বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের প্রবাদপুরুষ বললে অতিশয়োক্তি হবে না। ছেলেবেলা থেকেই প্রচণ্ড ডানপিটে এই মানুষটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতেও নিজেকে মেলে ধরেছেন ব্যাপকভাবে। নাম তার হাবিবুর রহমান খান। বিশিষ্ট প্রযোজক।
হাবিবুর রহমান খানের জন্ম বিক্রমপুর। তবে তার শৈশব কেটেছে নারায়ণগঞ্জে। নানাবাড়ি পুরান ঢাকায় হলেও থাকতেন নারায়ণগঞ্জে। সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম তাঁর। বেশ আয়েশেই কেটেছে ছেলেবেলা। তাঁর ছেলেবেলা ছিল আনন্দময়। নানা ছিলেন ধনবান। সেই ধারাবাহিকতায় তিনিও কম যান নি। চলচ্চিত্রের প্রতি ছিল অগাধ প্রেম। সেই প্রেম থেকেই তিনি চলচ্চিত্রকে মনে-প্রাণে ভালোবেসেছিলেন। সেই ভালোবাসা থেকেই তাঁর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘আশীর্বাদ’ থেকে একে একে তৈরি হয়েছে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘পদ্মানদীর মাঝি’, ‘হঠাৎ বৃষ্টি’, ‘শঙ্খচিল’, ‘মনের মানুষ’-এর মতো বিখ্যাত সব চলচ্চিত্র।
এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি শুধু যে শৈল্পিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছে তা নয়, এই প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক চলচ্চিত্র পরিবেশিতও হয়েছে। এর মধ্যে গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘মনপুরা’ উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া তিনি ছবির কাজের জন্য ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাইতেই একত্রিত করেন একঝাঁক মেধাবী তরুণকে। ছবির পেছনে নানা ভূমিকায় কাজ করেন ফখরুল হাসান বৈরাগী, তমিজ উদ্দীন রিজভী, আখন্দ সানোয়ার মোরশেদ, শমসের আহমেদ, আওলাদ হোসেন চাকলাদার, এ জে মিন্টু এবং ছটকু আহমেদ।
স্বাধীনতা উত্তর সময়ে ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবি নিয়ে হাবিবুর রহমান খান প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০২২ সালের ১৬ জুলাই চলচ্চিত্রে তাঁর ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। নিভৃতচারী এই গুণী মানুষের ৮০তম জন্মদিন ২৭ নভেম্বর।
হাবিবুর রহমান খানের ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে চ্যানেল আই। ২৭ নভেম্বর চ্যানেলটির ‘তারকা কথন’-এ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নিজের জীবনের গল্প শোনাবেন এই প্রথিতযশা চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন আবুল হায়াত, মামুনুর রশীদ, ছটকু আহমেদ, শবনম ফেরদৌসী এবং হাবিবুর রহমান খানের দুই পুত্র ও কন্যা।
Leave a Reply
Your identity will not be published.