পাখি উড়ে যায়, কিন্তু তার পালক পড়ে থাকে। মানুষ চলে গেলেও তার চিহ্ন রয়ে যায়। সৃজনশীল মানুষের ক্ষেত্রে তো এ কথা আরও বেশি সত্য।
কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক, নির্মাতা, গীতিকার ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদেও না-ফেরার দেশে চলে গেছেন কিন্তু রেখে গেছেন তাঁর অজস্র সৃষ্টি। গল্প-উপন্যাস, টিভি নাটক, চলচ্চিত্র, গান...। এইসব সৃষ্টির মধ্য দিয়েই হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকবেন তাঁর পাঠক, অনুরাগী ও স্বজনদের মাঝে।
হুমায়ূন-সাহিত্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো যে তিনি পাঠকদের স্বপ্ন পূরণ করেছেন। তারা যা ভাবে অথচ বলতে পারে না- সেটাই তাঁর সৃষ্ট কোনো চরিত্র বলে; যা করতে পারে না- সেটিও তাঁর গল্প-উপন্যাসের চরিত্ররা করে থাকে। তাই বলে বাস্তবতাকে এড়িয়ে গেছেন তিনি তা নয়। তাই তো ‘নন্দিত নরকে’ উপন্যাসে একটি ডিম দুই ভাইবোনের ভাগ করে খাওয়ার মধ্য দিয়ে সংসারের আর্থিক অনটনের বিষয়টি ফুটে ওঠে। এমনকি রাজনীতিও হুমায়ূন-সাহিত্য উপস্থিত। হিমু উপাখ্যানে র্যাব-পুলিশ-ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তা নান্দনিকভাবে পরিস্ফুটিত।
১৯ জুলাই হুমায়ূন আহমেদের ১২তম প্রয়াণ দিবস। এ উপলক্ষে তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় তাঁরই গড়া নন্দনকানন গাজীপুরের নুহাশপল্লিতে কিছু বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কবর জিয়ারত, কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। এতে এতিমখানার ছাত্র, হুমায়ূন আহমেদের স্বজন ও ঘনিষ্ঠ মানুষজনসহ বিভিন্ন মানুষেরা অংশগ্রহণ করবেন। পরে এতিমখানার ছাত্রদের হুমায়ূন আহমেদের প্রিয় খাবার পরিবেশন করা হবে।
Leave a Reply
Your identity will not be published.