প্রথমে ছিলেন অভিনেতা, এরপর হলেন নির্মাতা— এমন নামের তালিকা বেশ দীর্ঘ। ফতেহ লোহানী, খান আতাউর রহমান, সুভাষ দত্ত, রহমান, আমজাদ হোসেন, হাসমত, দারাশিকো, আজিম, রাজ্জাক, জহিরুল হক, সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল হাসান বৈরাগী, সৈয়দ হাসান ইমাম, মঞ্জুর হোসেন, এটিএম শামসুজ্জামান, দীলিপ বিশ্বাস, বুলবুল আহমেদ, সালাউদ্দিন লাভলু, তৌকীর আহমেদ...।
আবার একই সঙ্গে অভিনয় ও পরিচালনা করেছেন, এমন দৃষ্টান্তও রয়েছে। উদাহরণ সোহেল রানা ওরফে মাসুদ পারভেজ। অভিনেত্রীরাও পরিচালনার খাতায় নাম লিখিয়েছেন। যেমন রোজী, সুজাতা, মৌসুমী, তানিয়া আহমেদ, মেহের আফরোজ শাওন, অরুণা বিশ্বাস...।
কিন্তু নির্মাতা থেকে অভিনেতায় পরিণত হয়েছেন, এমন দৃষ্টান্ত খুব একটা নেই। এ প্রসঙ্গে শুরুতেই আসবে চাষী নজরুল ইসলামের নাম। ষাট দশকে তিনি সহকারী পরিচালক থাকা অবস্থায়ই কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। পরে স্বাধীনতা-উত্তর সময়েও তাঁকে অভিনয় করতে দেখা গেছে।...চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন প্রবীণ পরিচালক নারায়ণ ঘোষ মিতাও। অন্যদিকে ‘স্লোগান’ চলচ্চিত্র দিয়ে পরিচালনা শুরু করেছিলেন কবির আনোয়ার। এরপর ‘সুপ্রভাত’ ছবিটি তাঁর পায়ের মাটি শক্ত করে। অতঃপর ‘তোলপাড়’ ছবিটি নির্মাণ করার সময় কবির আনোয়ার নিজেই ছবিটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। তবে ছোট-বড় সব ধরনের চরিত্রে অনেক অভিনয় করেছেন কাজী হায়াৎ। এমনকি নিজের পরিচালিত ছবিতেও তাকে দেখা গেছে।
সম্প্রতি অভিনেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন প্রথিতযশা নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। নিজের পরিচালিত ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’তে তিনি অভিনয় করেছেন। সহশিল্পী তাঁর স্ত্রী অভিনয়শিল্পী নুসরাত ইমরোজ তিশা। ফলে ছবিতে অভিনয়ের বিষয়টি ফারুকীর জন্য সহজ হয়ে গেছে। উল্লেখ্য, ছবিটি তাঁদের দুজনের ব্যক্তিগত গল্পও। আর ছবিটির চিত্রনাট্যও লিখেছেন দুজনে মিলে।
এতে অভিনয় প্রসঙ্গে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ভাষ্য হলো, ‘অভিনয় তো একটা ভালনারেবল কাজ। আর এই গল্পে অভিনয় তো আরও ভালনারেবল ব্যাপার, যেখানে নিজের জীবনও কোনো না কোনো আঙ্গিকে লুকিয়ে আছে। তবে শুটিং শুরু হয়ে যাওয়ার পর তেমন কোনো আলাদা অনুভূতিই হয় নি। মনে হয়েছে, এটা তো স্বাভাবিক। শুধু একটা জিনিস আলাদা ছিল, শটের সময় মনিটরে থাকা হতো না। আমার ছোট ভাই কিবরিয়া মনিটরে থাকত। আর আমি শট শেষে গিয়ে প্লে-ব্যাক করতাম।’
Leave a Reply
Your identity will not be published.