‘হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের সম্পদ’

‘হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের সম্পদ’

কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ, যাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে, ‘নন্দিত নরকে’ উপন্যাসের মাধ্যমে। পরের চার দশক আপন সৃষ্টিশীলতায় আচ্ছন্ন রেখেছেন কোটি বাঙালিকে। পরিস্থিতি নির্মাণ, বর্ণনাভঙ্গি, সংলাপে তিনি এমন শৈলীর উদ্ভাবন করেছেন, যা বাংলা সাহিত্যে অদ্বিতীয়।

প্রয়াত এই লেখকের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী ছিল ১৩ নভেম্বর। এ উপলক্ষে লেখকের নিজের গড়া নন্দন কানন নুহাশপল্লীসহ দেশব্যাপী নানা জায়গায় দিনটি উদ্যাপিত হয় যথাযথ মর্যাদায়। 

নুহাশপল্লীতে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে হুমায়ূন আহমেদের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী। মোমবাতি প্রজ্বলন, কবর জিয়ারত, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে লেখককে স্মরণ করেছেন তাঁর পরিবার, স্বজন, নুহাশপল্লীর কর্মী এবং বক্তারা।

১৩ নভেম্বর, দেখা গেছে, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে নুহাশপল্লীতে ভিড় জমিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদের অনুরাগীরা। এখানে জন্মদিনে তাঁকে স্মরণ করে তাঁর স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেন, ‘যারা হুমায়ূন আহমেদকে ভালোবাসেন তারা তাঁকে আজীবন ভালোবেসে গেছেন, যাবেন। তারাই তাদের পরবর্তী প্রজন্মের হাতে হুমায়ূন আহমেদের লেখা, সৃষ্টিকর্ম তুলে দেবেন। এটাই আমার আজীবনের প্রাপ্তি। শুধু আমার না, হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের প্রাপ্তি।’

মেহের আফরোজ শাওন আরও বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে অনেকে কাজ করতে চান। তাদের বলব, যা ইচ্ছা তাই করবেন না, এটা অনুরোধ। বিষয়টি গত দশ বছর ধরে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি খারাপ লেগেছে। হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চর্চা হচ্ছে, পিএইচডি হচ্ছে। সেই চর্চা বাড়ুক, সবাই হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে জানুক। ভুল কোনো চর্চা না হোক। কারণ হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের সম্পদ।’  

Leave a Reply

Your identity will not be published.