দুবাইয়ে সফলভাবে শেষ হলো বাংলাদেশ বইমেলা

দুবাইয়ে সফলভাবে শেষ হলো বাংলাদেশ বইমেলা

 

বইপ্রেমিদের মনে খোরাক যোগাতে দুবাই-বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে আয়োজিত হয়ে গেল বইমেলা। ১৫ ডিসেম্বর সকাল থেকে শুরু হওয়া দুবাই কন্সুলেটের দ্বিতীয় বইমেলা ও বিজয় দিবস উৎসব শেষ হয় ১৭ ডিসেম্বর মাঝরাতে। প্রবাসী দর্শনার্থীদের পদভারে প্রাণবন্ত ছিল দুবাই-বাংলাদেশ কনস্যুলেট মেলা প্রাঙ্গণ।

বইমেলার শেষ দিনে বইপ্রেমি পাঠকদের পদচারণনায় মুখর ছিল মধ্যরাত পর্যন্ত। এ বছরের বইমেলায় পাঠকদের আগ্রহের তালিকায় যেমন ছিল নতুন প্রবাসীদের জীবনী নিয়ে বই। তেমনি জ্ঞান পিপাসু পাঠকদের জন্য গবেষণামূলক গ্রন্থ, একক ও দ্বৈত কাব্যগ্রন্থ, পর্যটন ও ভ্রমণগল্প, উপন্যাস ও রোমান্টিক গল্পগুচ্ছের বই পাঠকদের চাহিদার শীর্ষে ছিল। এ ছাড়া ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক বই নিয়েও পাঠকদের আগ্রহের কমতি ছিল না। বড়দের পাশাপাশি শিশুদের মাঝেও শিশুতোষ গল্প ও ছড়ার বইয়ের প্রতি আগ্রহ মুগ্ধ করেছে লেখক ও প্রকাশকদের।

পাঠকদের আগ্রহের তালিকায় ছিল তরুণ লেখক সাদাত হোসাইনের উপন্যাস। এ ছাড়া মেলার প্রথম দিনে মোড়ক উন্মোচিত হওয়া কবি ও কূটনীতিক জামাল হোসেনের কাব্যগ্রন্থ ‘তাহার কথা খুব মনে পড়ে’, কামরুল হাসান জনির উপন্যাস ‘সন্ধ্যা তারার নামে’ ।

দুবাইয়ে বাংলাদেশ বইমেলায় যেন রুক্ষ মরুর বুকে বাংলা ও বাংলা সাহিত্যানুরাগী প্রবাসীদের জ্ঞানক্ষুধা মেটানোর স্বল্প প্রয়াস মাত্র। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশি সংস্কৃতির চর্চা ও গবেষণা বাড়াতে এবং নতুন প্রজন্মকে দেশের সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহী করে তুলতে বইমেলার আয়োজন অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন মেলা পরিদর্শনে আশা বিশিষ্ট উদ্ভিদ ও প্রাণী গবেষক ড. রেজা খান। বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মেলায় উপস্থিত ছিলেন। 

বিশ্বের দরবারে বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতিকে তুলে ধরা এবং নতুন প্রজন্মকে সাংস্কৃতিমনা করে গড়ে তুলতে বইমেলার মতো এমন আয়োজনের পরিধি আরও বাড়াবে এমন তাগিদ দেন মেলা পরিদর্শনে আসা বিশেষজ্ঞ গবেষক, লেখক ও পাঠকরা।

রবিবার ছিল মেলার শেষ দিন ও দুবাইয়ের সপ্তাহিক ছুটির দিন। ছুটির দিন হওয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ ছিলো চোখে পড়ার মতো। বিকাল থেকে মাঝরাত অবধি বইমেলায় বেশ সমাগম ছিল। মেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব বয়সী মানুষ, লেখক, পাঠক, সাংস্কৃতিক কর্মী, প্রবাসী শিক্ষার্থীরা। এছাড়া, মেলায় ৫২তম বিজয় দিবস উপলক্ষে ৫২ শতাংশ মূল্য ছাড় ছিল স্টলে স্টলে।

বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটাতে দেশীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এ সুদূর প্রবাসে বাংলা সাহিত্য মেলাসহ প্রবাসীদের উপকারী নানাবিধ উদ্যোগ আগামীতে আরও বেশি বেশি নেবেন বলে আশা করেন মেলায় আসা প্রবাসীরা।

Leave a Reply

Your identity will not be published.