একটি কাঁচকলা খোসা সমেত টুকরো টুকরো করে কেটে প্রতিরাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে ওই পানি পান করলে আমাশয় রোগ নির্মূল হয়। এভাবে এক মাস খেতে হবে। এ ছাড়া পেটের অসুখে কাঁচকলা সিদ্ধ করে টাটকা টকদইয়ের সাথে মেখে খেলে রোগ সারে। কাঁচকলা শুকিয়ে গুঁড়া করে প্রতিদিন অল্প পরিমাণ দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে যৌনব্যাধি ও প্রস্রাবের অসুখ সারে।
ফল হিসেবে কলা অনেকে পছন্দ করলেও, সবজি হিসেবে কলা অনেকেই পছন্দ করেন না। কিন্তু সবজি হিসেবে কাঁচাকলা বেশ স্বাস্থ্যকর। ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়ামসহ আরও অনেক পুষ্টিগুণসম্পন্ন একটি সবজি কাঁচাকলা। স্বাস্থ্যকর এই সবজিটি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। কাঁচাকলার গুণাগুণ নিচে দেওয়া হলো।
ওজন হ্রাস
যদি ওজন কমাতে চান, তবে খাদ্য তালিকায় রাখুন কাঁচাকলা! কাঁচাকলার ফাইবার দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। এটি আঁশযুক্ত হওয়ায় তা মেদ কাটতে সাহায্য করে।
চিনি নিয়ন্ত্রণ
কলার আঁশযুক্ত হওয়ায় এটি রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন বি৬ গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
পটাশিয়ামের উৎস
পাকা কলার মতো কাঁচাকলায়ও প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে। এক কাপ কাঁচা কলায় রয়েছে ৫৩১ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। তবে পটাশিয়াম সবার জন্য নিরাপদ নয়। উচ্চ রক্তচাপ আক্রান্ত রোগী অথবা কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের কিছুটা সাবধানে কাঁচাকলা গ্রহণ করা উচিত।
হজমে সাহায্য
আঁশযুক্ত সবজি হওয়ায় এটি খুব সহজে হজমযোগ্য। কাঁচাকলা পেটের ভেতরে খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে দেয়। তবে অতিরিক্ত পেট ফোলা সমস্যা থাকলে কাঁচাকলা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
কোলন ক্যানসার
কাঁচাকলা কোলন থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু এবং ইনফেকশন দূর করে কোলনকে সুস্থ রাখে। দীর্ঘমেয়াদি কোলন সংক্রান্ত রোগ দূর করতে কাঁচাকলা বেশ কার্যকরী।
উচ্চ ভিটামিন বি-৬ এর উৎস
কাঁচাকলা ভিটামিন বি-৬ এর অন্যতম উৎস। এক কাপ সিদ্ধ কাঁচা কলা দৈনিক ৩৯ ভাগ ভিটামিন বি-৬ চাহিদা পূরণ করে। ভিটামিন বি-৬ রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে, যা রক্তে অক্সিজেন পরিবহন করে। এছাড়া ভিটামিন বি-৬ রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রণ করে।
ডায়ারিয়া প্রতিরোধ
কাঁচাকলায় থাকা এনজাইম ডায়রিয়া এবং পেটের নানা ইনফেকশন দূর করে। ডায়রিয়া দেখা দিলে চিকিৎসকরা কাঁচাকলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
কাঁচাকলার পুষ্টিগুণ
একটি মাঝারি আকারের কাঁচাকলার আনুমানিক ১০০ ক্যালোরি থাকে এবং তা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। নিচে তা উল্লেখ করা হলো।
উপদান পরিমাণ/ক্যালোরি
পটাশিয়াম ৯ শতাংশ
ভিটামিন সি ১১ শতাংশ
ভিটামিন বি৬ ২৫ শতাংশ
ম্যাগনেসিয়াম ৭ শতাংশ
ফাইবার পর্যাপ্ত
Leave a Reply
Your identity will not be published.