প্রফেসর ইউনূসের সহকর্মী হওয়াটা লোভনীয়: ফারুকী

প্রফেসর ইউনূসের সহকর্মী হওয়াটা লোভনীয়: ফারুকী

দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন, চলচ্চিত্রে নতুন মাত্রা যোগ করে আলোচনা তৈরি করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। জনপ্রিয় এই নির্মাতা কখনো চেনা গণ্ডির মধ্যে আটকে থাকেন নি কখনো। একের পর এক নিরীক্ষা চালিয়েছেন সব ক্ষেত্রে। এ কারণে বিপুল ভক্ত পেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি সমালোচনাও কম জোটেনি।

সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষ হয়েও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকারও হয়েছেন কখনো কখনো। ব্যক্তিজীবনে রাজনীতি সচেতন হওয়ায়, বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেছেন। চলচ্চিত্রেও তুলে ধরেছেন অসঙ্গতি। সেই ফারুকী এখন আবার আলোচনায়।

অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। রোববার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের দরবার হলে এই নির্মাতাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। 

শপথ নেয়ার পর নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, ‘আমি কখনোই কোনো পদ কিংবা কোনো চেয়ারে বসব, এটা ভাবি নাই। কিন্তু প্রফেসর ইউনূসের সহকর্মী হওয়াটা লোভনীয়, তাকে না-বলাটা মুশকিল।’

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফারুকী বলেন, ‘আমি আশা করি, যে কয়দিন কাজ করব, কিছু পরিবর্তন হয়তো ঘটাতে পারব। যদি ঘটাতে পারি, মনে করব যে উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছি, সেটা সফল হবে।’

ফারুকীর কথায়, ‘আমি যদি কাজের মধ্যে কোনো ভুল করি, সবার প্রতি আমার একই বক্তব্য, বিনা সংকোচে ধরিয়ে দেবেন, এটা ভুল হচ্ছে। আমি সেটিকে সাদরে গ্রহণ করব।’

অধিকাংশ সমালোচকের মতে, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সঠিক নির্বাচন। তার হাত ধরে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। 

Leave a Reply

Your identity will not be published.