারি শাস্ত্র অধ্যয়ন শুরু করেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্যে যা শেষ করতে পারেন নি। কলকাতায় মেডিকেল কলেজে তখন পর্যন্ত কোনো নারীকে ডাক্তারি পড়ার জন্যে নেওয়া হতো না বলে অবলার পিতা বাধ্য হয়ে অবলাকে মাদ্রাজ রাজ্যের বেঙ্গালোর শহরে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেন ১৯৮২ সালে, কিন্তু দু’বছর পড়ার পর অবলা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। 

১৮৮৩ : কাদম্বিনী বসু ও চন্দ্রমুখী বসু প্রথম নারী, যাঁরা বি এ পাস করেন ১৮৮৩ সালে। নারীদের মধ্যে প্রথম গ্রাজুয়েট হন তাঁরা শুধু ভারতেই নয়, তখনকার সারা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে, খোদ ইংল্যান্ডসহ। এর এক বছর পর ইংল্যান্ডের মেয়েরা বিএ পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি পায়।

প্রথম বাঙালি নারী যিনি বিজ্ঞানে প্রথম স্নাতকোত্তর (উদ্ভিদবিদ্যা) ডিগ্রি পান, তিনি হেমপ্রভা বসু । তিনি জগদীশ চন্দ্র বসুর বোন ছিলেন।

১৮৮৩ : স্বর্ণকুমারী দেবীর সভাপতিত্বে অন্তঃপুরবাসিনীদের সঙ্গে বহির্জগতের মিলনের জন্য ঠাকুরবাড়িতে লেডিস থিওসফিকাল সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৮৪ : চন্দ্রমুখী বসু প্রথম এম. এ পাস করা নারী (১৮৮৪ সালে)।

১৮৮৪ : চন্দ্রমুখী বসু প্রথম ডিগ্রিধারী নারী যিনি চাকরি পান। ১৮৮৪ সালে প্রথমে বেথুন কলেজে সহকারী তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে শিক্ষকতা শুরু করে অবশেষে তিনি বেথুন কলেজের অধ্যক্ষ হয়েছিলেন।

১৮৮৪ : বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লিখে অভ্যস্ত আজিজুননেছা খাতুন (১৮৬৪-১৯৪০) প্রথম নারী যিনি একটি অনুবাদগ্রন্থ ‘হারমিট’ বা উদাসীন প্রকাশ করেন।

১৮৮৪ : রবীন্দ্রনাথের ভগ্নী স্বর্ণকুমারী দেবী প্রথম মহিলা সম্পাদক রূপে বিখ্যাত ‘ভারতী’ পত্রিকা প্রকাশনা শুরু করেন।

১৮৮৫ : ক) বাংলার প্রথম নারী সংগঠন ‘সখী সমিতি’ স্বর্ণকুমারী দেবী কর্তৃক গঠিত হয়। খ) ১৮৮৯ সালে স্বর্ণকুমারী দেবী কাদম্বিনী গাঙ্গুলীর সঙ্গে প্রথম বাঙালি নারী হিসেবে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস-এর বার্ষিক অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ওই অধিবেশনে বাংলা প্রদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত প্রথম দুজন সদস্যের একজন। গ) ১৯২৭ সালে তিনি প্রথম নারী যিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ‘জগত্তারিণী স্বর্ণপদকে’ ভূষিত হন।

ঘ) ১৯২৯ সালে তিনি প্রথম নারী, যিনি বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন।

১৮৮৬ : কবি কামিনী রায় অবিভক্ত ভারতের প্রথম মহিলা অনার্স গ্র্যাজুয়েট। বাঙালি নারীদের মধ্যে প্রথম আধুনিক কবি। সেই সময়ের সবচেয়ে বিখ্যাত ও শিক্ষিত কবি।

১৮৮৬ : কাদম্বিনী বসু (গাঙ্গুলী) ভারতীয় মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করে প্রথম ভারতীয় নারী ডাক্তার, যিনি ডাক্তারি পেশা প্র্যাকটিস করার সার্টিফিকেট (এইগঈ) পান।

১৮৮৬ সালে চন্দ্রমুখী বসু বেথুন কলেজে অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। উপমহাদেশের কোনো কলেজ বা উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চন্দ্রমুখী বসুই প্রথম নারী শিক্ষক, প্রথম নারী অধ্যাপিকা এবং প্রথম নারী অধ্যক্ষা।

