হান্নান সাহেবের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল ২০০৮ কী ২০০৯ সালে, ওমানে। তিনি তখন সেখানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। সেখানে আমি গিয়েছিলাম ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ'-এর একটি পর্বের কাজ করার জন্য।
বিষয় হলো, যারা বাংলাদেশ থেকে সেখানে গিয়েছিল নির্মাণ শ্রমিক বা গার্ডেন শ্রমিক হিসেবে, তারা স্থানীয়দের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে চাষাবাদ করছে, বড় বড় খামারের মালিক হচ্ছে। ওমানে তখন বাংলাদেশি শ্রমিক ভিসা বন্ধ ছিল অথচ নতুন গড়ে ওঠা কৃষিখামারগুলোতে প্রচুরসংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিকের চাহিদা ছিল। এই বিষয়ে তখনকার ওমানে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত হান্নান সাহেবের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। মনে পড়ছে, হান্নান সাহেব তাঁর বাসায় আমাদের দাওয়াত দিয়েছিলেন। তার স্ত্রী ড. সেলিনা আফরোজের সঙ্গে পরিচিত হলাম। তিনি তখন কোনো এক মন্ত্রণালয়ের জয়েন্ট সেক্রেটারি। ওমানে বেড়াতে গিয়েছিলেন স্বামীর কাছে। পরে তিনি মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই হান্নান সাহেবের সঙ্গে আবার দেখা হবে তা ভাবি নি। দেখা গেল, আমরা একই টেবিলে বসেছি। কুশল বিনিময় করলাম।
কিছুক্ষণ পরেই ডেভিড ক্যামেরন হাজির হলেন। লক্ষ্য করলাম, আমাদের দেশে একজন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বেষ্টনির যে রকম হাকডাক থাকে, তেমনটি নেই। তাঁর সঙ্গে পারিচিত হওয়ার পর বুঝতে পারলাম, তিনি একজন সদালাপী মানুষ। আমাদের টেবিলে যখন পরস্পর হ্যান্ডশেক করছি, ডেভিট ক্যামেরন আমার কাছে আমার কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চাইলেন। বললাম, আজকেই ২০১৫ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে তোমার দেশকে বাংলাদেশ হারিয়েছে।
ডেভিড ক্যামেরন মঞ্চে উঠে বললেন, এত বাঙালিকে একসঙ্গে দেখে আমার খুবই ভালো লাগছে। আমার আরও ভালো লাগছে এ জন্য যে, আজ ২০১৫ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাক।
অতঃপর আরও কয়েকজন বক্তব্য প্রদান করলেন। পুরস্কার বিতরণী শেষ হলো। আমরা ফিরে এলাম হোটেলে।
১৩ মার্চ, ২০১৫। সকাল। আমি, আদিত্য আর বিজয় নাস্তা সেরে হোটেলের লবিতে অপেক্ষা করছি। আমরা যাব লন্ডনে। অবশ্য দুটি বিষয় মনের মাঝে খচখচ করছে: এখনো পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের টিকিট পাওয়া যায় নি এবং আমাদের সঙ্গে লন্ডন যেতে পারছে না নাসির। কারণ ওর স্ত্রী হাসপাতালে। এ জন্য সে আমাদের সময় দিতে পারছে না। সঙ্গত কারণেই সে বিব্রতবোধ করছে। আমরাও ওকে মিস করছি। অবশ্য আমাদের যেন কোনো অসুবিধা না হয়, এ বিষয়ে নাসির সচেতন। এই তো কিছুক্ষণ পরই একটি ভাড়া করা গাড়িতে চড়ে আমরা বার্মিংহাম থেকে লন্ডন যাব, এই গাড়িটি ঠিক করে দিয়েছে নাসিরই।
আমাদের পরিকল্পনা হলো, লন্ডনে আমরা দ ‘দিন থাকব, ১৩ ও ১৪ মার্চ। ১৫ মার্চ সকালে ম্যানচেস্টারের উদ্দেশে রওনা হবো।
