এই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক সাদাত হোসাইন। তিনি কিন্তু একজন চলচ্চিত্রকারও। তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘বোধ’। স্বল্পদৈর্ঘ্য এই চলচ্চিত্রটির জন্য ২০১৩ সালে সাদাত পেয়েছিলেন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড।
তার দ্বিতীয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দ্যা শ্যুজ’। এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি পেয়েছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকার পুরস্কার। তার তৃতীয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘প্রযত্নে’। ২০১৯ সালে সাদাত নির্মাণ করেন পূর্ণদৈর্ঘ্যরে চলচ্চিত্র ‘গহীনের গান’। এটি ছিল একটি নিরীক্ষামূলক চলচ্চিত্র। নিরীক্ষা এই অর্থে ছবিটি একটি গাননির্ভর চলচ্চিত্র। এমন কাহিনিচিত্র এ দেশে আগে নির্মিত হয় নি।
চার বছরের দীর্ঘ বিরতির পর সাদাত সম্প্রতি নির্মাণ করেছেন ‘রৌদ্রময়ী’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এটি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শিত হবে। একই সঙ্গে উন্মুক্ত করা হবে ‘প্রজন্ম ওয়েভ’-এর ইউটিউব চ্যানেলে।
‘রৌদ্রময়ী’তে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই সময়ের জনপ্রিয় জুটি খায়রুল বাশার ও সাদিয়া আয়মান। চলচ্চিত্রটির অন্য অভিনয়শিল্পীরা হলেন, মাঈন হাসান, অশোক বেপারি, আশা মজিদ রোজি, কাশপ্রিয়া প্রমুখ।
চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে সাদাত হোসাইনের ভাষ্য হলো, “আমার এই চলচ্চিত্রটিতে দেখা যাবে, খায়রুল বাশার একজন হতাশ ও বিষাদগ্রস্ত তরুণ। এই তরুণটি বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে মেডিকেলে পড়তে বাধ্য হন। এটি তাকে পরিণত করে একজন ভয়ানক ব্যর্থ মানুষে। তার ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবন হয়ে ওঠে অসহনীয়। শেষ পর্যন্ত প্রচণ্ড হতাশায় তরুণটি আত্মহত্যা করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। এই অবস্থা থেকে কীভাবে সে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে সেটিই মূর্ত হয়ে উঠেছে ‘রৌদ্রময়ী’তে।”
চলচ্চিত্রটিতে একটি গানও রয়েছে। ‘যখন রোদের দিনে রাত নামে’ শিরোনামের এই গানটির সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী বেলাল খান। আর ছবিটির শুটিং হয়েছে উত্তরা, মিরপুর ও আশুলিয়ায়। জানা গেছে, ‘রৌদ্রময়ী’র গল্পটি লিখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা কনিকা। চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় সাদাত হোসাইন।
Leave a Reply
Your identity will not be published.