তরুণ চলচ্চিত্রকার রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘নোনা জলের কাব্য’ ২৬ নভেম্বর মুক্তি পাচ্ছে। এই ছবিটির মাধ্যমে প্রথম পরিবেশনায় আসছে স্টার সিনেপ্লেক্স।
‘নোনা জলের কাব্য’-এ মূর্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী মানুষদের যাপিত জীবন। বিক্ষুব্ধ সমুদ্র, সর্বনাশা ঘূর্ণিঝড়, রক্ষণশীল মানুষদের বৈরী আচরণসহ নানা কিছুর সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকে তারা। ছবিতে এক ভাস্করের কাজ ও সংগ্রামও ফুটে উঠেছে। পরিবেশ বিপর্যয় বা জলবায়ু পরিবর্তন এ ছবির আরেকটি বিশেষ দিক।
ছবিটির অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, তিতাস জিয়া ও তাসনোভা তামান্না। আবহসংগীত পরিচালনা করেছেন অর্ণব। প্রযোজনায় রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত এবং ফরাসি প্রযোজক ঈলান জিরাদ। সিনেমাটোগ্রাফার চানানুন চতরুংগ্রোজ। সম্পাদনা ক্রিস্টেন স্প্রাগ (আমেরিকা), লুইজা পারভ্যু (রোমানিয়া) এবং শঙ্খ (ভারত)। কাস্টিং ডিরেক্টর রাফি সুমন। প্রোডাকশন্স ডিজাইনার সিলভা নাহমিয়াস।
শব্দ ও রং সম্পাদনার কাজ হয়েছে প্যারিসের দুটি বিখ্যাত স্টুডিওতে। নির্মাণ সহযোগী প্রতিষ্ঠান অমিতাভ রেজার হাফ স্টপ ডাউন।
‘নোনা জলের কাব্য’-এর অধিকাংশ শুটিং হয়েছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসহ সেখানকার বিভিন্ন উপজেলায়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম শহর এবং আনোয়ারা উপজেলায়ও এ ছবির কিছু অংশের শুটিং হয়েছে।
ছবিটির বেশিরভাগ শুটিং হয়েছে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট স্পট থেকে এক ঘণ্টা দূরবর্তী চরের মতো এক জায়গায়। অবশ্য সেই জায়গাটির আর এখন অস্তিত্ব নেই। সেটি এখন সমুদ্রের নিচে।
উল্লেখ্য, লন্ডন, বুসান, গুটেনবার্গ, সাও পাওলো, তুরিন, সিয়াটেল, সিঙ্গাপুরসহ বেশ কয়েকটি আন্তজার্তিক চলচ্চিত্র উৎসবে দর্শক-সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে ‘নোনা জলের কাব্য’। এবার যাচ্ছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন COP26-এ। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে অনুষ্ঠিতব্য গুরুত্বপূর্ণ এই আসরে ৮ নভেম্বর আইম্যাক্স থিয়েটারে প্রদর্শিত হবে ‘নোনা জলের কাব্য’। এ ছাড়া একই শহরে জাতিসংঘের COY16 সম্মেলনে, ২৯ অক্টোবর দেখানো হবে ছবিটি।
Leave a Reply
Your identity will not be published.