আমার গানের স্বরলিপি লেখা রবে...

আমার গানের স্বরলিপি লেখা রবে...

আধুনিক বাংলা গানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল ২০ আগস্ট। এই উপলক্ষে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা স্বরূপ প্রেমের গান-বিষয়ক এই লেখাটি পত্রস্থ হলো। 

আধুনিক বাংলা গানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ৩৩ বছর আগেও এই পৃথিবীতে ছিলেন, এখন আর নেই, অথচ তিনি আছেন। আগামী পৃথিবীতে পান্থ পাখির কুজন কাকলী ঘিরে তার গানের  স্বরলিপি লেখা রবে। 

গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের জন্ম ১৯২৫ সালের ৫ ডিসেম্বর কলকাতায়। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বোটানিস্ট ডক্টর গিরীজাপ্রসন্ন মজুমদার তার বাবা।

কৈশোরে ইংরেজি ও বাংলা কবিতা রচনার মাধ্যমে গৌরীপ্রসন্নের লেখালেখি শুরু হয়। প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময় সহপাঠী বন্ধুদ্বয় কবি অরুণ মিত্র ও সুরকার নচিকেতা ঘোষের উৎসাহ প্রথম গান লিখেন তিনি। পরবর্তী সময়ে, ১৯৫১ সালে, গৌরীপ্রসন্নের লেখা দুটি গান শচীনদেব বর্মণের গলায় এইচএমভি-র রেকর্ডে স্থান পায়। তবে সত্যি বলতে কী, ‘বধূ গো, এই মধুমাস বুঝি বা বিফল হলো’ (শিল্পী : শচীন দেব বর্মণ), ‘ভালোবাসা যদি অপরাধ হয়’ (শিল্পী: সুধীর লাল চক্রবর্তী)— এই দুটি গানই গৌরীপ্রসন্নকে বিখ্যাত করে। 

গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার সারাটা জীবন ব্যয় করেছেন গান রচনায়। সংখ্যাতীত হিট গানের স্রষ্টা তিনি। বিচিত্র মানব জীবনের বিভিন্ন দিক তার গানে ঠাঁই পেয়েছে। এর মধ্যে প্রেমের গানের বাণী বৈচিত্র্য আজও আমাদের মুগ্ধ করে। এ প্রসঙ্গে গৌরীপ্রসন্নের লেখা, ‘জীবনে যদি দীপ জ্বালাতে নাহি পারো’, ‘প্রেম একবারই এসেছিল নীরবে’, ‘অলির কথা শুনে বকুল হাসে’, ‘যেতে দাও আমায় ডেকো না’, ‘বনে নয় মনে মোর পাখি আজ গান গায়’, ‘মেঘ কালো আঁধার কালো’, ‘তোমার আমার কারও মুখে কথা নেই’, ‘তীর ভাঙা ঢেউ আর নীড় ভাঙা ঢেউ’, ‘এই তো আমার প্রথম ফাগুন বেলা’, ‘এমনও দিন আসতে পারে/যখন তুমি দেখবে আমি নাই’, ‘মোর অশ্রু সাগর কিনারে রয়েছে বেদনার এই খেয়া’, ‘তুমি আর ডেকো না, পিছু ডেকো না’, ‘আর কত রহিব শুধু পথ চেয়ে’, ‘প্রেম সে তো শুধু রূপকথা হয়ে’, ‘সেদিন যখন প্রথম বৃষ্টি হলো/তুমি বাতায়নে ছিলে একা’ ইত্যাদি গানগুলো সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।

