রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী মূকাভিনয় উৎসব। জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে মূকাভিনয় পরিবেশনা। ‘গণজাগরণের মূকাভিনয় উৎসব’ শিরোনামের এই আয়োজনের সমাপ্তি ঘটবে ৫ অক্টোবর।
আজ বিকেল ৫টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় আয়োজন করা হয়েছে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ, স্বাগত বক্তব্য দেবেন শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকছে মাইম আর্টের পরিবেশনা। যার মধ্যে আছে নিথর মাহবুবের একক মাইম ‘নারী নির্যাতনের সাজা’ ও দলের আরেক সদস্য টুটুলের পরিবেশনা ‘আমার স্বপ্ন’। এ ছাড়া আছে দলীয় পরিবেশনা ‘যেমন কর্ম তেমন ফল’ সিরিজের কয়েকটি পর্ব। উৎসবে সারাদেশের ২৮টি দলের দলীয় পরিবেশনার পাশাপাশি থাকছে শতাধিক শিল্পীর একক পরিবেশনা। এতে অংশগ্রহণ করছে দেশের প্রায় অর্ধশত মূকাভিনয়ের দল, কয়েক শ’ মাইম শিল্পী।
তিন দিনের এই উৎসবে অংশ নেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রঙ্গন মাইম একাডেমি, ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশন, চট্টগ্রামের প্যান্টোমাইম মুভমেন্ট, সালেন্ট থিয়েটার ও মাইমো টেলস, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ মাইম থিয়েটার, মুন্সিগঞ্জের হিরণ কিরণ থিয়েটার, নারায়ণগঞ্জের শ্রুতি মাইম একাডেমি, কিশোরগঞ্জের জলছবি মাইম থিয়েটার, রংপুরের মুক্তবিহঙ্গ, বরিশালের ব্রজমোহন থিয়েটার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূকাভিনয়ম ইত্যাদি।
১৫ বছর আগে ঢাকায় নিয়মিত মাইম চর্চা করে এমন একমাত্র দল ছিল মাইম আর্ট। বাংলাদেশে মাইম শিল্পের আগমন ঘটে ১৯৭৩ সালের দিকে পার্থপ্রতিম মজুমদারের হাত ধরে। তখন অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই এ শিল্পে আসেন। ১৯৮১ সালের দিকে পার্থপ্রতিম মজুমদার ফ্রান্স প্রবাসী হন। তারপর ধীরে ধীরে হারাতে থাকে শিল্পটি। নতুন করে মাইম আর্টকে ফিরিয়ে আনেন নিথর মাহবুব। ২০০৮ সালে মাইম নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে কয়েকজন তরুণকে নিয়ে দল গড়েন নিথর। তার ধারাবাহিকতায়ই এ মাইম উৎসব।
Leave a Reply
Your identity will not be published.