সম্প্রতি ইমেরিটাস অধ্যাপক হলেন শিক্ষাবিদ, কথাসাহিত্যিক, সমাজচিন্তক, শিল্প ও সাহিত্য সমালোচক এবং পাক্ষিক ‘অন্যদিন’-এর উপদেষ্টা সম্পাদক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। কথাসাহিত্যিক হিসেবে তাঁর রয়েছে একটি স্বতন্ত্র স্টাইল, যাতে সহজেই চিহ্নিত করা যায় তাঁর গল্প কিংবা উপন্যাসকে।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের গল্পে রয়েছে গল্প বলা ও লেখা উভয় ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মিশ্রণ, যেমনটি আমরা লক্ষ করে থাকি উত্তরাধুনিক গল্পকথক মার্কেস কিংবা বোর্হেসের মাঝে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামকে বাংলা সাহিত্যে উত্তরাধুনিকতার অন্যতম প্রবর্তক বললে ভুল হবে না। তাঁর কথাসাহিত্যে সমাজে বিদ্যমান মানুষের সমস্যা প্রতিফলিত। সংগতকারণেই সমাজে অস্থিরতা, ব্যক্তিকেন্দ্রিক সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনীতি, রাজনীতি- সবকিছুই মূর্ত হয়ে ওঠে। নানা শ্রেণির মানুষই তাঁর গল্প-উপন্যাসে উঠে আসে। তাদের বিচ্ছিন্নতা, নিঃসঙ্গতা, আনন্দ-বেদনার মননশীল প্রকাশ সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের কথাসাহিত্য। মানব মনের চেতন ও অবচেতন দিক উন্মোচনেও তিনি অত্যন্ত কুশলী। কথাসাহিত্যে তাৎপর্যপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন একুশে পদক (২০১৮) ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৯৬)।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ছাড়াও আরও পাঁচজন শিক্ষক হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক। তাঁরা হলেন আন্তর্জাতিক ব্যবসায় বিভাগের খন্দকার বজলুল হক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের আতিউর রহমান, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের নজরুল ইসলাম, চারুকলার অঙ্কন ও চিত্রন বিভাগের রফিকুন নবী ও প্রাচ্যকলা বিভাগের হাশেম খান।
Leave a Reply
Your identity will not be published.