বিশিষ্ট অভিনেত্রী শিল্পী সরকার অপু। টেলিভিশন নাটক, চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজে নিয়মিত অভিনয় করছেন। স্বামী অভিনেতা, নির্মাতা নরেশ ভূইয়া ও সন্তান ইয়াশ রোহানকে নিয়ে তার সুখের সংসার। কৃতি এই অভিনেত্রীর জন্মদিন (১২ এপ্রিল) উপলক্ষে অন্যদিন-এর বিশেষ নিবেদন।
মধ্যবিত্ত পরিবারের ছোট মেয়ে, অষ্টাদশী শাহানা। ভালোবেসেছিলো প্রতিবেশী বোহেমিয়ান যাদুকরকে। কিন্তু সামাজিক বাস্তবতায় সেই প্রেম সফল হয়নি। পরিবারের প্রতি একরাশ অভিমান নিয়ে বিয়ে করে এক উকিলকে। হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'এইসব দিনরাত্রি'র শাহানার গল্প এমনই। এই চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে সুপরিচিতি পেয়েছিলেন শিল্পী সরকার অপু। এরপর কেটে গেছে অনেক দিন।
'এইসব দিনরাত্রি'র পর পেরিয়ে গেছে তিন দশক। সেই অষ্টাদশী কন্যা পরিনত বয়স পেরিয়ে এখন তিনি মমতাময়ী মা। এখনও দর্শকদের মুগ্ধ করে চলেছেন। এই সময়ে টিভি নাটকে মায়েদের চরিত্রে গুরুত্ব তেমনভাবে পরিলক্ষিত হয় না। তবে কোনো চরিত্রে তার উপস্থিতি থাকলে সেটির গুরুত্ব বেড়ে যায়।
'উজান গাঙের নাইয়া'র মাধ্যমে বিরতি ভেঙে নিয়মিত হয়েছিলেন টিভি নাটকে। 'ইতি, মা' টেলিফিল্মে তার অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। 'মিস শিউলি', 'দ্য লাস্ট অর্ডার' , 'যে শহরে টাকা ওড়ে', 'ভিকটিম', 'রক্ত', 'রাত গভীর হয়' প্রভৃতি নাটকে তার চরিত্র বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, এ সময়ের মা-কেন্দ্রিক চরিত্রগুলোর জন্য তিনি অন্যতম, সেরা। দিলারা জামান, শর্মিলী আহমেদ, ডলি জহুর প্রমুখ অভিনেত্রীর যোগ্য উত্তরসূরী শিল্পী সরকার অপু।
পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। পড়াশোনার সময়েই বিয়ে হয় অভিনেতা, নির্মাতা ও সাংবাদিক নরেশ ভূঁইয়ার সঙ্গে। তার হাত ধরেই অভিনয়ে আসা শিল্পীর। প্রথম নাটক 'সুখের উপমা'। এর পরপরই 'এইসব দিনরাত্রি' করে পরিচিতি। 'আনোয়ারা'য় নাম ভূমিকায়, আলোচিত 'ফেরা'তেও ছিলেন বিশেষ ভূমিকায়। পেশাগত জীবনে একজন শিক্ষিকা, সবার আগে দায়িত্বশীল মা। অভিনয় জগত হতে দূরে ছিলেন অনেক বছর। বেশ কিছু নাটকও লিখেছেন।
শিল্পী সরকার অপুর প্রথম চলচ্চিত্র 'নিরন্তর'। একে একে তাকে দেখা গেছে 'স্বপ্নজাল', 'ভয়ংকর সুন্দর', 'দেবী', 'লাল মোরগের ঝুঁটি', 'গুণীন' প্রভৃতি ছবি ও ওয়েব সিরিজ 'নিখোঁজ'-এ।
Leave a Reply
Your identity will not be published.