বলিউডে ঢাকার তন্বী

ইশরাত তন্বী। বাংলাদেশের এই অভিনেত্রী বলিউডের একটি মূলধারার ছবিতে কাজ করছেন। তার বিপরীতে রয়েছেন স্বনামধন্য বলিউড তারকা দিনো মারিও।

বিশ্বের বিভিন্ন প্লাটফর্মে বর্তমানে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণী কাজ করছেন, নিজেদের মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী। ইশরাত তন্বী তাদেরই একজন। তিনি বাংলাদেশের মিডিয়া জগতের পরিচিত মুখ। টানা দশ বছর কাজ করেছেন বিভিন্ন প্লাটফর্মে। পারফরমিং দুনিয়ায় নিজেকে আরও বৃহৎ পরিসরে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তিনি মুম্বাইতে পাড়ি জমিয়েছেন।

তন্বী এখন কাজ করছেন একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য হিন্দি চলচ্চিত্রে, দিনো মারিওর বিপরীতে। অবশ্য ছবিটির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেন নি তন্বী। তবে জানা গেছে, ছবির শুটিং অনেকখানি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তন্বীর ভাষ্য, ‘ছবিটিতে কাজ করে দারুণ এক অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। দিনো সহশিল্পী হিসেবে দারুণ কো-অপারেটিভ। এ ছাড়া এ ছবিতে কাজ করেছেন পরেশ রাওয়াল স্যার। তার অভিনয় সেই শৈশব থেকে দেখে আসছি। সেটে আমরা দারুণ মজা করে কাজ করেছি। পরেশ রাওয়াল আমার অভিনয় দেখে প্রশংসাও করেছেন। আশা করছি, ছবিটি রিলিজ হলে দেশি-বিদেশি দর্শকরা আমাকে নতুন করে চিনবে, নতুন করে জানবে।’

স্বপ্ন নগরী মুম্বাই। সবাই সেখানে যায় নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করার জন্যই। কেউ সফল হয়, কেউ হয় না। কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌঁছতে পারে তারাই, যারা কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগ স্বীকার করতে পারে। শুরুতে ইশরাত তন্বীকেও পোড়াতে হয়েছে বহু কাঠখড়। অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। বহু বাধা-বিপত্তি সামনে এসেছে। তবে তন্বী ভেঙে পড়েন নি। যেমন তিনি মুম্বাই যাওয়ার পর পরই সারা বিশ্বে করোনা মহামারি দেখা দেয়। যার প্রভাব পড়েছিল মুম্বাইয়ের বিনোদন শিল্পেও।

সংগত কারণেই তন্বী প্রথমে হোঁচট খেয়েছিলেন। এমনকি দেশে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময়ই তন্বীর একটি ওটিটির কাজ ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পায়। এটি উজ্জীবিত করে তন্বীকে। কাজের প্রতি তার উৎসাহ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। উল্লেখ্য, মুম্বাইতে তন্বী শুধু অভিনয় করছেন না, তিনি বিজ্ঞাপনচিত্রেরও কাজ করছেন। পাশাপাশি একটি বিজনেস করারও চেষ্টা করছেন। ওয়ার্ক পারমিটের জন্যও আবেদন করেছেন। সেটি অবশ্য সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে তন্বী থেমে না থেকে এগিয়ে যাচ্ছেন। চাইছেন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে। 

কলকাতার বাঙালি মেয়েরা বলিউড জয় করেছেন। নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন শক্ত ভিতের ওপর। এখন দেখা যাক, ঢাকার মেয়ে ইশরাত তন্বী বলিউড জয় করতে পারেন কি না! সময়ই সেই কথা বলবে।