‘গান্ধী’ ছবিতে পোশাক ডিজাইনের সূত্রে প্রথম অস্কার পেয়েছিলেন ভারতের ভানু আথাইয়া। পরে অস্কার পেয়েছেন এ আর রহমান। ৬ জানুয়ারি তাঁর ৫৪তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে সুরের এই জাদুকরের নানা দিক নিয়ে এই বিশেষ রচনা।
দক্ষিণ ভারতের একটি গ্রাম। অবারিত প্রকৃতির মাঝে চলচ্চিত্রের শুটিং হচ্ছে। অদূরে ছয়-সাত বছরের এক বালক সরষেখেতের সৌন্দর্য মুগ্ধ চোখে দেখছে। হঠাৎ মাথা নুয়ে সে সরষে ফুল স্পর্শ করল। তার মাথার ওপর দিয়ে একটি পাখি উড়ে গেল। গাছে বসল। বালকটি পাখিটির দিকে চেয়ে আছে।
ফিল্ম ইউনিটের সদস্য, মধ্যবয়সী এক লোক, বালকটির দিকে এগিয়ে গেল।
লোকটিকে দেখে বালকটি বলল, বাবা, ওই সুন্দর পাখিটির নাম কী?
মাছরাঙা, লোকটি বলল।
মাছরাঙা তো গাইতে পারে না। তবে সুন্দর হয়েও লাভ কী?... আচ্ছা, ওটা কী পাখি?
তোমাকে কতবার বলেছি ওই পাখির কথা। কোকিল।
কিন্তু পাখিটা গাইতে গাইতে স্বরটা যখন সপ্তমে ওঠে, তখনই কেবল সুরটা কেমন চিরে যায়।
মধ্যবয়সী লোকটি অবাক চোখে বালকটির দিকে তাকাল। তারপর ভীষণ আবেগে তাকে বুকে চেপে ধরল।
এই বালকটি আর কেউ নয়, সুরের জাদুকর এ আর রহমান। যিনি দু’ দুটি অস্কার জিতেছেন। আর মধ্যবয়সী লোকটি, বলাই বাহুল্য, তারই বাবা আর কে শেখর।
এ আর রহমানের বাবা ছিলেন মালয়ালম চলচ্চিত্রের সহকারী সংগীত পরিচালক। পাশাপাশি মিউজিক অ্যারেঞ্জার। বাবার কাছেই রহমানের সংগীতে হাতেখড়ি, সাত সুরকে চেনা। ১৯৭৬ সালে, নয় বছর বয়সে, বাবাকে হারিয়ে জীবনসংগ্রামে নামতে হয়। উত্তরাধিকার সূত্রে বাবার কাছ থেকে পাওয়া বাদ্যযন্ত্রগুলো ভাড়া দিচ্ছিলেন, তেমনি নানা জায়গায় নিজেও বাজাচ্ছিলেন। ফলে অল্প বয়সেই গিটার এবং কী-বোর্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ কৌশলও শিখে গিয়েছিলেন। পদ্ম শেষাদ্রি বাল ভবন নামে প্রাইমারি স্কুলে পড়াশোনা শেষে ভর্তি হয়েছিলেন মাদ্রাজ ক্রিশ্চান কলেজ স্কুলে। কিন্তু বেশিদিন কলেজে থাকতে পারেন নি। বলা যায়, প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার সেখানেই ইতি। আর হ্যাঁ, মিউজিক কলেজে গিয়েও কিছুদিন সংগীতের পাঠ নিয়েছিলেন। কিছুদিন বিখ্যাত কম্পোজার বিশ্বনাথের সঙ্গেও কাজ করেছিলেন। এভাবেই এ আর রহমানের সংগীতবোধ পরিণত হয়।
একটি বিশ্বাসের জন্ম
এ আর রহমানের জন্ম দক্ষিণ ভারতের চেন্নাইতে, ১৯৬৭ সালের ৬ জানুয়ারি, একটি হিন্দু পরিবারে, যার চারপাশে ছিল সংগীতের আবহাওয়া। তখন তার নাম ছিল এ এস দিলীপ কুমার। তার বাবা আর কে শেখরের কথা তো আগেই বলা হয়েছে। মা কস্তুরী দেবী, যিনি পুরোপুরি গৃহিণী।