১৮৮৭ : আনুষ্ঠানিকভাবে রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন প্রথম পালন করা হয়েছিল ১৮৮৭ সালে, পার্ক স্ট্রিটে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়িতে। গুরুদেবের সেই প্রথম জন্মোৎসব পালনের কৃতিত্ব দাবি করেছেন রবীন্দ্রনাথের ভাগনি, সরলা দেবী চৌধুরানী। অন্য এক সূত্র মতে, জ্ঞানদানন্দিনী ঠাকুরের উৎসাহে হিরন্ময়ী ও সরলা দেবী চৌধুরানী, স্বর্ণকুমারী দেবীর দুই কন্যা মিলে ৪৯ নম্বর পার্ক স্ট্রিটে জ্ঞানদানন্দিনী/সত্যেন্দ্রনাথের বাড়িতে রবীন্দ্রনাথের জন্মোৎসব সর্বপ্রথম ঘটা করে পালন করেন। এই অনুষ্ঠানে জন্মতিথির সংখ্যা অনুসারে মোমবাতি জ্বালাবার প্রথা চালু করেন হিরন্ময়ী।

১৮৮৮ : বিধুমুখী বসু ও ভার্জিনিয়া মেরী মিত্র এই দুই নারী প্রথম এম. বি পাস করে ডাক্তার হন ১৮৮৮ সালে। ওই পরীক্ষায় ভার্জিনিয়া মেরী মিত্র প্রথম হন। কাদম্বিনী বসু লিখিত পরীক্ষায় পাস করলেও একটি বাধ্যতামূলক ব্যবহারিক পরীক্ষায় এক নম্বরের জন্যে পাশ করতে না পারায় তাকে ডাক্তারি শাস্ত্রে প্র্যাক্টিস করবার জন্যে বিশেষ সার্টিফিকেট দেওয়া হলেও (১৮৮৭ সালে) এম. বি ডিগ্রি দেওয়া হ্য় না। তবু, সব সত্ত্বেও, কাদম্বিনী বসুই বাংলার প্রথম ডাক্তার। কিন্তু প্রথম এম.বি হলেন বিধুমুখী বসু ও ভার্জিনিয়া মেরী মিত্র। তেজস্বিনী কাদম্বিনী পরে ইংল্যান্ড থেকে তিন তিনটি ডাক্তারি ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। ডাক্তারি শাস্ত্রে বিদেশি ডিগ্রি তিনিই প্রথম অর্জন করেন।

১৮৮৮ প্রসন্নময়ী দেবীর লেখা ‘আয্যাবর্তে বঙ্গমহিলা’, যতদূর জানা যায় নারী রচিত প্রথম ভ্রমণবৃত্তান্ত, পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয় ১২৯৫ বঙ্গাব্দের পৌষ সালে (১৯৮৮ সালের ডিসেম্বরে)।

১৮৮৯ : কুমিল্লার সামাজিক উন্নয়নে ফয়েজুন্নেসার অকাতরে দানের স্বীকৃতিস্বরূপ মহারানী ভিক্টোরিয়া প্রদত্ত ফয়েজুন্নেসা চৌধুরানীর নবাব উপাধি লাভ। ফয়েজুন্নেসাই প্রথম ও একমাত্র নারী নবাব।

১৮৮৯ : বোম্বে শহরে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে প্রথমবারের মতো ছয়জন ভারতীয় নারীর যোগদান যার ভেতর দু’ জন বাঙালি, বাংলার প্রতিনিধি। কাদম্বিনী বসু এবং স্বর্ণকুমারী দেবী।

১৮৯০ : এই বছর ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে সরলা দেবী চৌধুরানী বি. এ পাস করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে তিনি 'পদ্মাবতী স্বর্ণপদক' লাভ করেন; তিনিই এই মেডেলের প্রথম প্রাপক।

১৮৯০ : এই সরলা দেবীই প্রথম নারী যিনি বাংলার বাইরে গিয়ে (হায়দরাবাদে) চাকরি করেন, নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেতনে।

১৮৯৩ : মেয়েদের জন্যে প্রথম জেনানা হাসপাতাল তৈরি করেন নবাব ফয়েজুন্নেসা, কুমিল্লায়।

১৮৯৬ : লতিফুন্নেসা কলকাতার ক্যাম্বেল মেডিকেল স্কুল থেকে ৫৯ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে প্রথম হয়ে প্রথম বাঙালি মুসলমান নারী ডাক্তার হন।

 

Leave a Reply

Your identity will not be published.