প্রেম! অনাদিকাল থেকে মানব মনের সবচেয়ে মধুর, সবচেয়ে কোমল, সবচেয়ে দুর্বার অনুভূতি। কৈশোর-যৌবনের সন্ধিক্ষণ থেকে এই অনুভূতির মৃদু উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। প্রতিটি মানব-মানবী তখন আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে প্রাণের মানুষের প্রতিকৃতি হৃদয়ে অঙ্কিত করে। এই চেনা পৃথিবী তার কাছে বদলে যায়, বাতাসে প্রাণের মানুষের মধুর ছোঁয়া পায়, খুশিতে সে আত্মহারা হয়ে পড়ে। মনের আপন ভুবন থেকে যে রঙ সে কুড়িয়ে পায়, সুর হয়ে তখন তা বাজে তার কানে। প্রেমের এমন অনভূতির চিত্র অঙ্কিত হয়েছে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার রচিত এই গানে: ‘আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা থাকে/সাত সাগর আর তেরো নদীর পারে/ময়ূরপঙ্খী ভিড়িয়ে দিয়ে সেথা/ দেখে এলাম তারে’ (শিল্পী : শ্যামল মিত্র, সুর: রবীন চট্টোপাধ্যায়, ছবি : সাগরিকা)। কিন্তু সেই স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা বাস্তবের কঠিন মাটিতে স্পষ্টরূপে ধরা দেয় না, যদিও তার ছোঁয়া সুরে যেন নিজেকে খুঁজে পাওয়া যায। সুর আর সুরভিতে আনমনা বাঁশি যেন তারই সাড়া পায়। ‘বনে নয় মনে মোর পাখি আজ গান গায়/এই ঝিরঝিরি হাওয়া/দোলা দিয়ে যায়/ গুনগুন গুনগুন ভ্রমরের ফাগুন ডাকে মোরে আয়’ (শিল্পী: মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, সুর : নচিকেতা ঘোষ) এবং ‘কেন দূরে থাকো, শুধু আড়াল রাখো/কে তুমি কে তুমি আমায় ডাকো’ (সুর ও শিল্পী: হেমন্ত মুখোপাধ্যায়/ছবি: শেষ পর্যন্ত) গৌরীপ্রসন্ন রচিত এই দুটি গানে অস্পষ্ট প্রেমের ছোঁয়ায় মগ্ন এক মানবচিত্তের হৃদয়ানুভূতির সুন্দর প্রকাশ ঘটেছে।

তারপর যখন এই বাস্তবের কঠিন মাটিতে প্রাণের মানুষের দেখা মেলে, তখন সেই স্বল্পকালীন প্রথম দেখাকে দীর্ঘায়িত করতে সাধ জাগে—‘এক পলকের একটু দেখা আরও একটু বেশি হলে ক্ষতি কি/ যদি কাটেই সময় পাশে বসে, মনের দুটো কথা হলে ক্ষতি কি’ (শিল্পী: কিশোর কুমার, সুর: অমল মুখোপাধ্যায়, ছবি: লুকোচুরি)। প্রাণের মানুষের দেখা পেয়ে এ সময় মনে হয়, অকূল অন্ধকারে দিশা খুঁজে পাওয়া গেছে। তখন প্রার্থনা এই যে, জীবন মরণ মাঝে সে যেন আসে বঁধুর সাজে, তার অহংকারে ভরে ওঠে হৃদয়। হৃদয়ানুভূতির চমৎকার প্রকাশ ঘটেছে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার রচিত এই গানে: ‘তুমি যে আমার/ওগো তুমি যে আমার/কানে কানে শুধু একবার বলো তুমি যে আমার’ (শিল্পী: গীতা দত্ত, সুর: হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, ছবি: হারানো সুর)। যুগল জীবনের সেই মধুরক্ষণে পৃথিবীটাকে স্বপ্নের দেশ বলে ভ্রম হয়, রাখালের ঘর ছাড়া বাঁশিতে সবুজের দোল দোল হাসিতে মনটা মিশে যেতে চায়—‘এই পথ যদি না শেষ হয়/ তবে কেমন হতো তুমি বলো তো/যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয়/ তবে কেমন হতো তুমি বলো তো’ (শিল্পী: হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, সুর: হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, ছবি: সপ্তপদী)। প্রেমমুগ্ধ এই যুগল জীবনের পথ চলাকে অন্তহীন, পরস্পরের নিবিড় সান্নিধ্যকে দীর্ঘায়িত করতে মন চায়—‘কিছুক্ষণ আরও না হয় রহিতে কাছে/আর কিছু কথা না হয় বলিতে মোরে/ এই মধুক্ষণ মধুমাস হয়ে না হয় উঠিত ভরে’ (শিল্পী : সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, সুর : রবীন চট্টোপাধ্যায়, ছবি: পথে হলো দেরী)। তারপর যখন দুটি হৃদয় চিরকালের বন্ধনে আবদ্ধ হয়, তখন সেই মিলনের মধুরাত আর মধুক্ষণ দুটি প্রাণের কুহু কুজনে ভরে ওঠে—‘এই রাত তোমার আমার/এ চাঁদ তোমার আমার/, শুধু দুজনে’ (সুর ও শিল্পী: হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, ছবি: দীপ জ্বেলে যাই)। কেননা এ বড়ো মধুর সময়—‘এ শুধু গানের দিন/এ লগন গান শোনাবার/ এ তিথি শুধু গো যেন দখিন হাওয়ার’ (শিল্পী: সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, সু: রবীন চট্টোপাধ্যায়, ছবি : পথে হলো দেরী)। এ সময় দুটি ভিন্ন দেহের মধ্যে গড়ে উঠে অভিন্ন একটি হৃদয়। দুজনে একই সুরে মিশে যেতে চায়, প্রাণে প্রাণে সুর খুঁজে পায়। তাই তো যুগল মিলনের উৎসবে বাস্তব জীবনের ছোটখাটো সমস্যা তুচ্ছ মনে হয়—‘নীড় ছোট ক্ষতি নেই আকাশ অনেক বড়’ (শিল্পী : হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, সুর: নচিকেতা ঘোষ, ছবি: ইন্দ্রাণী)।