বাবা মারা যাওয়ার পর মা-ই এ আর রহমানের সবকিছু। মায়ের পছন্দের পাত্রী সায়রা বানুকেই তিনি বিয়ে করেন, ১২ মার্চ ১৯৯৫ সালে। সুখী দাম্পত্যজীবনে তাদের ঘর আলো করে আছে তিন সন্তান—কাথিজা, রহিমা ও আমিন। এ আর রহমানের আরও রয়েছে তিন বোন। এই তিন বোনের একজন ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছিল সে। ডাক্তার-কবিরাজ কেউ তাকে সুস্থ করতে পারছিল না। এমন অবস্থায় কস্তুরী দেবী পরিবারের সবাইকে নিয়ে এক সুফি পীর করিমুল্লাহ শাহ কাদরির কাছে ধর্ণা দেন। এই পীরের দোয়াতেই বেঁচে ওঠে এ আর রহমানের বোন।
কৃতজ্ঞতা জানাতে গেলে পীর সাহেব বলে ওঠেন, ‘যা করেছেন সবই আল্লাহ করেছেন। আল্লাহর দোয়াতেই তোমাদের প্রিয়জনকে ফিরে পেয়েছ। আমি তো নিমিত্ত মাত্র।’
নতুন এক আলোয় উদ্ভাসিত হলো সবাই। একটি বিশ্বাসের জন্ম হলো। সেই সময় অর্থাৎ ১৯৮৭ সালে পরিবারের সবাই ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হলো। এ এস দিলীপ কুমার হলো আল্লারাখা রহমান।
উল্লেখ্য, চেন্নাইতে এ আর রহমানের বাড়ির নিচতলায় দরজা খুলে কেউ প্রবেশ করলে তার চোখ পড়বে একটি ছবির ওপর। এটি সেই পীর সাহেবের ছবি। এছাড়া স্টুডিওর দরজা থেকে মোবাইলের নম্বর—সর্বত্রই ‘৭৮৬’ সংখ্যাটি আছে। আল্লাহ বিশ্বাসী এই সুরকার প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। মসজিদের প্রতি তাঁর রয়েছে গভীর টান। বিদেশে গেলে সংগীতের জিনিসপত্রের পাশাপাশি মসজিদও তার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে।
বাজিয়ে থেকে সুরকার
১৯৭৮ সালে, এগারো বছর বয়সে, দূরদর্শনের একটি অনুষ্ঠানে বাজিয়ে হিসেবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ আর রহমানের ক্যারিয়ারের সূত্রপাত। তারপর অনেকের সঙ্গে ‘ইন্সট্রুমেন্ট হ্যান্ড’ হিসেবে বাজিয়েছেন। এদের মধ্যে রমেশ নাইডু, এস এস বিশ্বনাথের মতো প্রথিতযশারা রয়েছেন। ১৯৮৭ সালে ইলোরা রাজার গ্রুপে যুক্ত হলেন। এখানেই ডিসিপ্লিন বিষয়টি শিখলেন তিনি। নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজাতে শিখলেন। আর কম্পিউটার মিউজিক প্রোগ্রাম সম্পর্কে সম্যকভাবে ওয়াকিবহাল হলেন— যা দারুণভাবে প্রভাব বিস্তার করে রহমানের পরবর্তী জীবনে।
বাদ্যযন্ত্র বাজাতে বাজাতে রহমান প্রচুর বিজ্ঞাপনচিত্রের জিঙ্গেলেও সুর করতে লাগলেন। ছয় বছরের মধ্যে প্রায় তিন শত অ্যাডের জিঙ্গেল তৈরি করেছিলেন তিনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— এম আর এফ টায়ার, হিরো পাংক, এশিয়ান পেইন্ট, লিও কফি, অলউইন ফ্রিজ, বুস্ট, টাইটান, প্রিমিয়ার প্রেসার কুকার।
বিজ্ঞাপনচিত্রের সূত্রেই চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করার অফার পান রহমান। বিষয়টি হলো, ত্রিলোক সারদার মাধ্যমে রহমান পরিচিত হন প্রথিতযশা চলচ্চিত্রকার মনি রত্নমের সঙ্গে। মনি জানতে পারেন রহমানের জিঙ্গেলে সুর দেওয়ার বিষয়টি। রহমানের কী-বোর্ড বাজনাও মুগ্ধ করে মনি রত্নমকে।
একদিন ইলোরা রাজার স্টুডিওতে বসে আছেন রহমান। মনি রত্নম তার কাছে এসে বললেন, তুমি আমার ছবির মিউজিক করতে পারবে?