লন্ডন পৌঁছলাম। এখানকার চ্যানেল আই স্টেশন থেকেই পুরো ইউরোপকে কভার করা হয়। আর এই স্টেশনের (চ্যানেল আই ইউরোপের) এমডি রেজা আহমেদ ফয়সাল চৌধুরী। এবার ওর গাড়িটি দেখে ভালো লাগল। কেননা যতবারই লন্ডনে এসেছি এয়ারপোর্টে আমাকে নিতে এসেছে ফয়সাল ওর গাড়ি নিয়ে।...একবার লন্ডন গিয়েছিল সাগর ও কনা। ফয়সালের গাড়িটি দেখে ওদের মধ্যে বিবমিষা জেগেছিল। ওদের মনে হয়েছিল, গাড়িটি যেন সিটি কর্পোরেশনের ময়লা নিষ্কাশনের গাড়ি। গাড়িটি এত অপরিচ্ছন্ন যে, পা রাখতে গেলেও মনে ঘিনঘিন অনুভূতির সঞ্চার হবে।
ফয়সালকে বললাম, আবার ময়লা গাড়ি নিয়ে এসেছ? বললাম এ কারণে যে এই গাড়িটি যদিও নতুন, চিরায়ত অভ্যাসের কারণে ফয়সাল গাড়িটি পরিষ্কার করে নি।
ফয়সালের একটা স্টাইল আছে। সুঠাম দেহি, ফ্রেঞ্চ কাট দাড়ি, ন্যাড়া করা মাথা। কালো। ও যদি বাংলা না বলে তাহলে ওকে ‘ব্ল্যাক’ই মনে হবে। ওকে দেখে অপরিচিত কারো মনে হবে, এই বুঝি সে রেগেমেগে একটি ঘুষি চোয়ালে বসিয়ে দেবে হুলিগানের মতো। যা হোক, ফয়সাল সম্পর্কে আরেকটি তথ্য জানিয়ে রাখি, ওর স্ত্রী একজন চিকিৎসক। সরকারি চাকরি করে। আবার ব্রিটেনের মূলধারার রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত। তার দাপটে ফয়সাল সবসময় কোণঠাসা থাকে।
লন্ডনে এলে আমরা সব সময় ব্রিটানিয়া হোটেলে উঠি। কেননা এটি শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। কাছেই একটি বাঙালি রেস্টুরেন্ট আছে। মেমসাহেব। অনেক পুরনো। বাংলাদেশ থেকে যত মানুষ লন্ডন যায়, মেমসাহেবে খায় নি এমন মানুষের সংখ্যা কম। তো মেমসাহেবে খেতে গেলাম দুপুরে। রেস্টুরেন্টটির কর্ণধারের সঙ্গে দেখা হলো। কুশল বিনিময় করলাম।
এদিকে বিজয় আমার কানের কাছে জপমন্ত্রের মতো বলেই চলেছে, আব্বু টিকিট। যতবার বিজয় টিকিটের কথা বলে আমি ততবার ফয়সালের দিকে তাকাই। আর ফয়সালের ধরাবাধা উত্তর হলো: বস, হয়ে যাবে।
মেমসাহেব থেকে দুপুরের খাবার সেরে লন্ডনের চ্যানেল আই-এর স্টেশনে গেলাম। সবার সঙ্গে কথা বললাম। তারপর হোটেলে ফিরলাম। বিশ্রাম নিলাম। পুরো দিনটিতেই তেমন কোনো কাজ নেই। আমার বড় ছেলে অয়নের বেশ কিছু বইয়ের চাহিদা ছিল। সাধারণত লন্ডনে এলে বই কিনি পিকারডারলি সার্কাসের একটি দোকান ওয়াটার স্টোন থেকে। এবারও তাই কিনলাম। আমাকে সহযোগিতা করল লন্ডনস্থ চ্যানেল আই পরিচালকদের একজন কর্মী সাদেক। বই কিনে হোটেলে ফিরে এলাম।
লন্ডনের মাটিতে আমার প্রথম পা পড়ে আমেরিকা সফর শেষে ফেরার পথে। সেবার সপরিবারে আমি বিদেশ সফর করেছিলাম। আমাদের সঙ্গী ছিল, চ্যানেল আইয়ের মার্কেটিং বিভাগের ইবনে হাসান খানের পরিবার। তখন আমার মনে পড়েছিল শফিক চৌধুরী এবং তার বড়ভাইয়ের কথা। এই দু’জন মানুষের সঙ্গে আমার লন্ডনে পরিচয় হয়েছিল এক সহকর্মীর মাধ্যমে। তারা আমাকে অনুরোধ করেছিল, আমি আবার লন্ডন এলে যেন তাদের বাসায় উঠি। কিন্তু আমেরিকা থেকে লন্ডনে পৌঁছে আমরা সরাসরি হোটেলে উঠলাম।
ম্যানচেস্টার সিটি স্টেডিয়াম
...বিকেলে আমরা সবাই হোটেলের উপরে আড্ডা দিচ্ছি। আমার স্ত্রী নিচে গেছে ওয়াশরুমে। আমাদের পরিকল্পনা হলো, চৌধুরী পরিবার এলেই আমরা একসঙ্গে বাইরে খেতে যাব।
এক পর্যায়ে আমার ছোট ছেলে বিজয় বলল, আব্বু, অনেকক্ষণ হলো আম্মু নিচে গেছে। এখনো তো আসছে না।
