আকাশছোঁয়া একটি দৃপ্ত তর্জনীর গল্প: রিয়াজুল ইসলাম

আকাশছোঁয়া একটি দৃপ্ত তর্জনীর গল্প: রিয়াজুল ইসলাম

আকাশছোঁয়া একটি দৃপ্ত তর্জনীর গল্প

রিয়াজুল ইসলাম

 

একটি তর্জনী
আকাশ ছুঁয়েছে, স্বাধীনতার স্বপ্ন এঁকেছে
সেই তর্জনীটি কার ছিল ?
বঙ্গবন্ধুর।

একটি বজ্রকণ্ঠ
সার্বভৌম একটি ভূমির কথা বলেছে
বাংলা মায়ের গান গেয়েছে
‘জয় বাংলা’ ‘জয় বাংলা’ রব তুলেছে আকাশে বাতাসে
সেই কণ্ঠটি কার ছিল ?
বঙ্গবন্ধুর।

আমি বঙ্গবন্ধুকে দেখি নি
আমি বাংলাকে দেখেছি
বাংলার প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে
একটি সবুজ নাম পেয়েছি
যে নামের কলতানে কলকল করে বয়ে চলে নিরবধি পদ্মা-মেঘনা-যমুনা
যে নামের অনুরণনে এখনো ধ্বনিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস
যে নামের ঘ্রাণ মেখে আছে বাংলার সবুজ ঘাসের বিন্দু বিন্দু শিশির ফোঁটায়।

আমি বঙ্গবন্ধুকে দেখি নি
পাড়ার মাইকে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে একটি বজ্রকণ্ঠ শুনেছি
যে কণ্ঠস্বর এখনো আলোড়িত করে বাংলার হৃদয়
যে কণ্ঠস্বর নতুন প্রজন্মকে সুদৃঢ় চেতনার স্পষ্ট পথ দেখায়
যে কণ্ঠস্বর ভালোবাসতে শেখায় বাংলার প্রতিটি কণা।

আমি বঙ্গবন্ধুকে দেখি নি
আমি আমার বাবার গল্পে
আকাশ পানে উত্থিত একটি শক্তিশালী তর্জনী দেখেছি
যে তর্জনীর জাদুকরী মায়ায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আপামর বাংলার মানুষ
একটি স্বাধীন নামের জন্য,
যে তর্জনী শক্তি দিয়েছিল বাংলার আকাশে স্বপ্নঘুড়ি উড়াবার,
সেই স্বপ্নঘুড়ি আজও উড়ছে বাংলার নীল আকাশে,
শুধু সেই তর্জনীটি আটকে গেছে ইতিহাসের পাতায় রক্তমাখা শোকের অশ্র“বিন্দু হয়ে।

ধানমন্ডি ৩২ নং-এর বাড়িটিতে লেগে থাকা সেই রক্তের দাগে স্বাধীনতার ঘ্রাণ আজও লেগে আছে।
আমি সেই ঘ্রাণ প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ছড়িয়ে যাব।
 
আজ আমি সেই বাবার গল্পে দেখা,
৭ই মার্চের ভাষণে শোনা
বজ্রকণ্ঠে খুঁজে পাওয়া
বাংলার সেই অকৃত্রিম অকুতোভয় আপসহীন কিংবদন্তির
প্রতিচ্ছবি আঁকব আমার কবিতার পাতায়, শব্দ দিয়ে, অনুভূতি দিয়ে,
স্বাধীনতার শাণিত লাল রং দিয়ে বাংলার কবিতায় একটি নামই লিখব
সেই নাম
প্রিয় সবুজ নাম
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
। 

কবি: কাউন্সিলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতা

 

Leave a Reply

Your identity will not be published.