প্রস্তাবটি এতই অভাবনীয় যে কয়েক মুহূর্ত নির্বাক থাকেন রহমান। তারপর মৃদু কণ্ঠে বলেন, পারব।
রহমান ‘রোজা’ ছবির সংগীত পরিচালক হন এবং প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করে দেন। ‘রুকমনি রুকমান’, ‘রোজা জানেমন’, ‘দিল হ্যায় ছোটা সা’, ‘ইয়া হাসি ওয়াদিয়া’ গানগুলো মানুষের মুখে মুখে ফিরতে থাকে। প্রথমে দক্ষিণ ভারতের মানুষদের, পরে হিন্দিতে ডাবিং-এর কল্যাণে পুরো ভারতবর্ষকে মন্ত্রমুগ্ধ করেন রহমান। আর প্রথম ছবির সূত্রেই জাতীয় পুরস্কার পান তিনি। এটি একটি রেকর্ড, যা আগে-পরে আর কারোই নেই। পরের ছবি ‘বোম্বে’। এ ছবিটিতেও সুরের জাদু ছড়িয়ে দেন রহমান। ‘হাম্মা হাম্মা’, ‘কুচি কুচি রাকমা’, ‘ক্যায়না হি ক্যায়া’ গানগুলো কান পেতে শোনেন শ্রোতারা। এছাড়া দক্ষিণ ভারতীয় আরও কয়েকটি ছবি, যেমন—‘থিরুডা থিরুডা’, ‘ইন্দিরা’, ‘কাদালান’ ইত্যাদি ছবির গানও মানুষের মন জয় করে। বলাই বাহুল্য, তখন পর্যন্ত সরাসরি কোনো হিন্দি ছবিতে সুরারোপ করেন নি রহমান। হিন্দি ছবির প্রতি ভীতি ছিল তার। এই ভীতি কাটে রামগোপাল ভার্মার ‘রঙ্গিলা’ ছবিতে কাজ করার পর থেকে। তারপর একের পর এক হিন্দি ছবিতে কাজ করা আর সাফল্যের জোয়ারে ভাসা। ‘গজিনী’সহ অন্যান্য ছবিও সাফল্যের সেই ধারা ধরে রাখেন। মজার বিষয় হচ্ছে, রহমান ছবিতে কাজ করার জন্যে মুম্বাইতে আসেন নি কোনোদিন। চেন্নাইতে তার বাড়ির নিচতলায় অবস্থিত স্টুডিওতে বসেই কাজ করেছেন। আর রহমানের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রয়াসে এই স্টুডিও আজ ভারতের সেরা স্টুডিও হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
সঙ্গীতে নতুন হাওয়া
ভারতীয় চলচ্চিত্র সংগীতে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন এ আর রহমান। নতুন হাওয়া বইয়ে দিয়েছেন। রোজা, বোম্বে, রঙ্গিলা— প্রতিটি ছবিতেই নতুনভাবে আবির্ভূত হয়েছেন। ‘থিরুডা থিরুডা’ ছবির গানের মধ্যে অপেরাধর্মী লিরিক রয়েছে, ‘পৃথিবী মগন’-এ রয়েছে কিছুটা বিশুদ্ধ লোকগীতির সৌরভ; ‘ইন্দিরা’য় ভারতীয় রাগ-রাগিনীর ছড়াছড়ি; ‘কাদালান’-এর গানগুলো তৈরি হয়েছে পাঞ্জাবি ভাঙড়ার ওপর ভিত্তি করে। ভারতের স্বাধীনতা লাভের ৫০ বছর উপলক্ষে ‘বন্দে মাতরম’-এর নতুন করে সুর দেন রহমান। ‘মা তুযে সালাম’ আলোড়ন তোলে সর্বত্র। সুরের ওপর এই দখল, এই বৈচিত্র্যের কারণ হলো— অল্প বয়স থেকেই ভারতীয় রাগ-রাগিনী চিনতে পারেন রহমান। আর এ ক্ষেত্রে তার অধ্যবসায়, পরিশ্রম ও একাগ্রতা তাকে শক্তি জুগিয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে রহমান জানান যে, সুরের বৈচিত্র্য তিনি খুঁজে পেয়েছেন প্রকৃতির কাছ থেকে।
রহমানের সুরে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মেলবন্ধন অর্থাৎ ফিউশন যেমন রয়েছে, তেমনি তা টেকনলজি নির্ভরও। এ ক্ষেত্রে তার সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারসহ অন্যদেরও অবদান রয়েছে। তাদের এই ভূমিকার কথা রহমানও নির্দ্বিধায় স্বীকার করেছেন বারবার।
গানের মাঝে পরিচয়
এ আর রহমানের সঙ্গীতে স্বাতন্ত্র্য রয়েছে, রয়েছে ভিন্ন বৈশিষ্ট্য।
