কালার্স বাংলার জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো সঙ্গীতের মহাযুদ্ধে বিজয়ি হয়েছেন শ্রয়ী। প্রথম রানার আপ আরফিন, দ্বিতীয় রানার আপ রাজদীপ।
ভারত, বাংলাদেশ— দুই দেশেই দুই যুগ ধরে সঙ্গীত-বিষয়ক রিয়্যালিটি শোগুলো চলছে বিভিন্ন চ্যানেলগুলোতে। এগুলো দর্শকদের মাঝে যেমন সাড়া জাগিয়েছে, তেমনই নতুন প্রতিভাবান কণ্ঠশিল্পীও উঠে এসেছে।
বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের অনেকেই ‘ক্লোজআপ ওয়ান’, ‘সেরাকণ্ঠ’ কিংবা ‘ক্ষুদে গানরাজ’-এর ফসল। অন্যদিকে ভারতে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’, ‘সারেগামাপা’, ‘সুপার সিঙ্গার’সহ বিভিন্ন জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো-তে যারা দর্শক মাতিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন, তাদেরই কয়েকজন আজ ভারতের সঙ্গীত জগতের জনপ্রিয় মুখ।
কালার্স বাংলার ‘সঙ্গীতের মহাযুদ্ধ’ প্রচলিত রিয়্যালিটি শোগুলোর মধ্যে একটু ভিন্নধর্মী। প্রথমবারের মতো প্রচার হওয়া এই অনুষ্ঠানে যারা অংশগ্রহণ করেছেন, তারা সুপরিচিত মুখ। আগেই তারা বিভিন্ন রিয়্যালিটি শো-তে অংশগ্রহণ করেছেন, কেউ কেউ চ্যাম্পিয়নও হয়েছেন (যেমন ‘সারেগামাপা’র প্রিতম, সুমন), তাই সঙ্গীতের মহাযুদ্ধে বিজয়ি হিসেবে যখন শ্রয়ীর নাম ঘোষণা করলেন সঞ্চালক মীর, তখন তিনি শ্রয়ীর উদ্দেশে বলে উঠলেন, ‘চ্যাম্পিয়নদের চ্যাম্পিয়ন’।
‘সঙ্গীতের মহাযুদ্ধ’ আসলেই মহাযুদ্ধ ছিল। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল। তাই তো প্রথম রানার আপ আরফিন থেকে শ্রয়ী বিজয়িনী হয়েছেন মাত্র এক নম্বরের জন্য। বলা যায়, কাকে বিজয়ী করবেন, এ নিয়ে বিচারকদের বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে। তারা হলেনÑউস্তাদ রশিদ খান, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, লোপামুদ্রা মিত্র এবং অভিজিৎ ভট্টাচার্য।
শুরু থেকেই ‘সঙ্গীতের মহাযুদ্ধ’ জমে উঠেছিল। রাজ চক্রবর্তীর প্রযোজনায় প্রতিটি পর্বই ছিল উপভোগ্য। আর এ ক্ষেত্রে মীরের উপস্থাপনাও বিরাট অবদান রেখেছে নিঃসন্দেহে।
এই রিয়্যালিটি শোর গ্রান্ড ফিনালেও দর্শকদের মন ছুঁয়ে গেছে। একটু ভিন্নধর্মীও ছিল। দুটি পর্বে বিভক্ত ছিল শেষ পর্বটি। প্রথম পবে পাঁচজন প্রতিযোগীর মধ্যে ঝরে পড়েন প্রিতম। আর শেষ পর্বে শালিনী কোনো স্থানই অধিকার করতে পারেন নি।
এ কথা নিশ্চিত করেই বলা যায় যে ‘সঙ্গীতের মহাযুদ্ধ’-এর দ্বিতীয় সিজনের জন্য এখন থেকেই দর্শকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবে।
Leave a Reply
Your identity will not be published.