সরকার আমিন-শাহনাজ মুন্নী। দুজনেই কবি-সাহিত্যিক, মিডিয়া জগতের বাসিন্দা। দুই যুগ ধরে আছেন এই জগতে। কবির হৃদয়, সাংবাদিকের চোখ, আর কথাসাহিত্যিকের তীক্ষ্ণ-তীর্যক দৃষ্টি দিয়ে দেখছেন চারপাশ। একজন অর্জন করেছেন পিএইচডি ডিগ্রি; বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক। মূলত কবি। অন্যজনও সফল কবি, গল্পকার ও সাংবাদিক। অসংখ্য গ্রন্থের প্রণেতা এই পতি ও জায়া। রূপকথা বা গল্প কাহিনির যেখানে সফল পরিণতি- সংসার বাস্তবতায় তাদের সুন্দরের সেখানেই শুরু। দুজনের ভালোবাসার টান ও শ্রদ্ধাবোধের মিশেলে দাম্পত্যজীবনের বন্ধুর রাস্তাটাকে তারা মসৃণ করে নিয়েছেন অতি সহজে। তারা সরকার আমিন ও শাহনাজ মুন্নী। এই দম্পতির ঘর-সংসার, দাম্পত্যজীবনের নানা রঙের দিনগুলোর গল্প শুনতে অন্যদিন হাজির হয়েছিল বাংলামোটর ঢালে, পুকুরপাড়ে তাদের নতুন ফ্ল্যাটে।
প্রেমের সঙ্গে দেহের যুক্ততা আছে
প্রেম-ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে আছে পৃথিবী। পৃথিবীর মানুষ। চন্দ্র-সূর্য, মোহময় জোছনার সুন্দর রাত সেও প্রেমের বহিঃপ্রকাশ। জোয়ার-ভাটার আরেক নাম প্রেম। এই প্রেম ও ভালোবাসার ফারাক নিয়ে প্রশ্ন করলে কবি সরকার আমিন ও শাহনাজ মুন্নী বলেন, হ্যাঁ প্রেম ও ভালোবাসার মধ্যে বড় ধরনের ফাঁরাক আছে। প্রেমের সঙ্গে দেহের যুক্ততা আছে, যা ভালোবাসায় নেই। দেশপ্রেমের জন্য আমি প্রাণ দিতে পারি। আমার দেহটাকে বিলীন করতে পারি। প্রেমের সঙ্গে যৌনতার সম্পর্ক আছে। প্রেমে একটা অধিকারবোধ যুক্ত আছে। ভালোবাসার সঙ্গে সবার সম্পৃক্ততা আছে। ভালোবাসা নির্বিচারে সম্ভব। প্রেম নির্দিষ্ট।
কবিতার মতো পেতে চেয়েছিলাম তাকে
সুন্দর কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা মানুষকে সামনে সমুদ্রের দিকে নিয়ে যায়। বর্ষার বৃষ্টিতে ভেজাও যায় না জীবনে যদি কোনো চাওয়া-পাওয়া না থাকে। কেমন পেতে চেয়েছিলেন জীবনের মাধবীলতাকে জানতে চাইলে কবি সরকার আমিন বলেন, জীবনসঙ্গীকে আমি পেতে চেয়েছিলাম আমার কবিতার মতো করে, যেহেতু কবিতা দীর্ঘশ্বাসের মতো আরামদায়ক। শাহনাজ মুন্নী তার এলো চুল ঠিক করতে করতে বললেন, আমিন যে রকম আমি সেরকমই পেতে চেয়েছিলাম আমার জীবনসঙ্গীকে।
হঠাৎ লাইব্রেরির সিঁড়িতে দেখা হয় আমাদের দুজনার
মানুষের সঙ্গে মানুষের দেখা না হলে আজ শূন্য হয়ে যেত পথিবী। পৃথিবীর বাইরের অবস্থাও তেমন। চন্দ্র-সূর্য-তারায় ভরা এই মহাপৃথিবী। একা নেই কোথাও কোনো কিছু। ঘুরতে ঘুরতে পথেই দেখা হয়ে যায় পথের। কবে কোথায়, কোন বর্ষণমুখর দিবসে দেখা হয়েছিল দুজনার জানতে চাইলে শাহনাজ মুন্নী তার মিষ্টি হাসি দিয়ে বলেন, ঢাবিতে একই ব্যাচে পড়তাম আমরা দুজন। বিষয় ছিল ভিন্ন। আমিন বাংলায় আমি সমাজ বিজ্ঞানে। ঊননব্বইয়ের কোনো এক পড়ন্ত বেলায়, শেষ বিকেলে হঠাৎ লাইব্রেরির সিঁড়িতে দেখা হয় আমাদের দুজনার। তখন খুব আলাদা কিছু মনে হয় নি ওকে। কুশল বিনিময় ছাড়া আর কোনো কথা হয় নি সেদিন আমাদের।