প্রথমত, রহমানের কম্পোজিশনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য জার্ক। গানের লাইনে লাইনে এই ঝাঁকুনি আসে সুরের চলনে। যা শ্রোতাকে নাড়িয়ে দেয়। যেমন ‘রোজা জানেমন’ গানের সুষম মেলোডির মাঝে হঠাৎ ‘রোজা’ বলে উঁচু পর্দায় উঠে তীক্ষ্ণ সুরের খোঁচা দেয়। দ্বিতীয়ত, কম্পোজিশনের দক্ষিণী চাল— যা সুরে আনে অভিনবত্ব। উদাহরণ হিসেবে উর্বশী, কুচি কুচি গানগুলোর কথা বলা যায়। তৃতীয়ত, সুরের একমুখিনতা ভেঙে দিয়েছেন রহমান। রাগ সংগীতের সঙ্গে মিলিয়েছেন ফোক স্টাইল। পশ্চিমী সুরের আদল অনায়াসে যোগ করেছেন লোক সুরের সঙ্গে। চতুর্থত, রহমানের কম্পোজিশনের বৈশিষ্ট্য হলো, ছন্দ বা রিদম। এই দোলা লাগানো সুর সব শ্রেণির শ্রোতাকে নাড়া দেয়। পঞ্চমত, একদল নবীন কণ্ঠশিল্পীকে উপহার দিয়েছেন রহমান। সত্যি কথা বলতে কী, নতুনদের নিয়ে কাজ করতেই পছন্দ করেন রহমান। ষষ্ঠত, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালকের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিকোয়েন্স অনুযায়ী গান তৈরি করেন রহমান। ফলে তার গানগুলো আরোপিত মনে হয় না। সেগুলো ছবির অংশ হয়ে ওঠে। সপ্তমত, বাণিজ্যিক ছবির মূলধন নাচের সঙ্গে রহমানের মিউজিক খুবই ফলপ্রসূ হয়।
কোথাও আমার হারিয়ে যেতে নেই মানা
সংগীতের কোনো দেশ নেই। সংগীতের আকাশ ছড়িয়ে আছে সারা পৃথিবীজুড়ে। আর সেই আকাশে ডানা মেলে দিয়েছেন এ আর রহমান।
২০০২ সালে বিখ্যাত মিউজিক্যাল ডিরেক্টর অ্যান্ডু লয়েডের সঙ্গে কাজ করেন রহমান। ‘বম্বে ড্রিমস’-এ সুর দেন। ‘বম্বে ড্রিমস’ এবং লিড সঙ ‘সাকা লাকা বেবি’ সাড়া জাগায় পাশ্চাত্যে। এমনকি আমেরিকার মানুষদেরও মাতায়। ‘ওয়াদিয়রস অব হেভেন’ নামে একটি চীন ছবির সংগীত পরিচালনাও করেন রহমান। এছাড়াও ‘লর্ড অব দ্য রিংস’-এর স্টেজ অ্যাডাপ্টেশনেও সুর দেন। এভাবেই আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় প্রথম পা রাখেন এ আর রহমান।
স্লামডগ মিলিওনেয়ার ও অস্কার
ব্রিটিশ চলচ্চিত্রকার ‘স্লামডগ মিলিওনেয়ার’-এর গান ও আবহসংগীত পাশ্চাত্য দুনিয়াকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। এই সূত্রে রহমান লাভ করেন গোল্ডেন গ্লোবসহ আরও একটি প্রেস্টিজিয়াস অ্যাওয়ার্ড। সবশেষে তিনি পেলেন বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার অস্কার। ৮১তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের মৌলিক গান (জয় হো) এবং আবহসংগীতের কল্যাণে দুটি অস্কার পেয়ে ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন রহমান। সংক্ষিপ্ত ভাষণের জন্যও তিনি প্রশংসা কুড়ান। মা, আল্লাহ, দেশবাসী এবং ড্যানি বয়েলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পুরস্কার পেয়েছি, ভালো লাগছে। অনেক বড় পুরস্কার এটি। সামনে আরও ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা জোগাবে এ স্বীকৃতি।’
উল্লেখ্য, ভারতের প্রায় সব পুরস্কার পেয়েছেন রহমান। একাধিকবার জাতীয় পুরস্কার ছাড়াও পেয়েছেন দশবারের অধিক ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। পেয়েছেন পদ্মশ্রী।
বিশ্বসঙ্গীতের দিগন্তে জ্বলজ্বল করছেন এ আর রহমান। তিনি আরও দ্যুতিমান, আরও আলো ছড়াবেন— এটাই সংগীতপ্রেমীদের প্রত্যাশা।
সেরা কিছু গান…
এ আর রহমানের সুরারোপিত অসংখ্য গান শ্রোতাদের হৃদয় স্পর্শ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দিল হ্যায় ছোটা সা (রোজা), রুকমনি রুকমনি (রোজা), কুচি কুচি রাকমা (বোম্বে), তানহা তানহা (রঙ্গিলা), মুকাবালা (মুকাবালা), জিয়া জ্বালে (দিল সে), বন্দে মাতরম, তাল সে তাল মিলা (তাল), রাধা ক্যায়াসে না জ্বালে (লগন), বারসো রে মেঘা মেঘা (গুরু) প্রভৃতি।
Leave a Reply
Your identity will not be published.