প্রেমের যে প্রকাশ বিরহে—সেই বিচ্ছেদ আর বেদনার গান রচনায়ও গৌরীপ্রসন্নের দক্ষতা অনস্বীকার্য। এ প্রসঙ্গে ‘জীবনে যদি দীপ জ্বালাতে নাহি পারো’, ‘মোর অশ্রু সাগরের কিনারে রয়েছে বেদনার এই খেয়া’, ‘এই বালুকা বেলায় আমি লিখেছিনু’, ‘মুছে যাওয়া দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে’, ‘আজ দুজনার দুটি পথ ওগো/দুটি দিকে গেছে বেঁকে’, ‘তুমি আর ডেকো না, পিছু ডেকো না’, ‘আশা ছিল/ভালোবাসা ছিল’ ইত্যাদি গানগুলির কথা সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।

গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার প্রসঙ্গে বলা যায়, গোড়ার দিকে তার গানে রবীন্দ্রনাথ ও তৎকালীন আধুনিক কবিদের প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষ করা গেলেও পরবর্তীকালে অর্থাৎ ষাটের দশক থেকে তিনি পরিপূর্ণভাবে সেই প্রভাব কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছিলেন।

গৌরীপ্রসন্নের গানে রবীন্দ্রনাথের প্রভাব প্রসঙ্গে একটি উদাহরণ এখানে দেওয়া যেতে পারে। যেমন, গৌরীপ্রসন্নের লেখা—‘তুমি আর ডেকো না, পিছু ডেকো না/আমি চলে যাই শুধু বলে যাই/তোমার হৃদয়ে মোর স্মৃতি রেখো না’ (সুর ও শিল্পী : মান্না দে), এর সঙ্গে তুলনীয় রবীন্দ্রনাথের—‘ডেকো না আমারে, ডেকো না, ডেকো না/চলে যে এসেছে মনে তারে রেখো না’ (গীতবিতান, প্রেম, ২০৪)। যা হোক, এ প্রসঙ্গে গৌরীপ্রসন্নের বক্তব্য হলো : “আমি বেসিকালি ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র। তাই আমার গানের মধ্যে শেলী, কীটস, বায়রনের প্রভাব ভীষণ বেশি। তারপর আমার নিজস্ব একটা স্টাইল তো করেই নিয়েছি”, (প্রসাদ, সম্পাদক: প্রণব কুমার বসু, দীপাবলী সংখ্যা, নভেম্বর ১৯৮৬, কলকাতা, পৃ. ৪৪)। 