সরকার আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে আমার হাতে তুলে দেন তার আত্মজীবনী ‘জীবনের মাছগুলো’। বলেন, এখান থেকে পড়ে নেবেন। আর আমি যা পড়লাম তা অনেকটা এ রকম— আমিন তার আত্মজীবনীতে মুন্নীর সাথে প্রথম দেখার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন এভাবে ‘তোমাকে দেখে আমার ভেতরে ভুমিকম্পের সংক্রমণ! এই অনাত্মীয় শহরে, এই অতিবেশি স্মার্ট নগরেই, কেউ কাহারে চিনে না মর্মে মর্মে; ক্যাম্পাসজুড়ে, কে তুমি সহজিয়া হরিণী? আমার ভেতর পটপট খলতে লাগল শত গোলাপ। সাইনোসাইটিস, থাইরয়েড আর অচিকিৎসাপ্রায় বিষণ্নতায় আমি ভেতরে ভেতরে প্রতিদিন একটু একটু করে মারা যাচ্ছি। কবিতা লিখে লিখে যেন আত্মহত্যা ঠেকিয়ে রাখছি। এমনই বিষণ্ণ একদিনেতোমার আগমন।’
আমাদের বিয়েটা পরিয়েছিলেন সফি সাধক রশিদ আহমদ জৌনপুরী
‘নিদ আয়ে তো খোয়াব আয়ে, খোয়াব আয়ে তো তুম আয়ে। তুম আয়ে তো না নিদ আয়ে, নো খোয়াব আয়ে’— হ্যাঁ কবির কথাই সত্য, তুমি এলে না আসে ঘুম, না আসে স্বপ্ন, তখন শুধুই তুমি। এই ‘তুমি’র পরে একদিন মহা ধুমধামে বিয়ে হয়। বউ নিয়ে ফিরে আসে বরযাত্রী। বিয়ে, বরযাত্রী ও বাসরঘরের কথা জানতে চাইলে কবি সরকার আমিন বলেন, ১৯৯৩ সালে আমাদের অনার্সের পরে বিয়ে হয়। মাস্টার্স কমপ্লিট করে আমরা সংসার পাতি। আমাদের বিয়েটা পড়িয়ে ছিলেন একজন সুফি সাধক, হযরত রশিদ আহমদ জৌনপুরী। সন্ধ্যার আগেই সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ এবং একইসঙ্গে সিদ্ধান্ত হলো কনে থেকে যাচ্ছে।
বরের চাকরি-বাকরি হবে, বাসা হবে, তারপর কন্যা তুলে দেওয়া হবে। হারুন স্যারের সঙ্গেই গাড়িতে করে ফিরছি। স্যার জিজ্ঞেস করলেন, এই তোকে কোথায় নামাব রে? আলিয়স ফ্রঁসেজে নামিয়ে দেন, কেন ওখানে কেন? আমার বন্ধুরা ওখানে অপেক্ষা করছে। গাড়ির অভাবে সবাইকে অনুষ্ঠানে নিতে পারি নি। গাড়ি গিয়ে থামল ধানমণ্ডির আলিয়স ফ্রঁসেজে। ওখানে অধীর আগ্রহে বিবাহিত সরকার আমিনের জন্য অপেক্ষা করছে সাদ কামালী, মুজিব ইরম, কবির হুমায়ূন আর শাহেদ কায়েস। আমাকে পেয়ে সমবেত উল্লাস। আলিয়স ফ্রঁসেজের ক্যান্টিনে কোমল পানিয়ের অর্ডার দেওয়া হলো, আড্ডায় আমি আমার লেখা কবিতার একটা অংশ আবৃত্তি করলাম, ‘বিবাহিত নই আমি বিবাহিত প্রায়, পরক্ষণে চেয়ে দেখি ঘোড়া হেঁটে যায়।’ শাহনাজ মুন্নীর কাছে বিয়ের কথা জানতে চাইলে তিনি মৃদু হেসে বলেন, এরপরে আমি আর কিছু বলতে চাই না।
বিয়ের পর নতুন ঘর
সংসার নিয়ে প্রশ্ন করলে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই আমাকে আবার ইশারা করেন আমিনের ‘জীবনের মাছগুলো’র দিকে—‘আমি দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম মানুষের জীবনসম রহস্যময় ছোটবড় অসংখ্য মাছের দিকে সাঁতার কেটে কেটে মাছগুলোর চলে যাওয়ার দিকে মাছগুলো চলে গেল আজিমপুর গোরস্থানের পাশে ইরাকি কবরস্থানের দিকে যেখানকার ছোট্ট ঘরে ঢুকেই আমিন বলল, ‘এই তো আমার নীল সুমদ্র।’ বাড়ির মালিক স্নিগ্ধ দাড়িওয়ালা মাইডিয়ার মানুষ। নবদম্পতির জন্যই তিনি যেন অপেক্ষা করছেন। ‘চাচা কবুল। এই ঘর আমরা নিলাম।’ ওই নীল সমুদ্রে আমরা দরজা-জানালা বন্ধু করে সাঁতার কাটি। আমার একটা ভাঙাচোরা টেপরেকর্ডারে কেবলই গান করেন কলিম শরাফী, দেবব্রত, হেমন্ত। ‘নীড় ছোট ক্ষতি নেই। আকাশ তো বড়।’ আমাদের সংগৃহীত। বাংলা একাডেমিতে চাকরি করি। বাজার করি আজিমপুর গোরস্থান মার্কেটে। বাসায় আসতে-যেতে লাশ গুণি। কবরের পাশের কোয়ার্টারে আমাদের যৌথ জীবন শুরু হলো।’
আমার পরিবার আমার বেহেশত
সততা ও কর্মময় সন্দর হাত মানুষকে সৌভাগ্য আর সমদ্ধির সোপানে নিয়ে যায়। মানুষ ফিরে পায় আলোর ঐশ্বর্যময় টাওয়ার এবং কর্মময় সেই মানুষটি সামনের শীতে হয়ে ওঠে রৌদ্র। ঝর্ণা হয় তার পৃথিবীর অর্ধেক। পাওয়া, না-পাওয়ার কোনো বেদনাবোধ তার থাকে না। তিনি কবিতার মতো চিৎকার দিয়ে নতন পৃথিবীকে জানান দেন, ‘আমার পৃরিবার আমার বেহেশত।’ পরিবার ও পাওয়া না-পাওয়ার বেদনার কথা জানতে চাইলে কবি সরকার আমিন বলেন, এখন মনে হচ্ছে একটু বেশিই পেয়েছি। কেননা, পরিবারকে আমি বেশ গুরুত্ব দিই। যৌথ-যুক্তকে নিয়ে আমাদের ছোট্ট পরিবারটাকে আমি বেহেশত থেকে একট বেশিই প্রশান্তিময় মনে করি। একদিন হয়তো পৃথিবীতে আমরা কেউই থাকব না। কিন্তু মৃত্যু যাতে অশ্রু-অধ্যুষিত পৃথিবীতে মানবিক বন্ধনের অম্লমধুর এই মর্মসূত্রটির কোনো ক্ষতি করতে না পারে। পরিবারে পাওয়া না-পাওয়ার বেদনার কথা জানতে চাইলে মুন্নী রবি ঠাকুরের গান দিয়ে তার জবাব দেন,‘কী পাই নি তার হিসাব মিলাতে মন মোর নহে রাজি।’যৌথ মনীষা ও যুক্ত মননকে নিয়ে আমার এ ছোট্ট পৃথিবীতে আমি বেশ শান্তিতে আছি।
আমাদের অত দীর্ঘ সময় কোনো বিরহ হয় নি
সেপারেশন, যাতনা, কষ্ট, বিরহ আরও কত কত শব্দ দিয়ে বোঝানো যায় জোয়ার-ভাটার মাঝখানের ওই সময়টুকুকে। অমাবস্যার রাত থেকে পূর্ণিমার ওই সময়টুকুকে। হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জনকে কাছে না পাওয়ার ওই সময়টুকুকে। যেভাবেই হোক না কেন মনের মানুষকে কাছে না পাওয়ার বিরহের কথা, বেদনার কথা জানতে চাইলে দুজনেই প্রায় সমস্বরে উচ্চারণ করেন, না আমাদের অত দীর্ঘ সময় বিরহ হয় নি। আমরা কাছে কাছেই থেকেছি। বললেন সরকার আমিন, মুন্নীকে একটা সময় মাঝে মাঝে দেশের বাইরে যেতে হতো। তখন আমি কিছুটা বিরহবোধ করতাম। কষ্ট আমার ভেতর ভর করত। তবে সেটা একটা সময় গা সওয়া হয়ে গিয়েছিল। একট থেমে দুজনে একসঙ্গে আবার বললেন, আমাদের অত দীর্ঘ সময় কোনো বিরহ বেদনা হয় নি।
আমরা বিপরীতের ঐক্যে বিশ্বাসী
