অনন্য খাইরুল বাশার

অনন্য খাইরুল বাশার

ছোটপর্দা, বড়পর্দা ও ওটিটিতে তিনি অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছেন। বৈচিত্র্যময় সব চরিত্রে তার সাবলীল অভিনয় দেখে মুগ্ধ দর্শক-হৃদয়। তিনি এ সময়ের প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেতা খাইরুল বাশার। যে কোনো চরিত্রে মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা তাকে করে তুলেছে অনন্য।

অন্যের জীবনটা নিজের মধ্যে ধারণ করার গভীর অনুরাগ থেকে খায়রুল বাশারের অভিনয়ে যুক্ত হওয়া। অভিনয়ের নানা শৈলী মুগ্ধ করে এই অভিনেতাকে। তাই তো তিনি অভিনয়কে ভালোবাসেন ও লালন করেন এবং তিনি আমৃত্যু অভিনয় করে যেতে চান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীত বিভাগে পড়াশোনা করেছেন খায়রুল বাশার। কিন্তু গানের মানুষ না হয়ে তিনি হয়েছেন অভিনয়ের মানুষ। অবশ্য ব্যস্ততার কারণে সংগীতচর্চা করা না হলেও গানের প্রতি তার রয়েছে টান। প্রকাশ হয়েছে তার গানও। কখনো সময়-সুযোগ হলে আরও গান করতে চান খাইরুল।  

সেই ছোটবেলায় অন্য দশজনের মতো পড়াশুনা করে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এসে শিল্প, সাহিত্য ও সিনেমার প্রতি অনুরাগ তৈরি হয়। নিজেকে যুক্ত করেন মূকাভিনয়ে, তারপর মঞ্চ থেকে পর্দা। এই কাজে তিনি আনন্দ খুঁজে পান। অভিনয়ের মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করার এই মাধ্যমকে খাইরুল ভালোবাসেন।

মঞ্চ-পর্দা দুই জায়গায়ই তার ভালোবাসা আছে কিন্তু ছোট-বড় পর্দার সবাক চরিত্রে অভিনয় করতে এসে তিনি উপলব্ধি করেন যে, নিজেকে ভালোমতো মেলে ধরতে পারবেন এখানে এবং তার ধারণাই সত্য ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে শর্ট ফিল্ম থেকেই অভিনয়ের যাত্রাটা শুরু করেন তিনি। তার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট হচ্ছে ‘পুনরাবৃত্তি’, পরিচালনায় ছিলেন সালেহ সোবহান অনীম। অন্যদিকে, শাওকী সায়েদের ‘কথা হবে তো?’ নাটকটিও তার অন্যতম আলোচিত কাজ।

অতঃপর সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির একটি কল যেন তার জীবন পাল্টে দেয়। এরপর তাকে আর পেছনে তাকাতে হয় নি। একে একে ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’, ‘ইতি তোমারই ঢাকা’, ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ তাকে তারকাখ্যাতি এনে দেয়। বহুমাত্রিক চরিত্রে ডুব দিয়ে দর্শকহৃদয় জয় করেন এই অভিনেতা। অভিনয় দক্ষতায় নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রবল ইচ্ছা তাকে করেছে আলাদা।

শুরুতে পরিবারের দিক থেকে সম্মতি না থাকলেও একটা সময় পর তার পরিবার বুঝতে পারেন তিনি ভালো কাজ করছেন। সুন্দর মতো চলতে পারছেন। তখন তাঁরা আর অভিনয়ের ব্যাপারে আপত্তি করেন নি। বরং এখন তাঁরা ভালো কাজের তাগিদ দিচ্ছেন, অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছেন।

অভিনেতা খাইরুল বাশারের উল্লেখযোগ্য কাজ— ইতি তোমারই ঢাকা, নেটওয়ার্কের বাইরে, মাকড়সা, শহরে অনেক রোদ, ঊনপঞ্চাশ বাতাস, শুক্লপক্ষ, মহানগর, নিখোঁজ, চরের মাস্টার, পুনর্জন্ম, সাহস, আরো কিছুদিন, মজনু, বাঘের বাচ্চা, বোধ, গুন, উড়ান, দ্যা ডার্ক সাইড অব ঢাকা ইত্যাদি।

Leave a Reply

Your identity will not be published.