আধুনিক বাংলা গানের জগতে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের অবদান অপরিসীম। এ ক্ষেত্রে তিনি নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গেছেন। উল্লেখ্য, আধুনিক কবিতার মতো বাংলা গানও যে অনেক বিবর্তনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে, ফর্ম পাল্টিয়েছে—সেটি গৌরীপ্রসন্নের লেখা কিছু গান শুনলে বোঝা যায়। উদাহরণস্বরূপ প্রেম পর্যায়ের দুটি গান এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে: ‘হিমালয়, আল্পস-এর সমস্ত জমাট বরফ যদি একদিন গলেও যায়, তবুও তুমি আমার’ এবং ‘একটা দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালাও আগুন পাবে/শীতের কাছে থেকে দূরে পালাও, ফাগুন পাবে/কিন্তু আমাকে তুমি পাবে না/কারণ আমায় তুমি অবহেলা করেছো/আমায় নিয়ে খেলা করেছো’—এই দুটি গানে আঙ্গিকগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও নতুন ইমেজ আনার প্রচেষ্টা লক্ষণীয়। গান নিয়ে এ সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পেছনে গৌরীপ্রসন্নের উদ্দেশ্য ছিল, গীতিকার হিসেবে নতুন কিছু করা। এ প্রসঙ্গে তার বক্তব্য হলো : “যখন আমি পৃথিবীতে থাকব না, তখন পরবর্তী জেনারেশন নিশ্চয়ই পুরোনো গান শুনে প্রশ্ন করবে, এই মানুষটা যাকে ইন্ডাস্ট্রি চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর এ্যাকোমডেট করেছে, তার কন্ট্রিবিউশান আছে ? সেই চিন্তা করেই ব্যতিক্রম হিসেবে কিছু কিছু গান আমি লিখেছি ও মান্না বাবু ও আশা ভোঁসলে সেই গান গেয়েছেন। হয়তো এখন এই সমস্ত গান সমাজে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে; কিন্তু আমার বিশ্বাস এই সমস্ত গান ভবিষ্যতের মানুষ গ্রহণ করবেন” (প্রসাদ, দীপাবলী সংখ্যা, নভেম্বর ১৯৮৬, পৃ. ৩৪)। শুধু বেসিক আধুনিকই নয়, চলচ্চিত্রের গানেও গৌরীপ্রসন্নের অবদান অপরিসীম। উদাহরণস্বরূপ ‘কী আশায় বাঁধি খেলাঘর বেদনার বালুচরে’ (অমানুষ), ‘এই মেঘলা দিনে একলা ঘরে থাকে না তো মন’ (শেষ পর্যন্ত), ‘যে বাঁশি ভেঙে গেছে তারে কেন গাইতে বলো’ (স্বরলিপি), ‘বসে আছি পথ চেয়ে/ফাগুনের গান গেয়ে’ (শাপমোচন) প্রভৃতি গানগুলির কথা এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে। সংশ্লিষ্ট ছবির সুনির্দিষ্ট সিচুয়েশন অনুযায়ী এ সমস্ত গান রচিত হলেও কী সুরে কী বাণীতে, কী নিবেদনে, কী সার্বিক আবেদনে এগুলি যথার্থ প্রথম শ্রেণির আধুনিক সংগীত এবং বলাই বাহুল্য, এই গানগুলির আবেদন শুধু সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্রের সেই বিশেষ সিচুয়েশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। 

গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার সারাটা জীবন গান রচনায় কাটিয়ে দিয়েছেন। আধুনিক বাংলা গানে নতুন মাত্রা সংযোজনের ক্ষেত্রে তার অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তিনি কোনো সম্মান পান নি, কোনো সংবর্ধনাও জোটে নি তার ভাগ্যে। ‘প্রতিকার’ ছবির নায়কের ব্যথা-বেদনার ছবিকে পরিস্ফুট করার জন্যে তিনি যে লিখেছিলেন : ‘জীবনটা তার রাজপথ নয়, অন্ধ সে এক গলি’, এটি গৌরীপ্রসন্নের নিজের জীবনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। রাজপথের ঠিকানা তার ভাগ্যে কোনোদিন জোটে নি। শেষ জীবনটা কেটেছে দুরারোগ্য ক্যানসার রোগের নিদারুণ যন্ত্রণা সহ্য করে।

অবশেষে ১৯৮৬ সালের ২০ আগস্টের সকাল বেলায় সমস্ত জ্বালা-যন্ত্রণার অবসান ঘটে, মুম্বাইয়ের এক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।
হ্যাঁ, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের নশ্বর দেহ আজ পঞ্চভূতে বিলীন, কিন্তু তার লেখা অসংখ্য গানের চিরকালীন আবেদনে সমৃদ্ধ পঙ্ক্তিমালার মাঝে তিনি বেঁচে থাকবেন। 

Leave a Reply

Your identity will not be published.