বৈশাখ মাস আসলে তখন শুধুই বৈশাখ। তখন আর জ্যৈষ্ঠ থাকে না। বর্ষাকালে যখন সবকিছু সবুজে পরিণত হয় তখন শুধুই সবুজ। পদ্মা সবসময় তার ঐশ্বর্যমণ্ডিত ইলিশ দেয় না। ইলিশের আকাল ও খরাও দেখায় সে তার পছন্দমতো। প্রকৃতির এই মিল-অমিল, হাসি-কান্না, জীবন সমুদ্রের রৌদ্রজল, সংসারের মিল-অমিল সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রথমে শাহনাজ মুন্নী বলেন, আমাদের মিলও আছে। অমিলও আছে। প্রকতির মতো মিল-অমিল নিয়ে আমরা এক জায়গায় আছি। সরকার আমিন কার্ল মার্ক্সের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘আমরা বিপরীতের ঐক্যে বিশ্বাসী।’ মোটকথা আমাদের তেমন কোনো সমস্যা হয় না। আমরা সমর্থন করি। যত্ন-আত্তিতে চারা গাছটিও একদিন বড় হয়। বিশাল মহীরুহে পরিণত হয়। ছোট্ট শিশুটির অবস্থাও তেমনি। তারও যত্ন চাই। আদর চাই। বেড়ে ওঠার পরিবেশ চাই। স্বামী যত্ন করে স্ত্রীর। স্ত্রী স্বামীর। একজনের বড় হওয়ার পেছনে আরেকজনের থাকে বিশাল অবদান। বাবা-মায়ের অবদানের কথা লিখে লিখে বিশাল ভলিউম রচনা করেছেন পণ্ডিত ও মনীষী ব্যক্তিরা। আজ আমরা স্বামীর কাছে জানতে চেয়েছিলাম স্ত্রীর অবদান ও অনুপ্রেরণার কথা। স্ত্রীর কাছে স্বামীর। প্রথমেই শাহনাজ মুন্নী উত্তর দিলেন, আমার লেখালেখি, সাংবাদিকতা, গত ২৫ বছরে এ পর্যন্ত আসার পেছনে আমিনের অবদান ও অনুপ্রেরণার কথা আমি ভুলব না। এ প্রসঙ্গে আমিন বললেন, আমার কাছে সে আছে এটাই সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। আমার সমস্ত সুখে-দুঃখে, ঐশ্বর্য সব জায়গাতেই মুন্নী আছে এই যথেষ্ট। আমি সবসময় আমার শ্বশুরবাড়িকে প্রাধান্য দিই। মুন্নী দেয় তার শ্বশুরবাড়িকে। এই আদান-প্রদান, অবদান ও অনুপ্রেরণাই আমাদের আরও সামনে নিয়ে যাবে।
কাজ করতে করতে মরে যেতে চাই
কাজের কথা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে কবি সরকার আমিন তার দৃষ্টিটা জানালার বাইরে নিয়ে খোলা আকাশের দিকে চেয়ে চেয়ে খুবই সংক্ষিপ্ত করে বললেন, কাজ করতে করতে মরে যেতে চাই। মুন্নীর অবস্থাও তথৈবচ। তিনি বললেন, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কর্মক্ষম থাকতে চাই। সুন্দর থাকতে চাই। আমার কোথাও যাওয়ার অবস্থা নাই। শেষপর্যন্ত মানুষ মরে যাবে, এরপর আর কোনো কথা নেই। মৃত্যুই মহান। সে আসবে ঘোড়ায় অথবা হাওয়ায় ভেসে ভেসে। পৃথিবী নামক এ রঙ্গমঞ্চ থেকে আমাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্যই সে আসবে। মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রথমে শাহনাজ মুন্নী বলেন, মৃত্যু এলে তাকে গ্রহণ করতে হবে। মৃত্যুর ওপরে কারও হাত নেই। মরতেই হবে। সরকার আমিন কবি মানুষ। কাব্যই তার আরাধনা। তিনি তার কবিতার রঙে বললেন, এ মুহুর্তে আমি মৃত্যু নিয়ে কিছু ভাবছি না। বরং আমি জীবন নিয়ে আরও ভাবতে চাই। আমার কবিতা—
ঈশ্বরের সঙ্গে মানুষের দূরত্ব
কমাতে হবে না?
স্বর্গ থেকে খাল কেটে জল এনে
ইরি ধান ফলাতে হবে না?
দেবতাদের সাথে দেবীদের
পারিবারিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত
দূর করার কাজও তো সহজ
নয়। সাম্রাজ্যবাদের বেলুনটাকে ফুটো
করে দেবে কে কে
প্রার্থনালয়কে পাকসাফ করার
জরুরি কাজও তো বাকি
হায়, এইসব জরুরি কাজ ফেলে
আমার কোথাও যাবার অবস্থা নাই।
Leave a Reply
Your identity will not be published.