তখন আমাদের টনক নড়ল। সবাই হন্তদন্ত হয়ে নিচে নামলাম। দেখলাম, আমার স্ত্রী ঘেমে-নেয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হচ্ছে। চোখে-মুখে ভয়ার্ত অভিব্যক্তি। আমাদের দেখতে পেয়ে সে বলল, আমি এতক্ষণ ধরে চিৎকার করছি, তোমাদের ডাকছি, তোমরা কেউ কি আমার চিৎকার শুনতে পাও নি? আমি বললাম, না, আমরা তো আড্ডায় মশগুল। যাই হোক, কী ব্যাপার? কী হয়েছে? আমার স্ত্রী বলল, আমি বাথরুমের দরজা লাগানোর পর দেখা গেল, সেটি আর খুলছে না। অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু কিছুতেই দরজা খুলছিল না। আমি ভয়ে-আতঙ্কে জমে গিয়েছিলাম।
আমি ওর অবস্থাটা বুঝতে পারছিলাম। একে তো নতুন জায়গা। অন্যদিকে আমরা সবাই উপরে আর সে নিচে একা বাথরুমে। তাছাড়া লন্ডন আসার আগে আমার বড় ছেলে অয়ন লন্ডনি ভূতের গল্প বলেছিল। আর এ কথা তো সত্যি যে, লন্ডনের মানুষেরা ভূতে বিশ্বাস করে। এ বিষয়ে অনেক গল্প প্রচলিত আছে। সব মিলিয়ে আমার স্ত্রীর ভয় পাওয়াই স্বাভাবিক। আমরাও কিছুটা অস্বস্তিতে ভুগতে লাগলাম। ফলে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম, না এ হোটেলে থাকা যাবে না।
যেই কথা সেই কাজ, আমরা হোটেল থেকে চেক আউট হওয়ার প্রস্তুতি নিলাম। ব্যাগ অ্যান্ড ব্যাগেজ গোছালাম। এই সময়ে শফিক চৌধুরী, তার বড়ভাই এবং তাদের স্ত্রী-সন্তানেরা এল। আমাদের অবস্থা দেখে শফিক চৌধুরী জিজ্ঞেস করল, কী ব্যাপার?
আমি ঘটনা খুলে বললাম। আমার বক্তব্য শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চৌধুরী পরিবারের বড়রা সমস্বরে বলল, এই জন্যেই তো বলেছিলাম আমাদের বাসায় ওঠেন। তা না করে খুব তো হোটেলে উঠে ছিলেন।...চলুন, বাসায় চলুন।
হাসান এবং আমার পরিবারের সদস্য মিলে আট-নয়জনের একটি দল আমরা। সবাই মিলে একজনের বাসায় উঠব! আমাদের অস্বস্তি হচ্ছিল। আমি তাই বললাম, না, আমাদের একটি ভালো হোটেলের সন্ধান দিন। আমরা সেখানে উঠব।
চৌধুরীরা আমার কথা কিছুতেই মানবে না। অনেক চেষ্টা করল তারা তাদের বাসায় আমাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমি অনড়। অগত্যা তারা একটি রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে আমাদের লাঞ্চ খাওয়াল এবং একটি হোটেলে পৌঁছে দিল। অবশ্য তারা বিদায় নিল না। আমাদের সঙ্গেই থাকল।
নানা কথা তাঁর আড্ডায় সময় বয়ে চলল। দুপুর গড়িয়ে বিকেল, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা তারপর রাত হলো। এদিকে আমাদের হাবভাব আর মুখের অভিব্যক্তিতে চৌধুরী পরিবারের সবাই বুঝতে পারল যে, আমরা যতই হোটেলে থাকতে চাই না কেন-আমরা তা পারব না। এই হোটেলেও আমরা থাকতে পারব না। শেষ পর্যায়ে আমি সিদ্ধান্তে পৌঁছলাম যে শফিক চৌধুরীর বাসায়ই উঠব। আমার সিদ্ধান্ত তাদের জানালাম। শুনে চৌধুরী পরিবারের সবাই ভীষণ খুশি হলো।
হোটেল থেকে চেক আউট করার আনুষ্ঠানিকতা সেরে আমরা সেই রাতে ঘুম শফিক চৌধুরীর বাসায় উঠলাম। নানা গল্প-আড্ডায় কয়েক ঘন্টা সময় কাটল।
ইতিমধ্যে ডিনারও সারা হয়ে গিয়েছিল। একপর্যায়ে আমরা ঘুমুতে গেলাম। ব্রিটিশরা কিন্তু ভূতে বিশ্বাস করে। তাই তো তারা হ্যালোইন উৎসব করে।
