বসন্তের শিমুল!
এইবার খুন হোক!
ওরে! বসন্তের শিমুল,
এবার শেকড় থেকে শুরু করেছি,
যেখানে উত্তরীয় আকাশের নিচে
বৃষ্টি আর বাতাসের নিচে,
মাটির সাত আসমানের নিচে,
আমাদের পূর্বপুরুষের ফিসফিস।
শুনেছি পুরো দেশ থেকে নিজের দোকান গুটিয়ে
তুমি কেবল তাহিরপুরে ফোটো?
যাওয়ার পথে প্রচুর পাথর আর
পাহাড়ের ব্যারিকেড
ভাবতে ভাবতে হেলান দিই
সফেদ শয্যায়
তুমি তোমার স্বভাবে আমাকে
ঘুমুতে দেবে না বলে ফের আমার
বুকের মধ্যে লাফ দিয়ে বসো।
মনে হয়, এইবার খুন হোক।
বললে, বসন্ত আমার আরেক নাম,
তাহলে তুমি পটেছ?
তাই অনর্গল আমাকে ডেকে যাচ্ছ?
এরপর ছিঁড়েখুঁড়ে এক করতে থাকলে আমার রাতের কাফন,
মনে হয়, এইবার খুন হোক।
শিমুলের বৃন্তের কামের গন্ধে
কিশোরী মাতাল হয়েছিল।
আর কোনো ঘ্রাণে শরীর জাগে না।
যেনবা শব আমি যেনবা
স্থির জল,
সেই আমি ছিটকে উঠি,
কুঠার খাওয়া বৃক্ষের মতো,
মনে হয় এইবার খুন হোক।
বানরের মতো শেলফে গিয়ে বসো।
বলি, আমি চলে যাচ্ছি শিমুলবাগানে,
তার আগে পারলে আমাকে খাও,
একেবারে হাড়মাংস সব
নয়, তোমাকে ছিঁড়ছি,
পড়ে যাওয়া পাতার মতো,
কোথায় পালাবে?
এইবার আমি গোখরোর ফণা!
এরপর নিজেকে এলিয়ে দিই
শিমুল তুলোর শয্যায়...
রাতের চাঁদ এসে
বসে আমার চোখের জানালায়।
এবং মায়ের গীত শুনি,
চাঁদের কপালে চাঁদ...
এবং তুমুল হাসতে হাসতে
পূর্বপুরুষের সাথে
তোমার ফিসফিস শুনতে শুনতে,
শান্তির শ্বাস ফেলে,
ঘুমিয়ে যেতে থাকি।
Leave a Reply
Your identity will not be published.