সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার । কথা ও গানে কৃতি এই সাহিত্যিককে স্মরণ করেছেন লেখক ও সতীর্থরা। স্মৃতি থেকে তুলে এনে বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে তাঁকে স্মরণ করেন অনুরাগীরা।
স্মরণে সমরেশ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানটি ২১ মে কলকাতার জিডি বিড়লা সভাকক্ষে আয়োজন করা হয়। স্মরণ সন্ধ্যার শুরুতে প্রয়াত সাহিত্যিকের স্বকণ্ঠের রেকর্ড ‘ললাট লিখন’ গল্পটি শুনিয়ে সাহিত্যিককে স্মরণ করেন প্রকাশক সবিতেন্দ্রনাথ রায়। রাজনীতিবিদ বিমান বসু শোনালেন সমরেশের সাহিত্যে বাংলার রাজনৈতিক চিত্রের বিভিন্ন স্তর সম্পর্কে। মনোজ মুরলী নায়ার ও শরণ্য মুখোপাধ্যায় এই গুণীর স্মরণে নিবেদন করলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত। কারণ সমরেশের পছন্দ ছিলো রবীন্দ্রসঙ্গীত।
এ ছাড়া আধুনিক বাংলা গানও শুনতেন সমরেশ। ফলে ‘এই মেঘলা দিনে একলা’ ও ‘কফি হাউসের সেই আড্ডটা’ গেয়ে শোনান পর্নাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়কে সমরেশ ডাকতেন ‘প্রিন্স’ নামে। কিছু মধুর অভিজ্ঞতাও শেয়ার করলেন তারা।
প্রয়াত সমরেশ পার্সপোর্ট, ভিসা না দেখিয়ে বাংলাদেশের অভিবাসন আধিকারিকদের দেখাতেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি চিঠি। যেখানে শেখ হাসিনা নিজের হাতে লিখেছিলেন তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সমরেশ মজুমদারের বাংলাদেশে প্রবেশে কোনও ভিসা, পার্সপোর্ট লাগবে না। স্মরণসভায় এই বিষয়টিও উঠে আসে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়।
Leave a Reply
Your identity will not be published.