পরদিন সকালে নিচতলায় আমরা নাস্তা করছি। আমার দুই ছেলে আর হাসানের মেয়ে শফিক চৌধুরীর দুই শিশুপুত্রের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছে। আমি হাসান, শফিক চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলছি এবং মহিলারাও নিজেদের মধ্যে কথা বলছে।…এখানে লন্ডনের বাড়িগুলোর ধরণ সম্পর্কে একটু ধারণা দিচ্ছি। দেখা যায়, বাড়িতে ঢুকতেই একটি সিঁড়ি উপরের দিকে চলে গেছে। উপরেই সব বেডরুম। নিচে থাকে লিভিং এরিয়া, ডাইনিং স্পেস এবং সিঁড়ির নিচে একটি গেস্ট বাথরুম। সেই বাথরুমের লাগোয়া ডাইনিং স্পেসে বসে নাস্তার পর আমরা সবাই আড্ডা দিচ্ছি। ভাবিরা দুপুরের খাবারের আয়োজন করছে। সবজি কাটছে।
এক পর্যায়ে আমি গেস্ট বাথরুমে ঢুকলাম। বাথরুম সেরে দরজা খোলার নব ঘোরালাম। কিন্তু দরজা খুলছে না। অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু কোনোভাবেই
ম্যানচেস্টার বিজয়
দরজা খুলছে না। এমনও নয় যে বাথরুমটি কালেভদ্রে ব্যবহৃত হয়। শফিক চৌধুরীর কথাবার্তা থেকে বুঝেছি যে, প্রতিদিনই বাথরুমটি ব্যবহার করে পরিবারের সদস্যরা বা গেস্টরা। তাহলে দরজা কেন খুলছে না? টেনশন হচ্ছে। আবার মনে মনে লজ্জিত হচ্ছি যে, গতকালই হোটেলের বাথরুমে বন্দি হয়ে পড়েছিল আমার স্ত্রী আর আজ আমি নিজেই গৃহস্থ বাড়ির এক বাথরুমে আটকা পড়েছি! বাথরুমের দরজায় নক করলাম। বাইরে থেকে শফিক চৌধুরীর কণ্ঠ শুনতে পেলাম, কী ব্যাপার ভাই-বাথরুমে আটকা পড়লেন নাকি? আমি বললাম, আসলেই তাই। দরজা তো খুলছে না। আমার কথা শুনে বাইরে থেকে চৌধুরীরাও দরজা খোলার চেষ্টা করল। ব্যর্থ হওয়ার পর তারা দরজার লক ভেঙে আমাকে বাথরুম থেকে উদ্ধার করল।
এই ধরনের ঘটনা কেন ঘটে আমি জানি না। তবে এটা সত্যি যে, এ ধরনের কাকতালীয় কিছু ঘটনা ঘটে যা মানুষকে ভাবায়।
বাইরে এসে আমি শফিক চৌধুরীকে জিজ্ঞেস করলাম, আগে কি এ রকম ঘটেছে? কেউ বাথরুমে আটকা পড়েছে?
শফিক চৌধুরী মাথা নেড়ে জানাল, না আগে কখনোই ঘটে নি।
আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, বাথরুমটি তো প্রতিদিনই ব্যবহৃত হতো, আপনাদের কথাবার্তা থেকে যা বুঝেছি?
হ্যাঁ, রোজই ব্যবহৃত হয়, শফিক চৌধুরী জানাল।
শফিক চৌধুরীর কথায় আশ্বস্ত হলেও একটি অস্বস্তি আমাদের সবাইকে কুরে কুরে খেতে লাগল। আমরা মনে মনে দুর্বল হয়ে পড়লাম। রাতে ভালো ঘুম হলো না। অবশ্য একটি পরিবারের সঙ্গে আছি বলে এক পর্যায়ে সেই অস্বস্তি কাটিয়েও উঠলাম।
ব্রিটিশরা কিন্তু ভূতে বিশ্বাস করে। তাই তো তারা হ্যালোইন উৎসব করে।
নস্টালজিক হয়ে অতীতে চলে গিয়েছিলাম। বর্তমানে ফিরে এলাম। দেখলাম ব্রিটানিয়া হোটেলের একটি কক্ষে আমার ছোট ছেলে বিজয়ের সঙ্গে আমি আছি। পাশের অন্য একটি কক্ষে আদিত্য উঠেছে।…এই হোটেলে অবশ্য আমি একাধিকবার থেকেছি। অবশ্য যখনই থেকেছি একা থাকি নি, কেউ না কেউ আমার সঙ্গে ছিল। যেমন গতবার আমার সঙ্গে ছিল আমাদের চ্যানেল আই ইউরোপের এমডি ফয়সালের ভাগ্নে। না, ভূতের ভয় নয়। এটা আমার বদঅভ্যাস। একা আমি ঘুমুতে পারি না। তাই তো বাংলাদেশেও ট্যুরের সময় রাতের বেলা আদিত্য আমার সঙ্গে থাকে। যা হোক, এবারের লন্ডন ট্যুরের সময় অবশ্য কোনো অস্বস্তিকর ঘটনা ঘটে নি।
Leave a Reply
Your identity will not be published.